ভারতের লাক্ষাদ্বীপ কি মালদ্বীপের বিকল্প হতে পারবে

maxresdefault (10)
কি কেন কিভাবে

ভারতের লাক্ষাদ্বীপ কি মালদ্বীপের বিকল্প হতে পারবে

২০২৪ সালের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারতের লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণে গিয়েছিলেন। মুহুর্তেই সামাজিক মাধ্যমে নরেন্দ্র মোদির এসব ভিডিও ব্যাপক ভাইরাল হয়ে যায়। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণের ভিডিও শেয়ার হওয়ার সাথে সাথে, নরেন্দ্র মোদির একদল কট্টরপন্থী সমর্থকেরা লাক্ষাদ্বীপকে মালদ্বীপের বিকল্প পর্যটন গন্তব্য হিসেবে গড়ে তোলার দাবি জানাতে থাকে। যদিও এ বিষয়ে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে কিছুই বলা হয়নি। তবুও মালদ্বীপের কিছু স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম প্রচার করতে শুরু করে যে, ভারত সরকার মালদ্বীপের পর্যটনশিল্পকে মোকাবেলা করার জন্য, বয়কট মালদ্বীপ নামে নতুন ক্যাম্পেইন শুরু করেছে। মালদ্বীপে ইতোমধ্যেই ভারত বিরোধী মনোভাব বিরাজ করছিল; নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণের পর থেকে সেই বিদ্বেষ আরো তীব্র হয়েছে। এরপর থেকে ভারত এবং মালদ্বীপের নাগরিকদের মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে এক অদৃশ্য যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে।

ভারতের লাক্ষাদ্বীপ কি মালদ্বীপের বিকল্প হতে পারবে ?

লাক্ষাদ্বীপের ইতিহাস

ভারত মহাসাগরে থাকা ৩৬ টি ছোট ছোট দ্বীপ মিলে লাক্ষাদ্বীপ গড়ে উঠেছে। এই দ্বীপে মানব বসতির ইতিহাস নিয়ে বহু মতভেদ রয়েছে। ধারণা করা হয় খ্রিষ্ট্রপূর্ব এক হাজার ৫০০ বছর আগে এখানে মানব বসতি গড়ে উঠেছিল। সপ্তম শতকে এই দ্বীপমালায় ইসলাম ধর্মের প্রসার ঘটে। অতীতে এই অঞ্চল চোল সাম্রাজ্য, কান্নুর রাজ্যের মত বিভিন্ন ভারতীয় রাজবংশের অধীনে ছিল। ১৪৯৮ থেকে ১৫৪৫ সাল পর্যন্ত প্রায় ৪৭ বছর পর্তুগীজরাও এই অঞ্চল দখলে নিয়েছিল। পরবর্তীতে বিভিন্ন শাসকের হাত বদলের পর, টিপু সুলতান লাক্ষাদ্বীপ শাসন করেন। ১৭৯৯ সালে টিপু সুলতানের মৃত্যুর পর ব্রিটিশরা লাক্ষাদ্বীপ দখল করে নেয়।

ভারতীয় উপমহাদেশ স্বাধীন হবার সময়, সবাই বাংলা, পাঞ্জাব এবং কাশ্মিরের ভাগ বাটেয়ারা নিয়ে ব্যস্ত ছিল। সেসময় লাক্ষাদ্বীপের ৯৩ শতাংশ জনগণ মুসলিম হওয়ার কারণে, পাকিস্থান লাক্ষাদ্বীপ দখল করার জন্য রওয়া দেয়। কিন্তু ভারতের কেরালার মালাবার উপকূল থেকে মাত্র ৫০০ কিলোমিটার দূরে হওয়ার কারণে, ভারতীয়রাই আগে লাক্ষাদ্বীপে পৌছাতে সক্ষম হয়, এবং ভারতীয় পতাকা উওোলন করে। সেই থেকে ভারত লাক্ষাদ্বীপের মালিকানা লাভ করে। এবং বর্তমানে লাক্ষাদ্বীপ ভারতের একটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসেবে রয়েছে।

