মুসলিম বিশ্ব ফি লি স্তি নে র পাশে নেই কেন

maxresdefault (40)
কি কেন কিভাবে

মুসলিম বিশ্ব ফি লি স্তি নে র পাশে নেই কেন

ভূমিকা

মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইল যখন আধুনিক যুগের সবচেয়ে নির্মম যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে, তখন মুসলিম বিশ্ব সম্পূর্ন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। দীর্ঘদিন যাবৎ আরব বিশ্বের দেশগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ছিল। ইসরায়েলের মত একটি অবৈধ রাষ্ট্রের সাথে আরবদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক কল্পনাও করা যেত না। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু আরব দেশ সেই অবস্থান থেকে সর্ম্পূণ সরে এসেছে।

অন্যদিেক ইসরায়েলের ভয়াবহ গণহত্যায় নিঃশর্ত সহায়তা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এই যুক্তরাষ্ট্রই আবার আরব বিশ্বের ক্ষমতাধর মুসলিম দেশগুলোর ঘনিষ্ট মিত্র। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া মানে যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষেপিয়ে তোলা। সেকারণে আরব বিশ্বের মুসলিম দেশগুলো ফিলিস্তিনীদের পাশে দাঁড়ানো তো দূরের কথা, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মৌখিক প্রতিবাদ করারও সাহস পায় না।

মুসলিম বিশ্ব কেন ফি লি স্তি নে র পাশে দাঁড়ায় না ?

আরব-ইসরায়েল সম্পর্ক

ভাষা, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যগত মিল থাকায়, মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার ২২টি দেশকে একসাথে বোঝাতে আরব বিশ্ব বলা হয়। দেশগুলোর স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব রক্ষার তাগিেদ ১৯৪৫ সালে আরবলীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। আরব রাষ্ট্রগুলোর মধ্যকার বিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা এবং বিদেশী শক্তির কবল থেকে আরব ভূখন্ডকে মুক্ত করার লক্ষ্যে আরবলীগের যাত্রা শুরু হয়েছিল। উল্লেখযোগ্য করা প্রয়োজন যে,  ইরান আরবলীগের সদস্য নয়, কারণ ইরান আরব দেশ নয়। ইরানের অধিকাংশ লোক ফার্সি ভাষায় কথা বলে।

১৯৪৮ সালে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে ফিলিস্তিনের প্রতিবেশী আরব দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এরপর ১৯৫৬, ১৯৬৭, ১৯৭৩, ১৯৮২ সালে আরব দেশগুলো এবং ইসরায়েলের মধ্যে একাধিক যুদ্ধ হয়েছে। কিন্তু কোন যুদ্ধেই আরবের দেশগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে জয়ী হতে পারেনি। আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে ইসরায়েলের বীরত্বের কারণেই হয়ত আরব দেশগুলো পরাজয় বরণ করেছিল। কিন্তু বিষয়টি মোটেও সেরকম নয়। তৎকালীন সময়ে সদ্য স্বাধীন হওয়া একটি দেশ ইসরায়েল, যাদের সংগঠিত কোন সেনাবাহিনীই ছিল না, তারা কিভাবে মধ্যপ্রাচ্যের শক্তিধর একাধিক দেশকে হারিয়ে দিতে পারে? এর অন্যতম কারণ হল, তখন ইসরায়েল মোটেও একা ছিল না। আরবদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল তৎকালীন দুই বিশ্ব পরাশক্তি যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র। পশ্চিমাদের সরাসরি মদদেই ইসরায়েলের মত ছোট্ট একটি দেশ মধ্যপ্রাচ্যে ত্রাসের রাজত্ব কয়েম করতে সক্ষম হয়।

ইসরায়েলের কাছে একাধিকবার যুদ্ধে পরাজিত হবার কারণেই মূলত, আরব দেশগুলো আর নতুন করে কোন সংঘাতে জড়াতে চায় না। কারণ তারা খুব ভালোভাবেই বুঝে গেছে যে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ মানে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে যুদ্ধ। যা তারা কিছুতেই করতে চায় না।

