গ্রেটার ইসরায়েল

maxresdefault (9)
জীবনযাপন

গ্রেটার ইসরায়েল

ভূমিকা

ইসরায়েল তার বর্তমান সীমানা ছাড়িয়ে, প্রতিবেশী দেশ মিশর, জর্ডান, লেবানন, সিরিয়া, ইরাক, সৌদি আরব সহ আশে পাশের কয়েকটি দেশ দখল করে বিশাল এক দেশ গড়ে তুলতে চায়। একেই বলা হয় গ্রেটার ইসরায়েল।

এতদিন পর্যন্ত এই ধারণাকে শুধু ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বলে উড়িয়ে দেওয়া হলেও, ইসরায়েলের মানবতাবিরোধী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার গ্রেটার ইসরায়েল ধারনা বাস্তবায়নের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে উচ্চারণ করেছে।

বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিতর্কিত গ্রেটার ইসরায়েল স্বপ্ন আরব ও মুসলিম দেশগুলোতে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। যার ফলে ফিলিস্তিনের গাজায় দীর্ঘদিন থেকে গণহত্যা আর জাতিগত নিধনে চুপ থাকা আরব বিশ্বের টনক নড়েছে। নিজেদের ভুখন্ড হারানোর ভয়ে জর্ডান এবং মিশর গ্রেটার ইসরায়েল ধারণার নিন্দা জানিয়েছে।

গ্রেটার ইসরায়েল আসলে কী?

গ্রেটার ইসরায়েল কী?

গ্রেটার ইসরায়েল ধারণার মূলত দুটি সংস্করণ রয়েছে। একটি ছোট পরিসরে, আরেকটি বৃহত্তর পরিসরে। বর্তমানে ছোট পরিসরে গ্রেটার ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে।

ছোট পরিসরে গ্রেটার ইসরায়েল বলতে সাধারণত, বর্তমান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইসরায়েল রাষ্ট্রের সীমানার সঙ্গে দখলকৃত গোলান মালভূমি, পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকা যোগ করে সমগ্র ভূমিকে “গ্রেটার ইসরায়েল” বলা হয়।

অন্যদিকে বৃহত্তর অর্থে গ্রেটার ইসরায়েল মানে হল, নীল নদ থেকে ইউফ্রেটিস নদী পর্যন্ত বিস্তৃত, বাইবেলে বর্ণিত প্রতিশ্রুত ভূমির পরিসীমা। এই ব্যাখ্যা অনুসারে মিসরের সীনাই উপদ্বীপ ও নাইল নদীর পূর্ব তীর, সমগ্র ঐতিহাসিক ফিলিস্তিন, জর্দান নদীর পূর্বাঞ্চল বা বর্তমান সমগ্র জর্দান দেশ, লেবানন, সিরিয়ার বড় অংশ এবং ইরাক ও সৌদি আরবের কিছু অংশও এই “প্রতিশ্রুত ভূমি”র মধ্যে পড়ে।

বাইবেলে আব্রাহাম বা হযরত ইব্রাহিম (আ) এর বংশধরদের উদ্দেশ্যে মিসরের নীল নদ থেকে ইউফ্রেটিস নদী পর্যন্ত” ভূমি দেওয়ার কথা উল্লেখ আছে।

আধুনিক জায়নবাদের জনক থিওডর হার্জল তার ডায়রিতে ইঙ্গিত করেছিলেন যে, ভবিষ্যৎ ইহুদি রাষ্ট্রের ভৌগোলিক সীমানা রাজা সলোমন ও দাউদের আমলের প্রাচীন ইসরায়েলের মতো বিস্তৃত হবে। এই রাজা সলোমন ও দাউদ ইসলাম ধর্মে সুলাইমান ও দাউদ (আ) হিসেবে পরিচিত। সেই ধারণা বাস্তবায়িত হলে মিসর, লেবানন, সিরিয়া, ইরাক, কুয়েত, সৌদি আরব ও পুরো জর্দানসহ বিশাল আরব ভূখণ্ড ইসরায়েলের আওতায় আসবে।