৩৬ টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত এই দ্বীপমালার মোট আয়তন মাত্র ৩২ বর্গ কিলোমিটার। তবে ৩৬ টি দ্বীপের মধ্যে মাত্র ১০ টি দ্বীপ মানব বসতির উপযোগী। এসব দ্বীপে প্রায় ৬৫ হাজার লোক বসবাস করে। লাক্ষাদ্বীপের সবচেয়ে জনপ্রিয় জায়গাগুলোর মধ্যে কাভারাটি, মিনিকয়, আগাটি, কাদমাত, আমিনি এবং কালপেনি উল্লেখযোগ্য। এগুলো মধ্যে মিনিকয় দ্বীপ মালদ্বীপের খুব কাছে অবস্থিত। মিনিকয় থেকে মালদ্বীপের দূরত্ব মাত্র ৫৩ নটিক্যাল মাইল।

১৯৭৩ সালের আগ পর্যন্ত এখানকার দ্বীপগুলো তিনটি ভিন্ন ভিন্ন দ্বীপমালার অন্তর্ভূক্ত ছিল, পরবর্তীতে এখানকার সকল দ্বীপকে একত্রে বোঝাতে লাক্ষাদ্বীপ নামকরণ করা হয়। সংস্কৃত এবং মালায়ালাম ভাষায় যার অর্থ এক লাখ দ্বীপ।

বিতর্ক

নরেন্দ্র মোদি লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণের পর থেকে ভারতীয়রা যেমন একদিকে তাকে সাদুবাদ জানাতে থাকে। তেমনিভাবে মালদ্বীপের জনগণ আরো বেশি ভারত বিদ্বেষী মনোভাব প্রকাশ করতে শুরু করে। এদের মধ্যে মালদ্বীপের তিনজন প্রতিমন্ত্রীও নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করে সামাজিক মাধ্যমে বক্তব্য দেন। Maldives Association of Tourism Industry বা MATI এই সরকারের উচ্চ পদস্থ ব্যক্তিদের মন্তব্যের বিরোধীতা করে। পরবর্তীতে ভারত বিরোধী মন্তব্য করা তিনজন প্রতিমন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হয়। অন্যদিকে সর্ব ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সমিতি Confederation of All India Traders মালদ্বীপের সাথে ভারতের সকল বানিজ্যিক লেনদেন বাতিল করে দেওয়ার আবেদন করে।

ভারতীয়রা মনে করছে তারা মালদ্বীপে না গেলে, দেশটির পর্যটন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েবে। কিন্তু মালদ্বীপের মোট পর্যটকের মধ্যে ভারতীয়দের সংখ্যা মাত্র দশ শতাংশ। বাকি ৯০ শতাংশ পর্যটক বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে মালদ্বীপে বেড়াতে আসে। মাত্র কয়েক বছর আগেও, মালদ্বীপে ভ্রমণ করতে আসা ২০ শতাংশই ছিল চীনা পর্যটক। করোনা মহামারির পর থেকে চীনা পর্যটক কমতে শুরু করেছিল এবং ভারতীয় পর্যটক মালদ্বীপে বাড়ছিল। কারণ মালদ্বীপ হল ভারতের সবচেয়ে নিকটবর্তী সেরা আন্তর্জাতিক পর্যটন গন্তব্য, যেখানে ভ্রমণ করার জন্য ভারতীয়দের কোন ভিসার প্রয়োজন নেই। পৃথিবীর সকল দেশের পর্যটকদেরকেই মালদ্বীপে পৌছার পর অনএরাইভাল ভিসা দেওয়া হয়।

লাক্ষাদ্বীপের উত্থান

নরেন্দ্র মোদির সফরকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হবার পর থেকে লাক্ষাদ্বীপের পর্যটনে এক বিশাল সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। পর্যটনশিল্পের সাথে জড়িত ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোও মালদ্বীপকে উপেক্ষা করে, লাক্ষাদ্বীপকে এগিয়ে রাখছে। EaseMyTrip নামের ভারতীয় একটি ট্রাভেল কম্পানি তাদের ওয়েবসাইট থেকে মালদ্বীপের সকল ফ্লাইট এবং হোটেল বুকিং সেবা বন্ধ করে দিয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটির মালদ্বীপে অফিসও আছে। আরেক ভারতীয় ট্রাভেল কম্পানি MakeMyTrip জানিয়েছে, বয়কট মালদ্বীপ শুরু হবার পর থেকে, লাক্ষাদ্বীপে ভ্রমণ সংক্রান্ত অনলাইন সার্চ ৩ হাজার ৪০০ শতাংশ বেড়ে গেছে। এত বিপূল চাহিদার কারণে পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো লাক্ষাদ্বীপ নিয়ে নতুন নতুন প্যাকেজ তৈরীর কাজ শুরু করেছে।

