বঙ্গবন্ধু টানেল

maxresdefault (27)
জীবনযাপন

বঙ্গবন্ধু টানেল

ভূমিকা

বাংলাদেশে যতগুলো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে, তার মধ্যে কর্ণফুলী টানেল অন্যতম। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত এই সুড়ঙ্গের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। এটি বাংলাদেশের প্রথম সুড়ঙ্গ পথ। শুধু তাই নয় এটি সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে কোন নদীর তলদেশের নির্মিত প্রথম ও দীর্ঘতম সড়ক সুড়ঙ্গ। ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যাতায়াত আরো নির্বিঘ্ন করতে এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে কর্ণফুলী টানেল ব্যাপক অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু টানেল এর সুবিধা কী কী ?

সুড়ঙ্গ প্রকল্প

চীনের সাংহাইয়ের ওয়ান সিটি টু টাউন মডেলের আদলে, বন্দর নগরী চট্টগ্রামকে গড়ে তুলতে, কর্ণফুলী নদীর অপর পাড়ে ব্যাপক বানিজ্যিক অঞ্চল তৈরীর পরিকল্পনা করা হয়। কর্ণফুলী টানেল একদিকে চট্টগ্রামের মূল শহর এবং অপর দিকে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলাকে সংযুক্ত করেছে। কর্ণফুলী নদীর ১৫০ ফুট গভীরে সুড়ঙ্গ নির্মান করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৪৩ কিলোমিটার। এই টানেল মূলত দুটি টিউবের আকারে গড়ে তোলা হয়েছে। প্রতিটি টিউবের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার এবং ব্যাস ১০ দশমিক ৮০ মিটার। প্রতিটি টিউবে দুটি করে মোট চারটি লেন থাকবে। সুড়ঙ্গটির মূল দৈর্ঘ্য ৩.৪৩ কিলোমিটার হলেও এর সঙ্গে ৫ কিলোমিটারের বেশি সংযোগ সড়ক এবং ৭২৭ মিটার দীর্ঘ একটি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম শহরপ্রান্তের নেভাল একাডেমির পাশ দিয়ে শুরু হওয়া এই সুড়ঙ্গ নদীর দক্ষিণ পাড়ের আনোয়ারা প্রান্তের চিটাগাং ইউরিয় ফার্টিলাইজার লিমিটেড এবং কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার লিমিটেড কারখানার মাঝামাঝি স্থান দিয়ে নদীর দক্ষিণ প্রান্তে গিয়ে শেষ হয়েছে। এই সুড়ঙ্গের মাধ্যমে দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক যুক্ত হবে। বঙ্গবন্ধু সুড়ঙ্গ চালু হবার ফলে, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা কক্সবাজার ও দক্ষিণ চট্টগ্রামগামী গাড়িগুলোকে আর মূল চট্টগ্রাম শহরের ভেতর ঢুকতে হবে না। সিটি আউটার রিং রোড হয়ে টানেলের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে। এর ফলে চট্টগ্রাম নগরে যানবাহনের চাপ অনেকটা কমে যাবে। এছাড়া ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব কমবে প্রায় ৫০ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলেমিটার কমে যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, এর ফলে কর্ণফুলী টানেলকে ঘিরে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটবে।

প্রকল্পের নির্মাণ ও অর্থায়ন

২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন এ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড এই সুড়ঙ্গ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। ২০২০ সালের নভেম্বরে সুড়ঙ্গটি উদ্বোধনের কথা থাকলেও, করোনা মহামারিসহ বেশ কিছু কারণে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে বাড়তি সময় লেগেছে। কয়েক দফায় প্রকল্পটি বিলম্বিত হবার কারণে এর নির্মাণ ব্যয়ও কিছুটা বেড়ছে।

সুড়ঙ্গ নির্মানের প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা। পরবর্তীতে তা বেড়ে হয় ৯ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। কিন্তু নির্মাণ সম্পন্ন করতে মোট ব্যয় হয়েছে ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা। প্রকল্প কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে প্রকল্প ব্যয় বেড়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকার ব্যয় করেছে ৪ হাজার ৬১৯ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা। বাকি ৬ হাজার ৭০ কোটি টাকা চীনের কাছ থেকে ঋণ নিতে হয়েছে। এর মধ্যে সিংহভাগ অর্থ দিয়েছে চীনের এক্সিম ব্যাংক। চুক্তি অনুযায়ী ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে, ২ শতাংশ হারে সুদ সহ সম্পূর্ণ টাকা ২০ বছরের মধ্যে চীনের এক্সিম ব্যাংক কে পরিশোধ করতে হবে। এর বাইরেও সুড়ঙ্গের জন্য স্ক্যানার কিনতে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা খরচ হবার কথা। সবমিলিয়ে টানেলের মোট ব্যয় ১১ হাজার কোটি টাকার ছাড়িয়ে যেতে পারে।