ইসরায়েলি সমাজে গ্রেটার ইসরায়েল ধারণা

ইসরায়েলের সাধারণ মানুষের মধ্যে ‘গ্রেটার ইসরায়েল’ ধারণা অতীতে অতটা প্রকট ছিল না। ফিলিস্তীনী ভূখন্ড দখল করে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর, প্রথম কয়েক দশক বামপন্থী জায়নিস্টরা সীমিত ভূখণ্ডে একটি ইহুদি রাষ্ট্রকে বাস্তব সমাধান হিসেবে মেনে নিয়েছিল। তবে ডানপন্থী রিভিশনিস্ট জায়নিস্টরা শুরু থেকেই ব্রিটিশ ম্যান্ডেটভুক্ত পুরো ফিলিস্তিনকে ইসরায়েলের ভবিষ্যৎ ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে আসছিল।

১৯৬৭ সালের ছয়দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল যখন ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর, গাজা, পূর্ব জেরুসালেম, গোলান মালভূমি এবং সিনাই উপদ্বীপ দখল করে নেয়, তখন গ্রেটার ইসরায়েল ধারণা নতুন শক্তি পায়। ধর্মীয় ও জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠীগুলো একে বাইবেল প্রদত্ত অধিকার হিসেবে ব্যাখ্যা করে দখলকৃত অঞ্চলে বসতি স্থাপন করতে শুরু করে।

বর্তমানে এই ধারণা ইসরায়েলের ডানপন্থী ও ধর্মীয় জাতীয়তাবাদী রাজনীতিকদের মধ্যে প্রবলভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী সরাসরি জর্দান নদীর দু’পারেই ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব দাবি করেছে।

ইসরায়েলের বর্তমান অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ ২০২৩ সালের মার্চে, প্যারিসে এমন একটি মানচিত্রের সামনে বক্তব্য দেন যাতে জর্দান ও পশ্চিম তীরকে ইসরায়েলের অংশ হিসেবে দেখানো হয়। একই বক্তৃতায় সে উদ্ধতভাবে ঘোষণা করে, “প্যালেস্টিনি বলে আদৌ কোনও জনগোষ্ঠী নেই”। এবং সে পুরো ভূমির উপর ইহুদি অধিকার জোরালোভাবে দাবী করে।

এমনকি সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলের সৈন্যদের ইউনিফর্মেও “নাইল টু ইউফ্রেটিস” প্রতীকের ব্যবহার দেখা গেছে, যা বৃহত্তর ভূখণ্ডে গ্রেটার ইসরায়েল আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।

গ্রেটার ইসরায়েল বাস্তবায়নে জায়নিস্টদের কার্যক্রম

জায়নিস্টরা ইতিহাস জুড়েই নানা ধাপে গ্রেটার ইসরায়েল ধারণা বাস্তবায়নের দিকে কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। শরুর দিকের জায়নিস্ট নেতারা কৌশলগত কারণে প্রথমে আংশিক ভূখণ্ডে ইহুদি রাষ্ট্র মেনে নিলেও পরবর্তী কালে পুরো ভূমি দখলের বাসনা লালন করত।

ইসরায়েলের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেন-গুরিয়ন ১৯৩৭ সালে তার পুত্রকে লেখা চিঠিতে বলেছিল, “কোনও জায়নিস্টই ইসরায়েলের ভূমির একটুকরো অংশও পরিত্যাগ করতে পারে না। আংশিক ভূখণ্ডে একটি ইহুদি রাষ্ট্র আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য নয়, বরং সূচনা মাত্র… একটি ছোট রাষ্ট্র আমাদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে, আর ক্ষমতা বাড়লেই আমরা সমগ্র দেশ দখলে আরও সক্ষম হব”।