লাক্ষাদ্বীপের পর্যটন

ভারত পর্যটন শিল্পে অনেক উন্নতি করেছে। প্রতিবছর বহু বিদেশী পর্যটক ভারতে ভ্রমণেও যাচ্ছে। কিন্তু লাক্ষাদ্বীপ কি আসলেই মালদ্বীপের বিকল্পপ হতে পারবে কিনা তা নিয়ে বেশ কিছু বিষয়ে সংশয় রয়েছে।

লাক্ষাদ্বীপে যাতায়াতের জন্য পর্যাপ্ত বিমান পরিসেবা নেই। ভারতের কেরালা রাজ্যের কোচিন থেকে শুধুমাত্র একটি বিমান কম্পানি লাক্ষাদ্বীপের আগাটি দ্বীপে ফ্লাইট পরিচালনা করে। এই ফ্লাইটেও খুব ছোট্ট একটি বিমান লাক্ষাদ্বীপে যায়, এবং যেখানে বিমান অবতরণ করে, সেটি কোন পূর্ণাঙ্গ বিমানবন্দরও নয়; এটি একটি রানওয়ের এয়ার স্ট্রিপ মাত্র। এই রকম নাজুক বিমান পরিসেবা দিয়ে মালদ্বীপের সাথে প্রতিযোগীতা করা তো দূরের কথা, পর্যটন ব্যবসা করাই মুশকিল। কারণ বিশ্বের প্রায় ৬০ টি বড় বড় শহর থেকে সরাসরি মালদ্বীপের ফ্লাইট রয়েছে। প্রতি সপ্তাহে ভারতীয় এয়ারলাইন্সেরই প্রায় ৫৮ টি ফ্লাইট মালদ্বীপে অবতরণ করে।

আকাশ পথের বিকল্প উপায় হল সাগর পথে লাক্ষাদ্বীপ পৌছানো। ৬টি যাত্রীবাহী জাহাজ কেরালার কোচিন থেকে লাক্ষাদ্বীপে পর্যটক পরিবহণ করে। এই পথে ভারতের মূল ভূখন্ড থেকে লাক্ষাদ্বীপ পৌছাতে সময় লাগে ১৪ থেকে ১৮ ঘন্টা।

অন্যদিকে মালদ্বীপের রাজধানী থেকে পর্যটন দ্বীপ গুলোতে যেতে, বা একটি দ্বীপ থেকে অন্যটিতে যাওয়ার জন্য অসংখ্য সিপ্লেন, স্পিডবোট ও জেট বোট রয়েছে। এসব দ্রুতগামী জলযানের সাহায্যে সমগ্র মালদ্বীপ আন্তঃসংযুক্ত।

লাক্ষাদ্বীপে যাওয়ার জন্য আরেক ধরনের ভোগান্তি আছে। ভারতীয়দের জন্যও এই দ্বীপে ভ্রমণের আগে এন্ট্রি পারমিট বা এক ধরনের অনুমতি নিতে হয়। এই পারমিটের জন্য থানা থেকে ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট, বৈধ কাগজ পত্র, পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং ৫০ রুপি ফি দিতে হয়। আবেদন করার প্রায় ১০ থেকে ১৫ দিন পর লাক্ষাদ্বীপে ভ্রমণের অনুমতি পাওয়া যায়। দ্বীপের জীব বৈচিত্র রক্ষার জন্য এই ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়া অন এরাইভাল ভিসার চেয়েও অনেক বেশি জটিল। ভারতীয়দের মালদ্বীপের মত ভিন্ন একটি দেশে যেতেও এ ধরনের কোন ঝামেলো পোহাতে হয় না, সেখানে নিজ দেশে ভ্রমণের জন্য এত জটিলতা মোটেও পর্যটন বান্ধব নয়।

লাক্ষাদ্বীপে পান করার মত সুপেয় পানি নেই। সাগরের মাঝে থাকা ছোট্ট এসব দ্বীপে মিঠা পানির সমস্যা একটি অতি সাধারণ বিষয়। আমাদের সেন্ট মার্টিন দ্বীপেও সুপেয় পানির ব্যাপক সঙ্কট রয়েছে। মালদ্বীপে সুপেয় পানির চাহিদা মেটানোর জন্য চারটি ওয়াটার ডিসালিনেশন প্লান্ট বা পানি বিশুদ্ধকরণ প্রকল্প রয়েছে। নরেন্দ্র মোদি অতি সম্প্রতি লাক্ষাদ্বীপে ওয়াটার ডিসালিনেশন প্লান্ট এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন। এর মাধ্যমে প্রথমে লাক্ষাদ্বীপের বাসিন্দাদের ঘরে সুুপেয় পানি পৌছানোর প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে।