১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েল মিশরের সিনাই উপদ্বীপ দখল করে নিয়েছিল। মিশর তাদের হারানো ভূমি পুনরুদ্ধারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১৯৭৯ সালে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে। মিশরের পর দ্বিতীয় আরব দেশ হিসেবে জর্ডান ১৯৯৪ সালে ইসরায়েলের সাথে বন্ধুত্ব করে। এরপর ২০২০ সালে আব্রাহাম চুক্তির আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, মরক্কো এবং সুদান ইসরায়েলের সাথে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। আমেরিকার মধ্যস্থতায় ২০২৩ সালে সৌদি আরবও ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দ্বারপ্রান্তে পৌছে গিয়েছিল। কিন্তু ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার বিপরীতে ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা শুরু করার কারণে, সৌদি ইসরায়েল সম্পর্ক স্বভাবিকরণ প্রক্রিয়া থমকে যায়।

আরব বসন্ত

যে আরব মুসলিম দেশগুলো ইসরায়েলকে তাদের জাত শত্রু মনে করতো, তারাই কেন হঠাৎ করে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে শুরু করল? এর পেছনে কী শুধুই ইসরায়েলে কাছে অতীত যুদ্ধে পরাজয়ের গ্লানি? নাকি অন্য কিছু আছে?

অধিকাংশ আরব মুসলিম দেশগুলোতে মূলত একনায়কতান্ত্রিক শাসন বা রাজতন্ত্র বিদ্যমান। ২০১০ সালের পর থেকে পশ্চিমাদের মদদে আরবের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে তিউনিসিয়া, লিবিয়া, মিশর, ইয়েমেন, সিরিয়া এবং বাহরাইনে একযোগে গণআন্দোলন শুরু হয়। যা আরব বসন্ত নামে পরিচিত। আরব বসন্তের ফলে তিউনিসিয়ার বেন আলী, লিবিয়ার মুয়াম্মার গাদ্দাফি, মিশরের হুসনি মোবারক এবং ইয়েমেনের আলী আব্দুল্লাহ সালেহ ক্ষমতাচূত হন। এছাড়াও মরক্কো, ইরাক, আলজেরিয়া, লেবানন, জর্ডান, কুয়েত, ওমান এবং সুদানের মত বহু আরব দেশে ব্যাপক সরকার বিরোধী আন্দোলন গড়ে ওঠে। তখন আরব দেশের সরকার বা রাজতন্ত্রগুলো নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য আগের চেয়ে আরো বেশি মরিয়া হয়ে ওঠে। এদের অনেকেরই ক্ষমতা ধরে রাখার অন্যতম কার্যকরী সমাধানই ছিল পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমাদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করা।

মুসলিম এবং আরব বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে দাবি করা সৌদি আরবও তখন রাজতন্ত্র পতনের শঙ্কায় ছিল। কিন্তু সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের বহু পুরনো বন্ধু। ১৯৪৫ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট সৌদি আরবের প্রথম বাদশাহ আব্দুল আজিজের সাথে ঐতিহাসিক বৈঠক করেন। তারপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বহু প্রেসিডেন্ট বদল হলেও, সৌদি-মার্কিন বন্ধুত্বে কখনও ফাঁটল ধরেনি। মুসলিম বিশ্বে সবচেয়ে ঘৃনিত মার্কিন প্রেসিডেন্টদের একজন জর্জ ডব্লিউ বুশের সাথে, সৌদি বাদশাহ ফাহাদ এবং বাদশাহ আব্দুল্লাহর ছিল বিশেষ বন্ধুত্ব। ২০০১ সালে সৌদি নাগরিক ওসামা বিন লাদেন টুইন টাওয়ারে হামলা চালালেও, সেই বন্ধুত্বে ফাঁটল ধরেনি। টুইন টাওয়ারে সরাসরি হামলাকারীরা ১৯ জন ব্যক্তির ১৫ জনই ছিল সৌদি নাগরিক। সে হিসেবে আমেরিকার টুইন টাওয়ার হামলার প্রতিশোধ নেওয়া উচিত ছিল সৌদি আরবে হামলা করে। কিন্তু আমেরিকা সৌদি আরবের বদলে আক্রমণ করে ইরাকে এবং সৌদি আরবও যুক্তরাষ্ট্রকে সেই ইরাক আক্রমণে সহায়তা করে।

