ফিলিস্তিনের সামরিক বাহিনী নেই কেন

maxresdefault (30)
কি কেন কিভাবে

ফিলিস্তিনের সামরিক বাহিনী নেই কেন

ইসরায়েল ফিলিস্তিন যুদ্ধের একদিকে রয়েছে ইসরায়েলী ডিফেন্স ফোর্সেস বা আইডিএফ এবং অন্যদিকে রয়েছে হামাস। ইসরায়েলের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ কে পশ্চিমা বিশ্ব খুব বাহবা দিলেও, ফিলিস্তিনের পক্ষে হামাস যখনই প্রতিরোধ গড়ে তোলে, তখন হামাস কে বলা হয় সন্ত্রাসী সংগঠন। তাহলে ফিলিস্তিনের পক্ষে লড়াই করবে কারা? হামাস যদি সন্ত্রাসী সংগঠনই হয়ে থাকে, তাহলে ফিলিস্তিনের পক্ষে লড়াই করার মত অন্তত একটি বৈধ সামরিক বাহিনী তো থাকার কথা। কিন্তু এমন কোন দলের কথা তো কোথাও শোনা যায় না।

তাহলে কি ফিলিস্তিনের কোন সামরিক বাহিনীই নেই? সত্যিই তাই। ইয়াসির আরাফাত ইসরায়েলের সাথে এমন এক চুক্তি করেছিল যে, যার ফলে ফিলিস্তিন নিজস্ব কোন সামরিক বাহিনী রাখতে পারবে না। শুধু তাই নয়, এই চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ফিলিস্তিনে যদি কোন সশস্ত্র বাহিনী গড়েও ওঠে, তাহলে ফিলিস্তিন সরকার নিজেই সেই সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদেরকে ইসরায়েলের হাতে তুলে দিতে বাধ্য।

ফিলিস্তিনের সামরিক বাহিনী নেই কেন ?

ফিলিস্তিনের সেনাবাহিনী নেই কেন

অতীতে Palestine Liberation Organization বা PLO এর অধীনে Palestine Liberation Army বা PLA নামে ফিলিস্তিনের একটি সামরিক বাহিনী ছিল। কিন্তু বর্তমানের ফিলিস্তিনের কোন সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী বা নৌবাহিনী নেই। ফিলিস্তিন কেন সকল ধরনের সামরিক বাহিনী গঠনের অধিকার থেকে বঞ্চিত, তা বুঝতে হলে ১৯৯৩ সালের অসলো চুক্তির শর্ত সম্পর্কে জানতে হবে।

ইসরায়েল ফিলিস্তিন শান্তি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে, ইসরায়েল বরাবরই চেয়েছে, ফিলিস্তিন হবে সামরিকভাবে নিরস্ত্র একটি দেশ। অন্যদিকে ইসরায়েল নিজে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর সামরিক বাহিনী হবার বাসনা রাখে।

অসলো চুক্তিতে বলা হয়, Palestinian National Authority বা PNA তার অঞ্চলগুলোর নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য আধাসামরিক পুলিশ বাহিনী গঠন করতে পারবে। কিন্তু কিছুতেই পুরোদস্তুর সামরিক বাহিনী গড়ে তোলা যাবে না। PNA এবং ইসরায়েল এর দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী, ফিলিস্তিনী আধাসামরিক বাহিনী কে ইচ্ছেমত বড়ও করা যাবে না। সেই সাথে এই বাহিনীর কাছে কেমন অস্ত্র থাকবে, এর গঠনতন্ত্র কেমন হবে, সবই ইসরায়েল দেখভাল করবে। শুধু তাই নয়, কারা কারা ফিলিস্তিনের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য হতে পারবে এবং কারা এই বাহিনীতে থাকার যোগ্য নয়, সেসব বিষয়ে নিয়ন্ত্রণের অধিকারও ইসরায়েল কে দেওয়া হয়েছে। যদিও এসব নিয়ম কানুনের সবকিছু বাস্তবে প্রয়োগ করা হয় না।