অর্থনৈতিক সম্ভাবনা

বঙ্গবন্ধু টানেলের কারণে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত দেশের সর্ববৃহৎ ইকোনমিক করিডোর গড়ে উঠবে। এছাড়া এই সুড়ঙ্গ হবে এশিয়ান হাইওয়ের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ। কর্ণফূলীর দক্ষিণ পাড়ে গার্মেন্টস, জাহাজ নির্মাণ, ভোজ্যতেল, মাছ প্রক্রিয়াকরণ, ইস্পাত, সিমেন্টসহ অন্তত ৮০টি শিল্প কারখানা গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন ব্যাসায়ীরা। বঙ্গবন্ধু টানেলের কাজের অগ্রগতির সাথে সাথে, এই অঞ্চলে অনেক নতুন নতুন শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে। সেই সাথে এখানকার অনেক পুরনো কারখানাও সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কোরিয়ান ইপিজেডে চারটি পোশাক কারখানা চালু হয়েছে। এবং চায়না ইপিজেডে আরো ১৫ টি দেশী বিদেশী পোশাক কারখানায় বিনিয়োগের প্রস্তুতি চলছে। অতীতে এই অঞ্চলের মাত্র ২ শাতংশ জমি শিল্পখাতে ব্যবহার করা হয়েছে। টানেল চালু হবার ফলে, এখানকার প্রায় ২৭ শতাংশ জমি শিল্প উন্নয়নের ব্যবহার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আনোয়ারা উপজেলায় কারখানা স্থাপনের লক্ষে দেশের বেশ কিছু শীর্ষ শিল্প প্রতিষ্ঠান হাজার হাজার একর জমি কিনে রেখেছে। ভবিষ্যত এই অঞ্চলে আন্তর্জাতিক মানের গভীর সমুদ্র বন্দর এবং বিমান বন্দরের কার্যক্রম চালু হলে কর্ণফুলী টানেল কেন্দ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ব্যাপক গতি আসবে।

সুড়ঙ্গের টোল

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের টোল নির্ধারণ ছিল খুবই গুরুত্ব পূর্ণ একটি বিষয়। পদ্মা সেতুর টোল বেশি হলেও, পদ্মা সেতুর বিকল্প আর কোন পথ নেই; তাই পদ্মা নদী পারাপারে যানবাহন গুলো অধিক টোল দিতে বাধ্য। কিন্তু যেহেতু কর্ণফুলী টানেলের বিকল্প সড়ক রয়েছে, তাই এই পথে টোলের হাড় বেশি হলে, অধিকাংশ মানুষ শাহ আমানত সেতু ব্যবহার করবে। সেক্ষেত্রে এত ব্যয়ে নির্মিত এই সুড়ঙ্গ জনগনের তেমন কাজে আসবে না। এমন ভাবনা থেকে দেশের প্রথম সুড়ঙ্গ পথের টোল কেমন হওয়া উচিত, তা নিয়ে অনেকটা সিদ্ধান্তহীনতায় ছিল সেতু বিভাগ। যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বেশ কয়েকবার টানেলের টাল হার সংশোধন করা হয়। কিন্তু তারপরও, শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু টানেলের টোল চট্টগ্রামের শাহ আমানত সেতুর টোলের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি নির্ধারণ করতে হয়েছে।

শাহ আমানত সেতুতে প্রাইভেট কার ও জিপের টোল দিতে হয় ৭৫ টাকা। টানেল দিয়ে চলতে প্রাইভেট কার বা জিপ গাড়িকে গুনতে হবে ২০০ টাকা, যা শাহ আমানত সেতুর টোলের প্রায় আড়াই গুণ বেশি। এছাড়া মাইক্রোবাসের জন্য শাহ আমানত সেতুতে ১০০ টাকার বিপরীতে বঙ্গবন্ধু টানেলে ২৫০ টাকা, ৩১ আসনের কম বাসের জন্য ৫০ টাকার বিপরীতে টানেলে ছয় গুণ বাড়িয়ে ৩০০ টাকা, ৩২ আসনের বেশি বাসের জন্য শাহ আমানত সেতুর ১৫৫ টাকার বিপরীতে টানেলে ৪০০ টাকা এবং ৩ এক্সেল বাসের জন্য বঙ্গবন্ধু টানেলে ৫০০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ভারী যানবাহনের মধ্যে ৫ টন ওজনের ট্রাকের জন্য শাহ আমানত সেতুতে ১৩০ টাকার বিপরীতে টানেলে ৪০০ টাকা, ৮ টন পর্যন্ত ট্রাক সেতুতে ২০০ টাকার বিপরীতে টানেলে ৫০০ টাকা, ১১ টন ওজনের ট্রাকের জন্য সেতুতে ৩০০ টাকার বিপরীতে টানেলের ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর বাইরেও বিভিন্ন ক্যাগেরির বড় বড় ট্রেইলার ট্রাকের জন্য ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ৪ এক্সেলের অধিক ট্রাক অথবা ট্রেইলারের জন্য এক্সেল প্রতি ২০০ টাকা করে টোল বাড়বে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, টানেল চালু হওয়ার পর ২০২৫ সালে গড়ে প্রতিদিন ২৮ হাজার ৩০৫টি যানবাহন চলাচল করবে। এছাড়া ২০৩০ সালে যানবাহন চলাচলের প্রাক্কলন করা হয়েছে ৩৭ হাজার ৯৪৬টি এবং ২০৬৭ সালে যানবাহনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রতিদিন গড়ে ১ লাখ ৬২ হাজার। টানেলের বিকল্প হিসেবে কম টোলের মাধ্যমে সেতু ব্যবহারের সুযোগ থাকায়, টানেল থেকে টোল আদায় করে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চীনের ঋণ পরিশোধের বিষয়টি নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

