রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র

maxresdefault (14)
জীবনযাপন

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশের একক বৃহত্তম প্রকল্প। এখনও পর্যন্ত বাস্তবায়িত হওয়া দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প ধরা হয় পদ্মা সেতুকে। কিন্তু এই পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলে এটিই হবে বাংলাদেশের ইাতহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প। কারণ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের বাজেট ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ১৩ হাজার কোটি টাকা। যেখানে পদ্মা সেতুর বাজেট ছিল ৩০ হাজার কোটি টাকা। তারমানে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানে যত টাকা খরচ হবে, তা দিয়ে তিনটি পদ্মা সেতু বানানো যাবে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র | কি কেন কিভাবে

বাংলাদেশের পারমানবিক যুগে প্রবেশ
বাংলাদেশে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে পদ্মা নদীর পাড়ে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মান করা হবে। রাশিয়ান রাষ্ট্রীয় পারমানবিক শক্তি কর্পোরেশন রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছে। দুই ইউনিটের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র সাম্প্রতিক সময়ে নির্মান করা হলেও, এর পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল পাকিস্তান আমলে। ১৯৬১ সালে এখানে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এরপর ১৯৬২ থেকে ১৯৬৮ সালের মধ্যে বর্তমান প্রকল্প অঞ্চলকে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্থান হিসাবে নির্বাচন করা হয়। সেই সময়ের মধ্যে এই প্রকল্পের জন্য ২৬০ একর জমি ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট আবাসিক এলাকার জন্য ৩২ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। তখন ভূমি উন্নয়ন অফিস, রেস্ট হাউজ, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন এবং কিছু আবাসিক ভবন নির্মানও করা হয়েছিল। কিন্তু ১৯৬৯ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার রুপপুরে প্রকল্প বাতিল করে, প্রকল্পটিকে পশ্চিম পাকিস্তানের করাচি তে নিয়ে যায়। তারপর দেশ স্বাধীন হলে ১৯৭২ থেকে ৭৪ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জন্য পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুতে প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৭৭ সালে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ সংক্রান্ত আরেকটি প্রকল্পের কাজ আগায়। কিন্তু অর্থের জোগান না থাকায়, প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করা যায়নি। ১৯৮৬ সালে জার্মানির সাথে যৌথ উদ্যোগে আরেকটি প্রকল্পের প্রস্তাব ওঠে। ১৯৮৭ থেকে ১৯৮৮ সালের মধ্যে জার্মানি ও সুইজারল্যান্ডের দুটি কোম্পানি আরেকটি সম্ভাব্যতা যাচাই পরীক্ষা কওে ৫০০ মেগা-ওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের সুপারিশ করে। তখনও নানা কারণে প্রকল্পটি বাতিল হয়ে যায়। ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান ছিলেন বর্তমান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম. এ ওয়াজেদ মিয়া। তিনি ২০০০ সাল পর্যন্ত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অনেক চেষ্টা করেন। ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ নির্বাচনী ইশতেহারে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করে। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এবং রাশিয়ার স্টেট এ্যাটমিক এনার্জি কর্পোরেশন বা রোসাটোম এর মধ্যে ‘পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার’ বিষয়ক চুক্তি হয়। ২০১০ সালে জাতীয় সংসদে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ২০১১ সালে বাংলাদেশ রাশিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করে। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের প্রথম পর্যায়ের কাজের উদ্বোধন করেন। এর মধ্য দিয়ে, দীর্ঘ ৫২ বছর ধরে ঝুলে থাকা এই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। মহামারির মধ্যেও এই প্রকল্পে ২৫ হাজার শ্রমিক দিনরাত কাজ করছে। কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, ২০২৩ সালে প্রথম ইউনিট এবং ২০২৪ সালের মধ্যে রূপপুরের দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করা যাবে। এরপর বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ৬০ বছর ধরে বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। রূপপুরে প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরো একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা আছে।
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কি পরিবেশবান্ধব ?
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রযয়োজনীয় প্রাকৃতিক গ্যাস ও কয়লার মজুদ খুবই সীমিত। অন্যদিকে জ্বালানী তেল, গ্যাস এবং কয়লা আমদানি করে বদ্যুৎ উৎপাদন করতে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হয়। বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে, দেশের মোট বিদ্যুতের ১০ শতাংশ পারমাণবিক শক্তি ব্যবহার করে উৎপাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। পারমাণবিক শক্তি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পরিবেশবান্ধব এবং জীবাশ্ম জ্বালানীর সাশ্রয়ী বিকল্প। এই প্রক্রিয়ায় কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন হয় না। সেই সাথে এমন কোনো ক্ষতিকারক রাসায়নিক উৎপাদন করে না, ফলে অ্যাসিড বৃষ্টি বা ওজোন স্তরের অবক্ষয় সৃষ্টি হবার মত বিপর্যয়ের সম্ভাবনা নেই। সেদিক থেকে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিশ্ব উষ্ণায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জীববৈচিত্র সংরক্ষণে কোন নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না। তবে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সবচেয়ে ভয়াবহ ঝুঁকি হল এর তেজষ্ক্রিয়তা। সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নির্গত বিকিরণের পরিমাণ অতি নগন্য। উদাহরণ দিয়ে বলা হয়, একজন রোগী চিকিৎসার জন্য এক্সরে করলে যে পরিমাণ বিকিরণ শোষণ করে, পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ২ হাজার বছরে সেই পরিমাণ তেজষ্ক্রিয়তা ছড়াবে। তারমানে কোন ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটলে, পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বেশ নিরাপদ। জীবাশ্ম জ্বালানী নির্ভর বদ্যুৎ কেন্দ্রের তুলনায় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে খুব কম জ্বালানী খরচ হয়। নতুন প্রজন্মের পারমাণবিক চুল্লিগুলো আগের তুলনায় আরো নিরাপদ, অধিক কার্যক্ষম এবং নির্ভরযোগ্য। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে তেজষ্ক্রিয় পদার্থ ইউরেনিয়াম কে জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পারমাণবিক জ্বালানীতে শক্তির পরিমাণ জীবাশ্ম জ্বালানীর চেয়ে কমপক্ষে দশ লক্ষ গুণ বেশি। সেজন্য পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে মাত্র এক গ্রাম ইউরেনিয়াম ব্যবহার করে ২ হাজার কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। এই পরিমাণ বদ্যুৎ উৎপাদন করতে কয়েক টন কয়লা প্রয়োজন। তাছাড়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ অন্যান্য প্রচলিত পদ্ধতির তুলনায় অনেক কম। যদিও এ ধরনের বদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তুলতে প্রাথমিকভাবে বহু টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। তবে এই বদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো দীর্ঘ মেয়াদে পরিচালনা করতে পারলে, বিদ্যুতের দাম বেশ সস্তা হয়ে আসে।
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কি নিরাপদ ?
বর্তমানে সারা বিশ্বের ৩১টি দেশে ৪৪৯টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। সমগ্র পৃথিবীর মোট বিদ্যুতের ১৪ শতাংশ উৎপাদিত হয় এসব পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে। এছাড়ও বর্তমানে ১৪টি দেশে ৬৮টি নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে আরো ২৭ টি দেশে ১৭৩ টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে ৩০টি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এমন দেশে নির্মিত হবে, যারা আগে কথনও পারমানবিক শক্তি ব্যবহার করেনি। বাংলাদেশও এরকম দেশের মধ্যে একটি। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। দেশটিতে মোট ৯৯ টি পারমানবিক চুল্লী রয়েছে। এরপরই আছে ফ্রান্স, জাপান, চীন এবং রাশিয়া। ফ্রান্সের আছে ৫৮ টি, জাপানের ৪২ টি, চীনের ৩৭ টি এবং রাশিয়ার ৩৫টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে। এছাড়া আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে বর্তমানে ২১ টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ চুল্লি চালু আছে এবং আরও ৬ টি নির্মাণাধীন রয়েছে। এর বাইরেও ভারতে আরো ২৪ টি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিকল্পনাধীন রয়েছে। বর্তমান বিশ্বে একদিকে জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে জীবাশ্ম জ্বালানীর বিকল্প হিসেবে পারমানবিক বিদ্যুৎ যেমন জনপ্রিয় হচ্ছে। বিপরীতে পারমানবিক দুর্ঘটনার ভয়াবহতা চিন্তা করে, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে সরে আসার প্রবণতাও বাড়ছে। এখনও পর্যন্ত বিশ্বের পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুলোতে ৫৭ টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিশেষজ্ঞরা এগুলোকে ‘অসঙ্গতি’ থেকে ‘ভয়াবহ দুর্ঘটনা’ পর্যন্ত ৭টি ভাগে ভাগ করেছেন। তবে ৩টি বিপর্যয়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা হল, ১৯৮৬ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে ঘটা চেরনবিল পারমানবিক বিপর্যয়। এবং সর্বশেষ বিপর্যয়টি ঘটেছিল ২০১১ সালে জাপানের ফুকুশিমা পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাংলাদেশে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল, এটি সঠিকভাবে পরিচালনা করা। ফুয়েল হ্যান্ডলিং, ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট এবং ইমারজেন্সি রেসপন্সের জন্য অত্যন্ত দক্ষ জনবল প্রয়োজন। এমনকি যারা পরিচালনা পর্ষদে থাকবে, তাদেরও এসব বিষয়ে অভিজ্ঞ হতে হবে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুর্নীতি
বাংলাদেশের সর্বকালের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এই প্রকল্পে, দু এক বছর আগে নজিরবিহীন দুর্নীতির অভিযোগ শোনা যায়। পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার জন্য বহুতল ভবন নির্মান করা হয়। এসব ভবনের ফ্ল্যাটগুলোর জন্য ১ হাজার ৩২০টি বালিশ কেনা হয়েছে, যার প্রতিটি বালিশের মূল্য ধরা হয়েছে প্রায় ছয় হাজার টাকা। এছাড়া একেকটি বালিশ নিচ থেকে উপরে তোলার জন্য ৭৬০ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। এর প্রতিবাদে অনেকেই বিক্ষোভ করে, বিষয়টিকে ‘ইতিহাসের সেরা লুট’ বলে আখ্যায়িত করেছে। বর্তমানে জ্বালানীর অভাবে দেশের অধিকাংশ বিদ্যুৎকেন্দ্র পুরোদমে চালানো যাচ্ছে না। ফলে সারাদেশে লোডশেডিং এর পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানী তেলের উপর নির্ভরশীলতা কমে আসবে। তখন দেশের মানুষ লোডশেডিং এর হাত থেকে রেহাই পাবে বলে আশা করা যায়।

Leave your thought here

Your email address will not be published. Required fields are marked *


দিন
ঘণ্টা
মিনিট
সেকেন্ড
আমাদের লাইভ ক্লাস শেষ হয়েছে, তবে আপনি এখন ফ্রি রেকর্ডেড কোর্সে ইনরোল করে দেখতে পারবেন।
আপনার রেজিস্ট্রেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

আপনার জন্য একটি একাউন্ট তৈরি হয়েছে। প্রদত্ত ইমেইল ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।

কোর্সের তারিখ: ০৩/১০/২০২৫
সময়: রাত ৯টা থেকে
(বাংলাদেশ সময়)

আপনার সঠিক - নাম, ইমেইল দিয়ে
Sign Up এ ক্লিক করুন।