ফিলিস্তিনের জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী

ফিলিস্তিনের আধাসামরিক বাহিনী Palestinian National Security Forces বা NSF ফিলিস্তিনের জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী হিসেবে পরিচিত। রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তার দ্বায়িত্বে থাকা প্রেসিডেনসিয়াল গার্ড বাদে ফিলিস্তিনের বাকি সকল নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এই NSF এর অন্তর্ভূক্ত। ২০০৩ সালে Palestinian National Security Forces কে Palestinian Security Services হিসেবে পরিবর্তন করা হয়। ফিলিস্তিনের জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে গাজার সমুদ্র উপকূল রক্ষার জন্য সামান্য নৌশক্তি, PNA শাসিত অঞ্চল গুলোর জন্য ট্রাফিক পুলিশ, দাঙ্গা পুলিশ সহ আরো বেশ কিছু ছোট ছোট বাহিনী রয়েছে।

ফিলিস্তিনের জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনীতে প্রায় ৪২ হাজার সদস্য রয়েছে। অসলো চুক্তিতে ফিলিস্তিন যে পরিমাণ আধা সামরিক বাহিনী রাখার অনুমতি পেয়েছিল, সেই পরিমাণ সদস্য NSF অনেক আগেই অতিক্রম করেছে।

১৯৯৩ সাল থেকে অসলো চুক্তি অনুযায়ী Palestinian National Authority যেসব অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে, সেসব জায়গায় NSF কাজ করার সুযোগ পায়। এই বাহিনীর প্রধান কাজ হল ফিলিস্তিনের সাধারণ আইন কানুন প্রয়োগে সরকারকে সাহায্য করা। তবে সত্যিকার অর্থে এটি একটি অকার্যকর বাহিনী। যা অনেক ক্ষেত্রেই উল্টো ফিলিস্তিনের স্বার্থ বিরোধী কাজেই ব্যবহার করা হয়েছে। NSF এর কাজ হল, PNA সরকারের সাথে কোন সম্পর্ক নেই এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কাজ করে, এমন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদেরকে গ্রেফতার করতে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীকে সাহায্য করা। দ্যা জেরুজালেম পোস্ট পত্রিকায় বলা হয়, অতীতে ফিলিস্তিনের নিরাপত্তা বাহিনী কোন সশস্ত্র সংগঠনের সদস্যকে গ্রেফতার করে ছেড়ে দিত। কিন্তু গোপনে আবার ইসরায়েলী বাহিনীকে তারা খবর দিয়ে দিত যে, এই মাত্র তারা একজন জঙ্গীকে ছেড়ে দিয়েছে। তখন ইসরায়েলী বাহিনী তাকে গ্রেফতার করত। এভাবে ফিলিস্তিনের নিরাপত্তা বাহিনী নিজেদের জনগণকে না ক্ষেপিয়ে, ইসরায়েলের সাথে কাজ করেছে।

২০০৬ সালে নির্বাচনে জয় লাভ করে হামাস সরকার গঠন করার পর, নিজস্ব একটি সরকারী নিরাপত্তা বাহিনী গড়ে তোলে, যার নাম দেওয়া হয় Executive Force। হামাস যেহেতু ক্ষমতায় থাকতে পারেনি, তাই এই বাহিনীও বিলুপ্ত হয়ে যায়।

আল কাসাম ব্রিগেড

ফিলিস্তীনের সরকারী আধা সামরিক বাহিনীর চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয় সশস্ত্র সংগঠন ইজ আদ-দীন আল-কাসাম ব্রিগেড। এটি মূলত হামাসের সামরিক শাখা। ১৯৯০ সালে হামাসের সশস্ত্র বাহিনী হিসেবে পরিচালনার জন্য আল-কাসাম ব্রিগেড গড়ে তোলা হয়েছিল। তুলনা মূলক ছোট্ট এই সামরিক বাহিনীর সক্ষমতা বিশ্বের বহু রাষ্ট্রকে অবাক করে দিয়েছে। আল-কাসাম ব্রিগেডের প্রধান উদ্দেশ্য হল দখলদাল ইসরায়েলী বাহিনীর অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা, মিশর এবং জাপান হামাস কে সন্ত্রাসী সংগঠন মনে করে। যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড শুধুমাত্র হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেব চিহ্নিত করে। বর্তমানে আল-কাসাম ব্রিগেডের প্রায় ৪০ হাজার সৈন্য রয়েছে।

