ফি লি স্তি ন কেন স্বাধীন হতে পারবে না

maxresdefault (36)
জীবনযাপন

ফি লি স্তি ন কেন স্বাধীন হতে পারবে না

ভূমিকা

গাজায় দীর্ঘ এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরাইল মানব সভ্যতার ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইল এবং তার মিত্ররা এই হত্যাযজ্ঞকে এমনভাবে প্রচার করছে, যেন ৭ অক্টোবরে হামাসের হামলার কারণেই এই যুদ্ধ শুরু হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হল, দীর্ঘ ৭৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েল এমনভাবে ফিলিস্তিনীদের জমি দখল করেছে যে, বর্তমানে ফিলিস্তিন বলে বাস্তবে কোন এলাকা নেই।

জাতিসংঘে বসে বিশ্বের অর্ধশত মুসলিম দেশ সহ মানবাধিকারের ঝান্ডাবাহী পশ্চিমারা বড় বড় সব বুলি আওড়াচ্ছে। তারা এমনভাবে নাটক করে যাচ্ছে যেন টু স্টেট সলিউশন বা দ্বি-রাষ্ট্রব্যবস্থা বাস্তবায়িত হলেই এই অঞ্চলের সকল সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু ইসরাইল যে শুধু গাঁজা নয় সমগ্র ফিলিস্তিনকেই গিলে খেয়েছে সে বিষয়ে কেউ পরিষ্কারভাবে কোন কথা বলে না। ফিলিস্তিন শুধুমাত্র একটি কাগুজে রাষ্ট্র মাত্র, বাস্তবে ফিলিস্তিনের নিজস্ব কোন ভূমিই নেই।

ফি লি স্তি ন কেন স্বাধীন হতে পারবে না ?

দ্বি-রাষ্ট্র ব্যবস্থা

তৎকালীন বিশ্বের পরাশক্তি ব্রিটিশদের কূট পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনী ভূখন্ডকে দ্বিখন্ডিত করার দ্বি-রাষ্ট্র প্রস্তাব পাশ হয়। যার একটি রাষ্ট্র হবে ইহুদি সংখ্যাগরিষ্ঠ ইসরায়েল এবং অন্যটি আরব সংখ্যাগরিষ্ঠ ফিলিস্তিন। জাতিসংঘের সেই প্রস্তাবে, উড়ে এসে জুড়ে বসা ইহুদিদেরকে ফিলিস্তিনী ভূখন্ডের ৫৭ শতাংশ অঞ্চল দিয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে ফিলিস্তিনীরা জনসংখ্যায় বেশি হওয়া সত্ত্বেও, তাদেরকে নিজেদের মাতৃভূমির মাত্র ৪৩ শতাংশ অঞ্চল দেওয়া হয়। কিন্তু অবৈধ ইসরাইলি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সময়, তাদের জন্য নির্ধারিত ৫৭ শতাংশের বদলে ৭৮ শতাংশ জায়গা দখল করে। যার ফলে সাত লক্ষেরও বেশি ফিলিস্তিনীদেরকে তাদের ঘর-বাড়ি থেকে বিতাড়িত করা হয়। এবং বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনী শরনার্থী হয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নেয়। এই ঘটনাকে ফিলিস্তিনীরা “নাকবা” নামে উল্লেখ করে, যার অর্থ “বিপর্যয়”। নাকবার সময় ইসরায়েলীরা ফিলিস্তিনের প্রায় ৭৭৪ টি শহর ও গ্রাম এলাকা দখল করে নেয়। যার মধ্যে ৫৩১ টি এলাকা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলা হয়। যাতে করে ফিলিস্তিনীরা আবার ফিরে আসলেও তাদের নিজেদের এলাকায় আবার বসবাস করতে না পারে। বর্তমানে গাজায়ও ঠিক একই কাজ করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের স্যাটেলাইট UNOSAT এর তোলা ছবি বিশ্লেষণ করে জানা যায়, গাজার ১ লক্ষ ৬৪ হাজার অবকাঠামো ধ্বংস করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি, মসজিদ, হাসপাতাল, অফিস, বিশ্ববিদ্যালয় সহ সকল ধরনের বিল্ডিং। সবমিলিয়ে গাজার ৭৮ শতাংশ বিল্ডিংই সম্পূর্ণ ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। তারমানে ইসরায়েল যদি গাজায় যুদ্ধ বন্ধও করে, তারপরও এই মানুষগুলোর বসবাসের কোন জায়গা থাকবে না।