পর্যটনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল হোটেল রিসোর্ট। মালদ্বীপে প্রায় দেড় শতাধিক পর্যটন দ্বীপে এক হাজারেরও বেশি আন্তর্জাতিক মানের বিলাসবহুল হোটেল রিসোর্ট রয়েছে, সেই তুলনায় লাক্ষাদ্বীপে তেমন কিছুই নেই। ভারতীয় গণমাধ্যম ফার্স্টপোস্টের বরাতে জানা যায়, লাক্ষাদ্বীপে সব মিলিয়ে মাত্র ১৫০ টিরও কম হোটেল রুম আছে। যা একটি পর্যটন কেন্দ্রের জন্য মোটেও উপযোগী নয়।

এছাড়াও লাক্ষাদ্বীপে এলকোহল নিষিদ্ধ। লাক্ষাদ্বীপে গরুর মাংসও নিষিদ্ধ হবার অলোচনা চলছে। এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা থাকলে, কোন পর্যটন কেন্দ্রকে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় করা প্রায় অসম্ভব। অন্যদিকে মালদ্বীপ মুসলিম দেশ হওয়া সত্তেও, হোটেল এবং রিসোর্ট গুলোতে এলকোহলের উপর কোন ধরনের নিষেধাজ্ঞা নেই।

২০২১-২২ সালে প্রায় ১৮ হাজার পর্যটক লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণ করেছে; যাদের মধ্যে বিদেশী পর্যটক ছিল মাত্র দুই জন। অন্যদিকে শুধুমাত্র ২০২২ সালেই প্রায় ১৮ লক্ষ পর্যটক মালদ্বীপে ভ্রমণ করেছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকে মালদ্বীপ এবং লাক্ষাদ্বীপের মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য নেই। কিন্তু পর্যটন অবকাঠামো এবং পর্যটকের সংখ্যার দিকে তাকালে সহজেই বোঝা যায়, ভারতের লাক্ষাদ্বীপ মালদ্বীপের বিকল্প হওয়া তো দূরের কথা, একটি সাধারণ পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেও লাক্ষাদ্বীপ ভালো গন্তব্য নয়।

লাক্ষা দ্বীপের সম্ভাবনা

বিতর্ক শুরু হবার পর থেকে লাক্ষাদ্বীপে পর্যটন আকর্ষণীয় করে তোলার ব্যাপক তোড়জোড় চলছে। ইতোমধ্যে লাক্ষাদ্বীপে ২০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আসার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। ভারতের টাটা গ্রুপ লাক্ষাদ্বীপে দুটি তাজ রিসোর্ট নির্মাণ করার পরিকল্পনা করেছে। 

লাক্ষাদ্বীপে পর্যটনের যেসব সঙ্কট রয়েছে, সেসব যদি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধানও করা হয়, তাহলেও তা ভারতের জন্য হিতে বিপরীত হতে পারে। কারণ লাক্ষাদ্বীপ পরিবেশগত ভাবে অত্যন্ত সংবেদনশীল এলাকা। এখানকার জীববৈচিত্র এমনিতেই হুমকির মধ্যে আছে, অবাধ পর্যটন গড়ে তুললে, এই অঞ্চলের জীববৈচিত্রের উপর মারাত্নক ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে।

Leave your thought here

Your email address will not be published. Required fields are marked *


দিন
ঘণ্টা
মিনিট
সেকেন্ড
আমাদের লাইভ ক্লাস শেষ হয়েছে, তবে আপনি এখন ফ্রি রেকর্ডেড কোর্সে ইনরোল করে দেখতে পারবেন।
আপনার রেজিস্ট্রেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

আপনার জন্য একটি একাউন্ট তৈরি হয়েছে। প্রদত্ত ইমেইল ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।

কোর্সের তারিখ: ০৩/১০/২০২৫
সময়: রাত ৯টা থেকে
(বাংলাদেশ সময়)

আপনার সঠিক - নাম, ইমেইল দিয়ে
Sign Up এ ক্লিক করুন।