আল-কাসাম ব্রিগেড গাজা শহরের মাটির নিচে বিস্তৃত এক সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। ধারণা হয় তাদের এই সুড়ঙ্গ প্রায় ৫০০ কিলোমিটারের বেশি বিস্তৃত। এসব সুড়ঙ্গ হামাসের সামরিক ঘাঁটি এবং বাঙ্কার হিসেবে কাজ করে। ক্ষুদ্র এই সেনাবাহিনীর নিজস্ব সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও রয়েছে। যেখানে সাধারণ সামরিক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি, নৌ কমান্ডো এবং সাইবার নিরাপত্তার উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

ধারণা করা হয় আল-কাসাম ব্রিগেড ইরান, সিরিয়া এবং লেবানন থেকে অস্ত্র, প্রশিক্ষণ এবং আর্থিক সহায়তা লাভ করে। ইসরায়েলীদের তথ্য মতে, ইরান প্রতিবছর হামাস কে প্রায় ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা দিত। বর্তমানে ইরান প্রতিবছর প্রায় ৩৫০ মিলিয়ন ডলার হামাসের সহায়তায় খরচ করছে। হামাস চীন থেকে হ্যান্ডগান এবং অ্যাসল্ট রাইফেল এবং উত্তর কোরিয়া থেকে বিভিন্ন ধরনের মিসাইল সংগ্রহ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। হামাসের অস্ত্র-শস্ত্রের মধ্যে রয়েছে উন্নত বিষ্ফোরক, মাইন, এন্টি ট্যাংক গাইডেড মিসাইল, গ্রেনেড লঞ্চার, মর্টার শেল এবং ড্রোন। এসব অস্ত্রের কোনটি কি পরিমাণ আছে, তার কোন সঠিক হিসেব নেই। তবে দীর্ঘদিন তাদের অবস্থানে লুকিয়ে থেকে প্রতিরোধ করার মত সক্ষমতা তাদের আছে। শুধু তাই নয়, অভিজ্ঞ যোদ্ধাদের এই দলটি নিজের অনেক অস্ত্র নিজেরাই তৈরী করে। হামাসের অধিকাংশ রকেট এবং কিছু কিছু ড্রোন তাদের নিজেদেরই তৈরী। প্রযুক্তিগত দিক থেকে এসব অস্ত্র খুবই প্রাথমিক পর্যায়ের হলেও, হামাসের কাজ সম্পন্ন করার জন্য এগুলো যথেষ্ট।

অন্যান্য সশস্ত্র বাহিনী

শুধুমাত্র হামাসের আল কাসাম ব্রিগেডই নয়; ফিলিস্তিনী স্বাধীনতার পক্ষে গড়ে ওঠা আরো বেশ কিছু সশস্ত্র সংগঠন ইসরায়েলের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরোধীতা করে। রাজনৈতিক সংগঠন ফিলিস্তিনী ইসলামি জিহাদ এর সামরিক শাখা আল-কুদস ব্রিগেড গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম সশস্ত্র মুক্তিকামী দল। পশ্চিম তীরেও দলটির ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি রয়েছে। ফিলিস্তিনের তৃতীয় বৃহত্তম সশস্ত্র দল পপুলার রেজিস্ট্যান্স কমিটির সামরিক শাখা আল-নাসের সালাহ আল-দীন ব্রিগেড। এরপরেই রয়েছে ফিলিস্তিনের ক্ষমতায় থাকা দল ফাতাহ এর সামরিক শাখা আল-আকসা শহিদ ব্রিগেড। এই সশস্ত্র দলটি অতীতে আল-আসিফা নামে পরিচিত ছিল। অতীতে অনেকে ফাতাহ এর দলটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন মনে করলেও, বর্তমানে একে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে মনে করা হয় না। এসবের বাইরেও তুলকারম ব্রিগেড, লায়ন্স ডেন, আবু আলী মুস্তফা ব্রিগেডস, ন্যাশনাল রেজিস্ট্যান্স ব্রিগেড, আবদেল কাদের আল হুসাইনি ব্রিগেড এবং আল-মুজাহিদিন ব্রিগেড এর মত ছোট ছোট বেশ কিছু সশস্ত্র সংগঠন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন করে থাকে। তবে এসবের কোনটিকেই ফিলিস্তিনের সেনাবাহিনী হিসেবে চিহ্নিত করা যায় না।