ইসরায়েল আরব যুদ্ধ

অন্যায়ভাবে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে মিশর, ইরাক, জর্ডান, লেবানন এবং সিরিয়া সম্মিলিতভাবে ইসরায়েল আক্রমণ করে। যা ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ হিসেবে পরিচিত। এই যুদ্ধে উল্টো ইসরায়েলই লাভবান হয়, তারা ফিলিস্তিনের বাকি অঞ্চলগুলোও দখল করে নেয়। যে অংশটুকু ইসরায়েল দখল করতে পারেনি সেসব এলাকা মিশর এবং জর্ডান ভাগাভাগি করে নেয়। গাজা উপত্যকা দখল করে মিশরের আর জর্ডান দখল করে পশ্চিম তীর। এই অঞ্চলটি জর্ডান নদীর পশ্চিম পাশে অবস্থিত হবার কারণে, জায়গাটি পশ্চিম তীর হিসেবে পরিচিত।

পরবর্তীতে ১৯৫৬, ৬৭, ৭৩ এবং ৮২ সালে আরবদেশগুলোর সাথে ইসরায়েলের আরও বেশ কয়েকবার যুদ্ধ হয়েছে। এসব যুদ্ধেও ফিলিস্তিনের ভাগ্যে দুর্ভোগ ছাড়া আর কিছুই জোটেনি। তবে ১৯৬৭ সালের যুদ্ধটি ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ছয় দিনের যুদ্ধ হিসেবে পরিচিত এই যুদ্ধে, ইসরায়েল সিরিয়ার গোলান মালভূমি, জর্ডানের কাছ থেকে পশ্চিম তীর এবং মিশরের কাছ থেকে গাজা ও সিনাই উপদ্বীপ দখল করে নেয়। এরফলে ফিলিস্তিনের যে সমস্ত এলাকা ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রনের বাইরে ছিল, সেগুলোও ইসরায়েল পাকাপোক্তভাবে দখল করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল এবং মিশর ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি সই করে। এর মাধ্যমে মিশর আবার তার হারানো জায়গা ফিরে পায়। কিন্তু ফিলিস্তিনীরা আর কখনও তাদের জায়গা পুনরুদ্ধার করতে পারেনি।

সহজ করে বলতে গেলে, বহু বঞ্চনার পর ফিলিস্তিনীরা যে সামান্য জায়গাটুকু পেয়েছিল, সেটুকু জায়গাও ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে তাদের হাতছাড়া হয়ে যায়। তখনই মূলত ফিলিস্তিনীদের ভাগ্যে চূড়ান্ত বিপর্যয় লেখা হয়ে যায়।

ইসরায়েলী স্যাটেলমেন্ট

একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র যেসব কারণে কখনোই গড়ে তোলা সম্ভব নয়, তারমধ্যে অন্যতম একটি কারণ হল, মানচিত্রে যে এলাকাটিকে ফিলিস্তিন হিসেবে দেখায়, বাস্তবে তার নিরঙ্কুশ অধিকার ফিলিস্তিনিদের হাতে নেই। যুদ্ধ শুরু হবার আগে গাজার উপর সকল ধরনের অবরোধ আরোপ করে, ইসরায়েল সরকার গাজাকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত কারাগারে পরিণত করেছিল। অন্যদিকে পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনের নিজস্ব এলাকার ভেতর এই ধরনের সুউচ্চ দেয়াল তুলে, ফিলিস্তিনের এলাকা গুলোকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। ফিলিস্তিনের একটি গ্রাম থেকে আরেকটি গ্রামে, একটি শহর থেকে আরেকটি শহরে যেতে হলে ধাপে ধাপে এ ধরনের বহু চেকপোস্ট পার হয়ে যেতে হয়। এসব চেকপোস্টে ফিলিস্তিনীদের নানাভাবে হেনস্তা করে ইসরায়েলী নিরাপত্তারক্ষীরা। তারমানে ফিলিস্তিনের ভূখন্ডে ফিলিস্তিনীদের স্বাধীনভাবে চলাচলের কোন অধিকার নেই।