ইরানের পদক্ষেপ

বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ওআইসি র সদস্য ৫৭ টি দেশ। এদের মধ্যে ৪৯ টি দেশে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী। বিশ্ব রাজনীতি এবং সামরিক শক্তির দিক থেকে অধিকাংশ মুসলিম দেশের তেমন কোন প্রভাবই নেই। তাই ফিলিস্তিনের পক্ষে এসব মুসলিম দেশের সোচ্চার হওয়া না হওয়াতে কিছু আসে যায় না।

অবৈধভাবে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর মুসলিম দেশ হিসেবে প্রথম ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছিল তুরষ্ক। তারপর দ্বিতীয় মুসলিম দেশ হিসেবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় ইরান। কিন্তু তৎকালীন সময়ে তুরষ্ক এবং ইরানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ছিল অনেকটাই পশ্চিমা ঘেঁষা। বর্তমান সময়ে তুরষ্ক ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মুখে মুখে ফাঁকা বুলি আওড়ালেও, বাস্তবে ফিলিস্তিনীদের পক্ষে তাদের তেমন কিছুই করতে দেখা যায় না। ১৯৭৯ সালে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে, মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র ইরানই সক্রিয়ভাবে ফিলিস্তিনীদের পাশে দাঁড়িয়েছে। সেই সাথে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস, লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিযবুল্লাহ এবং ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের মদদ দিয়ে গেছে ইরান। তবে ইরানও দীর্ঘদিন শুধুমাত্র মুখে মুখেই ইসরায়েলের সমালোচনা করেছে; সরাসরি কোন ধরনের সামরিক সংঘাতে জড়ায়নি। সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েল একের পর এক সিরিয়ায় ইরানের দুতাবাসে হামলা, ইরানের ভূখন্ডে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া কে হত্যা এবং সবশেষে লেবাননে হিযবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করেছে। এতদিন ইরান ছায়া যুদ্ধে লিপ্ত থাকলেও, ২০২৪ সালেই প্রথম ইসরায়েলে দুই দফায় সরাসরি সামরিক হামলা করেছে। কিন্তু ইরানের এসব পদক্ষেপে ইসরায়েলের বর্বরতা তো থামেইনি; বরং তা ফিলিস্তিন ছাড়িয়ে লেবানন ও সিরিয়ায়ও ছড়িয়ে পড়েছে।

আরব-মার্কিন সম্পর্ক

ইরানের একার পক্ষে ইসরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেকে সামাল দেওয়া সম্ভব নয়। ইরানের বাইরে অন্য যেসব মুসলিম দেশের সামরিক সক্ষমতা আছে তারা হল, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশরের মত আরব দেশগুলো। কিন্তু এদের সবাই মূলত আমেরিকার অস্ত্রের বলেই সামরিক সক্ষমতা অর্জন করেছে। তারচেয়েও বড় কথা হল, শিয়া-সুন্নী বিভাজন এবং আঞ্চলিক ও মুসলিম বিশ্বে আধিপত্য প্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে, সৌদি আরব এবং ইরান একে অন্যের তীব্র প্রতিদ্বন্দী। ইরান কে দমন করার জন্যই সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ঘনিষ্ঠতা আরো বাড়িয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রের সবচেয়ে বড় ক্রেতা সৌদি আরব। শুধু তাই নয় যুক্তরাষ্ট্র যে ১০ টি দেশে সবচেয়ে বেশি অস্ত্র বিক্রি করে, সৌদি আরব একাই বাকি নয়টি দেশের সমপরিমাণ অস্ত্র যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিনে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে তৃতীয় সর্বোচ্চ অস্ত্র কেনা দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। আরব আমিরাত তাদের চেয়ে প্রায় ৯২ গুণ বড় দেশ অস্ট্রেলিয়ার সম পরিমাণ অস্ত্র যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিনে থাকে। এমনকি পৃথিবীর অন্যতম ক্ষুদ্রদেশ কাতারও যুক্তরাষ্ট্রের থেকে অস্ত্র কেনা দেশের তালিকায় ৬ষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। শুধু তাই নয়, সৌদি আরব, কাতার, আরব আমিরাত, জর্ডান, কুয়েত, ইরাক, ইরান, সিরিয়ার মত আরব দেশে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক সামরিক এবং বিমান ঘাঁটি রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের এসব আরব দেশগুলোতে প্রায় ৪৫ হাজার মার্কিন সেনা সবসময় নিয়োজিত থাকে।