বিদেশী গোয়েন্দাদের অপতৎপরতা

১৯৯০ এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা Central Intelligence Agency বা CIA ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সাথে মিলিত হয়ে, ফিলিস্তিনের জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী গড়ে তোলার কাজে ব্যাপক হস্তক্ষেপ করেছে। ২০০৩ সালে গাজা উপত্যকায় তিন জন মার্কিন কর্মকর্তা খুন হবার পর, ব্রিটিশ গোয়েন্দা বাহিনী সক্রিয় হওয়া শুরু করে।

ফিলিস্তিনীদের মধ্যে যাতে কোন শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর উত্থান হতে না পারে, সেজন্য তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার, ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা MI6 কে দ্বায়িত্ব দেয়। ব্রিটিশ গোয়েন্দারা তখন হামাস, ফিলিস্তিনী ইসলামি জিহাদ এবং আল আকসা ব্রিগেড এর গুরুত্বপূর্ণ কর্মীদের পেছনে লেগে, এসব সশস্ত্র বাহিনীকে দুর্বল করে দেয়। সেই সাথে তাদের অস্ত্র-শস্ত্র এবং টাকা-পয়সাও বাজেয়াপ্ত করা হয়। শুধু তাই নয়, সেসময় বিভিন্ন স্তরের ফিলিস্তিনী নেতা ও অধিকারকর্মীদেরও দমন করা হয়, ফিলিস্তিনী রেডিওগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং মসজিদের ইমামদেরকে বদলি করা হয়। পশ্চিমারা বলে যে, তার এই অঞ্চলে শান্তি নিশ্চিত করার জন্য এ ধরনের হস্তক্ষেপ করেছে। তাদের কাছে শান্তি মানে হল, ইসরায়েলের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা অর্জন এবং ফিলিস্তিনকে আধমরা করে বাঁিচয়ে রাখা। যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েল কে শত শত বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়ে, ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালাতে সহায়তা করলে, তাতে কোন অপরাধ নেই। কিন্তু ইরান ফিলিস্তিনী জনগণের স্বাধীনতার সংগ্রামে মাত্র কয়েক মিলিয়ন ডলার সহায়তা করলেই তা অনেক বড় অন্যায় হয়ে যায়।

দীর্ঘ ৭৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে, ইসরায়েল বিমান হামলা করে ফিলিস্তিনীদের বিরুদ্ধে জাতিগত নিধন চালিয়ে যাচ্ছে। এর প্রতিবাদ করা বদলে, ভন্ড বিশ্ব নেতারা উল্টোতোতার মত বুলি আওরায়, Israel has the right to defend itself; ইসরায়েলের আত্নরক্ষার অধিকার আছে। এটা কোন ধরনের আত্নরক্ষা? এর প্রকৃত অর্থ হল, ইসরায়েলের যেভাবে খুশি সেভাবে ফিলিস্তিনের জনগণকে হত্যা করার অধিকার আছে। ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করার অধিকার আছে। গাজাকে আন্তর্জাতিক আইনের করস্থান বানানোর অধিকার আছে। যে রাষ্ট্রের জন্মই হয়েছে ভন্ডামি, লুটতরাজ, খুন এবং সন্ত্রাসের মাধ্যমে, তাদের থেকে এর চেয়ে ভালো কিছু আশাও করা যায় না।

Leave your thought here

Your email address will not be published. Required fields are marked *


দিন
ঘণ্টা
মিনিট
সেকেন্ড
আমাদের লাইভ ক্লাস শেষ হয়েছে, তবে আপনি এখন ফ্রি রেকর্ডেড কোর্সে ইনরোল করে দেখতে পারবেন।
আপনার রেজিস্ট্রেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

আপনার জন্য একটি একাউন্ট তৈরি হয়েছে। প্রদত্ত ইমেইল ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।

কোর্সের তারিখ: ০৩/১০/২০২৫
সময়: রাত ৯টা থেকে
(বাংলাদেশ সময়)

আপনার সঠিক - নাম, ইমেইল দিয়ে
Sign Up এ ক্লিক করুন।