পরিকল্পনার ঘাটতি

চট্টগ্রাম শহরের দিক থেকে ৫টি সড়ক দিয়ে কর্ণফুলী টানেলে যাওয়া যাবে। সড়কগুলো হল ১.আউটার রিং রোড ২.এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ৩.কাঠগড় সড়ক ৪.এয়ারপোর্ট সড়ক এবং ৫.পতেঙ্গা বিচ সড়ক। এই ৫টি সড়ক থেকেই টানেলে প্রবেশ পথ থাকবে। চট্টগ্রাম শহরের অপরপাশে, কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণে আনোয়ারায় রয়েছে কোরিয়ান ইপিজেড, চায়না ইপিজেড, চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানা, পারকি সমুদ্র সৈকত সহ বহু নির্মানাধীন বেসরকারী শিল্প অঞ্চল। এই সড়ক দিয়ে মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের যাতায়াত অনেক সহজ হবে। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর, বে টার্মিনাল, চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমান বন্দর এবং মিরসরাই ইকোনমিক জোনের মধ্যে যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।

 যেহেতু ৫টি প্রধান সড়ক এই সেতুর প্রবেশ দ্বারে একত্রিত হবে, সেহেতু যানবাহনের যথেষ্ট চাপ তৈরী হবে। পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকার নির্মাণাধীন গোলচত্বরে যান চলাচল ব্যবস্থাপনাসহ ১২টি বাধা চিহ্নিত করা হয়েছে। এই গোলচত্বর হয়েই টানেলের গাড়ি আসা-যাওয়া করবে। টানেলের উত্তর প্রান্তে অর্থাৎ চট্টগ্রাম শহরের দিকে প্রয়োজনীয় সড়ক ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার দ্বায়িত্বে ছিল চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। এবং টানেলের দক্ষিণ প্রান্তে অর্থাৎ আনোয়ারার দিকে অবকাঠামো ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা নিয়ে পরিকল্পনার জন্য সেতু বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

সুড়ঙ্গ প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা গুলো যৌথভাবে টানেল নির্মাণের কারিগরি ও অর্থনৈতিক সমীক্ষা করেছিল। কিন্তু কোন পরিকল্পনা বা সমীক্ষায়ই যান চলাচলের প্রকৃত সম্ভাবনার চিত্র উঠে আসেনি। এই অব্যবস্থাপনার জন্য সেতু কর্তৃপক্ষ এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ পরস্পরকে দোষারোপ করছে। প্রথমদিকে টানেল দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হলেও, ১০ বছর পর টানেলের যানচলাচল যে অস্বাভাবিকভাবে বিঘ্নিত হবে, সে বিষয়য়ে সকলেই নিশ্চিত। এছাড়াও টানেলের কাছে একাধিক সড়কের বিভিন্ন মোড় এবং এক সড়ক থেকে আরেক সড়কে যাওয়ার ব্যবস্থায় অনেক জটিলতা আছে। ভবিষ্যতে আরো ১০০ বছর যানচলাচলের চাপ সামাল দেওয়ার জন্য, সেতু কর্তৃপক্ষ একটি আলাদা প্রকল্প গ্রহণ করছে। এতে আরো সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা খরচ হবে। এর চেয়েও আশঙ্কার আরেকটি বিষয় হল, পতেঙ্গা থেকে নেভাল একাডেমি পর্যন্ত প্রায় ১.১ কিলোমিটার এলাকায় কোনো বাঁধ নেই। বড় ধরনের জলোচ্ছাসে মোহনার এই অংশ দিয়ে পানি ঢুকে কর্ণফুলী টানেল প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রকল্প কর্তৃপক্ষে দাবি, টানেলে ফ্লাডগেইট থাকায় সুড়ঙ্গের ভেতরে পানি ঢোকার কোনো সুযোগ নেই।

Leave your thought here

Your email address will not be published. Required fields are marked *


দিন
ঘণ্টা
মিনিট
সেকেন্ড
আমাদের লাইভ ক্লাস শেষ হয়েছে, তবে আপনি এখন ফ্রি রেকর্ডেড কোর্সে ইনরোল করে দেখতে পারবেন।
আপনার রেজিস্ট্রেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

আপনার জন্য একটি একাউন্ট তৈরি হয়েছে। প্রদত্ত ইমেইল ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।

কোর্সের তারিখ: ০৩/১০/২০২৫
সময়: রাত ৯টা থেকে
(বাংলাদেশ সময়)

আপনার সঠিক - নাম, ইমেইল দিয়ে
Sign Up এ ক্লিক করুন।