অস্ত্র কেনা-বেচা এবং সামরিক চুক্তির বাইরে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আরব মুসলিম দেশগুলো সবচেয়ে বড় স্বার্থ হল হল তাদের জ্বালানী বানিজ্য। আরব বিশ্বের খনিজ তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের একটি বড় অংশ যুক্তরাষ্ট্র কিনে থাকে। যদিও এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক জ্বালানীর সবচেয়ে ক্রেতা চীন; তবুও যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যের জ্বালানী বাজার ওলট পালট করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তাই আরবরা তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখার স্বার্থেও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সব সময় সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করে।

মুসলিম দেশের নিরবতা

সত্যিকার অর্থে বিশ্বে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ আছে অনেক, কিন্তু প্রকৃত মুসলিম দেশ একটিও নেই। কারণ কোন মুসলিম দেশই ইসলামের নীতি অনুযায়ী প্রকৃত ন্যায় পরায়ন শাসক দ্বারা পরিচালিত হয় না। অধিকাংশ শক্তিধর মুসলিম দেশগুলোতেই রাজতন্ত্র বিদ্যমান। অথচ ইসলাম মোটেও রাজতন্ত্র সমর্থন করে না। তাই এরা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সামরিক শক্তি এবং অর্থনৈতিক আধিপত্যবাদের উপর নির্ভরশীল। আর তাদের সেই প্রচেষ্টার ঘনিষ্ট অংশীদার যুক্তরাষ্ট্র।

ফিলিস্তিনীদের উপর ইসরায়েল সরাসরি বর্বরতা চালিয়ে গেলেও, এই অপশক্তির অদৃশ্য এবং অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ হল যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েল যদি নিজেদের সক্ষমতায় যুদ্ধ করত,তাহলে তারা এক মাসের বেশি এই অমানবিক যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারত না। ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে সাম্প্রতিক যুদ্ধ শুরু হবার আগ পর্যন্ত, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে প্রায় ১৫৮ বিলিয়ন ডলারের সামরিক এবং আর্থিক সহায়তা দিয়ে এসেছে। গাজায় যুদ্ধ শুরু করার পর যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়েছে প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার বা ৩ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। ফিলিস্তিনে যেসব বোমা ফেলে নিরীহ শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে, তার প্রায় সবই মেড ইন ইউএসএ। তারমানে যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েল কে সহায়তা না করত, তাহলে এই যুদ্ধ কখনই গণহত্যার পর্যায়ে পৌছাত না।

যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল কাগজে কলমে আলাদা দেশ হলেও, ইসরায়েল মূলত মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের উপনিবেশ হিসেব কাজ করে। আর এই অপবিত্র শক্তির অন্যতম অংশিদার হল মধ্যপ্রাচের আরব মুসলিমদেশ গুলো। এমন পরিস্থিতিতের ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়িয়ে ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে কথা বলা মানে, যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কথা বলা। ইসরায়েলকে প্রতিহত করার চেষ্টা মানে, যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিহত করা। কিন্তু আরব বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলো নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য কখনই যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যাবে না। আর সেকারনেই তারা ফিলিস্তিনের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো তো দূরের কথা, উল্টো ইসরায়েলের সাথে বন্ধুত্ব করে বসে আছে।

Leave your thought here

Your email address will not be published. Required fields are marked *


দিন
ঘণ্টা
মিনিট
সেকেন্ড
আমাদের লাইভ ক্লাস শেষ হয়েছে, তবে আপনি এখন ফ্রি রেকর্ডেড কোর্সে ইনরোল করে দেখতে পারবেন।
আপনার রেজিস্ট্রেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

আপনার জন্য একটি একাউন্ট তৈরি হয়েছে। প্রদত্ত ইমেইল ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।

কোর্সের তারিখ: ০৩/১০/২০২৫
সময়: রাত ৯টা থেকে
(বাংলাদেশ সময়)

আপনার সঠিক - নাম, ইমেইল দিয়ে
Sign Up এ ক্লিক করুন।