কারণ ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের যেসব অঞ্চল দখল করেছিল, সেসব জায়গা ইহুদিরা দখল করে নিজেদের বসতি গড়ে তুলেছে। এসব বসতি ইসরায়েলি স্যাটেলমেন্ট হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে পূর্ব জেরুজালেম সহ পশ্চিম তীর এবং সিরিয়ার গোলান মালভূমিতে ইসরায়েলি স্যাটেলাররা এই মুহুর্ত পর্যন্ত অবাধে জমি দখল করেই চলেছে। ফিলিস্তিনের এলাকাগুলোতে, এরকম অসংখ্য অবধৈ ইসরায়েলী স্যাটেলমেন্ট রয়েছে। এরকম ছোট ছোট উপশহর গড়ে তুলে, ইসরায়েলীরা অত্যন্ত আরাম আয়েশের জীবন যাপন করছে। এসব ইসরায়েলী স্যাটেলার কলোনীর বাসিন্দাদের ইসরায়েল সরকার বিশেষ প্রণোদনা দেয়। বর্তমানে ইসরায়েলের জনগণের দশ ভাগের এক ভাগ লোক ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরে গড়ে ওঠা অবৈধ কলোনীগুলোতে বাস করে।

একটি স্যালেটমেন্ট থেকে আরেকটিতে যাতায়াতে জন্য রয়েছে উন্নত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। এসব সড়কের কারণে ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীর হাজার হাজার ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। যার ফলে নিজেদের দেশের একেকটি ছোট ছোট এলাকায় ফিলিস্তিনীরা ছিটমহলের মত আটকা পড়ে আছে। জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যের ১৩৮ টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু সেই স্বীকৃতি দিয়ে আসলে কিছু আসে যায় না কারণ, ফিলিস্তিনের সার্বভৌম এলাকা বলতে কিছু নেই। যা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের প্রধান শর্ত।

শান্তি চুক্তি

ইসরায়েল ফিলিস্তিন দ্বন্দ নিরসনের জন্য বহু শান্তি আলোচনা হয়েছে। যার মূল আলোচনার বিষয় ছিল দ্বি-রাষ্ট্র ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার জন্য কাজ করা, ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশন বা পিএলও এবং হামাস উভয় সংগঠনই প্রথম দিকে, ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের মানচিত্র অনুযায়ী স্বাধীন রাষ্ট্র গঠন করার ইচ্ছা পোষণ করত। কিন্তু ইসরায়েল যেহেতু প্রতিষ্ঠিত হয়েই গেছে, তাই পরবর্তীতে তারা ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের দাবি ছেড়ে দিয়ে, শুধু মাত্র ১৯৬৭ সালের আগের মানচিত্র নিয়ে নতুন রাষ্ট্র গঠন করার ব্যাপারে সম্মত হয়।

১৯৯৩ সালে অসেলো চুক্তির মাধ্যমে দ্বি রাষ্ট্র ব্যবস্থা বাস্তবায়নের সবচেয়ে সেরা সম্ভাবনা তৈরী হয়েছিল। সেই চুক্তি অনুয়ায়ী পিএলও ইসরায়েল কে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। কিন্তু ইসরায়েল ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয় নি। সেই অসলো চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ফিলিস্তিন নিজস্ব কোন সামরিক বাহিনী রাখতে পারবে না। অথচ ইসরায়েল বিশ্বের সবচেয়ে চৌকস সেনাবাহিনী গড়ে তুলবে। অসলো চুক্তিতে ফিলিস্তিনীদের উপর নানা অন্যায় শর্ত চাপিয়ে দেওয়ার পরও, ইসরায়েলের পক্ষে চুক্তি সই করা প্রধানমন্ত্রী ইতজাক রাবিনকে ইসরায়েলীরা ফিলিস্তিনের প্রতি উদার হিসেবে আখ্যা দেয়। এবং কট্টরপন্থী ইহুদিরা ইতজাক রাবিনকে গুলি করে হত্যা করে। অভিযোগ আছে যে সেই হত্যাকান্ডের পেছনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর হাত ছিল। পরবর্তীতে একটি গোপন ভিডিওতে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বলতে দেখা গেছে যে, তিনি পরিকল্পিতভাবে সেই শান্তি চুক্তি ভন্ডুল করেছিলেন।

কেন স্বাধীন হতে পারবে না

ইসরায়েলের প্রতিটি প্রধানমন্ত্রী একটি কাজ নিরলসভাবে করে গেছে, আর তা হল পশ্চিমতীরে অবৈধ স্যাটেলমেন্ট তৈরী করা। যদিও সমগ্র ইসরায়েল রাষ্ট্রই অবৈধ, তারপরও জাতিসংঘের ১৬৫ টি দেশ ইসরায়েলকে স্বীকৃতিও দিয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোও পশ্চিমতীরে ফিলিস্তিনীদের জমি দখল করে স্যাটেলমেন্ট গড়ে তোলা সমর্থন করে না। কারণ সকল আন্তর্জাতিক আইনে এটি সম্পূর্ণ অবৈধ। তবে বাস্তবে বিষয়টি বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া তো দূরের কথা, এ বিয়য়ে তেমন কোন আলোচনাই হয় না।

ইসরায়েলের পার্লামেন্টের একটি প্রস্তাবে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে যে, ফিলিস্তিনকে কখনই রাষ্ট্র হিসেবে আত্নপ্রকাশ করতে দেওয়া যাবে না। তারমানে ইসরায়েলের মূল রাজনৈতিক চিন্তাধারাই হল, ফিলিস্তিনকে সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন করে ফেলতে হবে। সেকারণেই রাষ্টীয় পৃষ্ঠপোশকতায় ফিলিস্তিনের জমি দখল করার মাধ্যমে একটু একটু করে ফিলিস্তিনের অস্তিত্ব নিঃশেষ করে ফেলা হচ্ছে।

এখন যদি বিশ্ব জনমতের চাপে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায়, ফিলিস্তিনীদের স্বাধীনতা দেওয়ার ব্যবস্থা করা ও হয়, তাহলে ফিলিস্তিন দেশটি কোথায় গড়ে উঠবে? এবং ফিলিস্তিনে বসবাস করা ইসরায়েলীদের কি হবে। হয় এসব ইসরায়েলী নাগরিকদেরকে ফিলিস্তিনের নাগরিকত্ব গ্রহণ করে, ফিলিস্তিনের অধীনে থাকতে হবে। তা না হলে এদেরকে ইসরায়েলে ফিরে যেতে হবে। কিন্তু বাস্তবে ইসরায়েল এর কোনটিই কখনও মেনে নিবে না।

তাই মোটাদাগে দুটি কারণে ফিলিস্তিন কখনও স্বাধীন রাষ্ট্র হতে পারবে না। প্রথমম স্বাধীন দেশ গঠেনের জন্য ফিলিস্তিনের কোন স্বার্বভৈৗম এলাকা নেই। এবং দ্বিতীয়ত ইসরায়েল যতদিন টিকে আছে, ততদিন তারা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে দিবে না।

ইসরায়েল ফিলিস্তিন দ্বন্দ সম্পর্কে কিকেনকিভাবে আরো বেশ কিছু ভিডিও তৈরী করেছে। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জটিল এই ভূরাজনৈতিক সঙ্কট আরো ভালোভাবে বুঝতে চাইলে ভিডিওগুলো দেখতে পারেন।

Leave your thought here

Your email address will not be published. Required fields are marked *


দিন
ঘণ্টা
মিনিট
সেকেন্ড
আমাদের লাইভ ক্লাস শেষ হয়েছে, তবে আপনি এখন ফ্রি রেকর্ডেড কোর্সে ইনরোল করে দেখতে পারবেন।
আপনার রেজিস্ট্রেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

আপনার জন্য একটি একাউন্ট তৈরি হয়েছে। প্রদত্ত ইমেইল ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।

কোর্সের তারিখ: ০৩/১০/২০২৫
সময়: রাত ৯টা থেকে
(বাংলাদেশ সময়)

আপনার সঠিক - নাম, ইমেইল দিয়ে
Sign Up এ ক্লিক করুন।