ইসরায়েলের ১ম রাষ্ট্রপতি চেইম ওয়েইজম্যানও একই সময় ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে লেখা চিঠিতে ইঙ্গিত দেন যে, সাময়িকভাবে সীমিত ভূখণ্ড মেনে নিলেও “২৫-৩০ বছরের মধ্যে আমরা পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়ব”।

জায়নবাদী নেতাদের এই নীতিগত অবস্থান পরবর্তী সময়ে সত্যে পরিণত হয়। ইসরায়েল তার জন্মলগ্ন থেকেই ভূখণ্ড প্রসারের উপায় হিসেবে যুদ্ধকে ব্যবহার করেছে। ১৯৪৮ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে ইসরায়েল রাষ্ট্র জাতিসংঘ স্বীকৃত সীমানার চাইতেও ২২% বেশি এলাকা দখল করে।

পরে ১৯৬৭ সালের যুদ্ধ ইসরায়েলকে একলাফে পশ্চিম তীর, গাজা, পূর্ব জেরুসালেম, সিরিয়ার গোলান এবং মিসরের সিনাই উপদ্বীপ দখলের সুযোগ করে দেয়। এই বিজয়কে গ্রেটার ইসরায়েল বাস্তবায়নের ঈশ্বরীয় সংকেত মনে করে উগ্রপন্থীরা অবিলম্বে এসব এলাকায় আধিপত্য পোক্ত করার পদক্ষেপ নেয়।

যদিও আন্তর্জাতিক চাপে ১৯৭৯ সালে ক্যাম্প ডেভিড চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েল মিসরকে সিনাই উপদ্বীপ ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়। তবে ১৯৬৭-র পরপরই গোলান মালভূমি, পশ্চিম তীর ও গাজায় অসংখ্য ইসরায়েলি বসতি স্থাপন শুরু হয়। সেই থেকে ইসরায়েল নিত্যনতুন অবৈধ বসতি গড়েই যাচ্ছে। সম্প্রতি ফিলিস্তিনী এলাকায় বহু নতুন আবাসন ইউনিট অনুমোদনের ঘোষণা দিয়ে অর্থমন্ত্রী স্মোট্রিচ বলেছিল, এতে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের সম্ভাবনার “কবর রচিত” হবে।

অবৈধভাবে ফিলিস্তিনী অঞ্চলে বসতি স্থাপন করা গ্রেটার ইসরায়েল ধারণা বাস্তবায়নের অন্যতম হাতিয়ার হিসাবে দেখা হয়।

বর্তমানে যুদ্ধকালীন সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গাজা পুনর্দখলের পর সেখানেও নতুন করে ইহুদি বসতি স্থাপনের আলোচনা চলছে। নেতানিয়াহু সরকার গাজার প্রসঙ্গে বলছে, “আমরা তাদের জোর করে তাড়াচ্ছি না, তবে তাদের চলে যেতে দিচ্ছি”। গাজার ২১ লক্ষ অধিবাসীকে বাইরে চলে যেতে উত্সাহিত করার অর্থ দাঁড়ায় অঞ্চলটিকে ফিলিস্তিনি-শূন্য করা।

ইয়নন পরিকল্পনা

জায়নিস্টদের একটি আলোচিত এবং বিতর্কিত কৌশল হলো আশপাশের শক্তিশালী আরব দেশগুলোকে দুর্বল ও খণ্ডিত করে রাখা। যাতে তারা কখনও ইসরায়েলের জন্য হুমকি না হয়ে উঠতে পারে।

১৯৮২ সালে ইসরায়েলের একজন কৌশলবিদ ওডেড ইয়িনন তার একটি প্রবন্ধে বলেন, ইসরায়েলকে সামরিক-অর্থনৈতিক দাপট বজায় রাখতে হলে আশপাশের আরব রাষ্ট্রগুলোকে বিভক্ত করে ক্ষুদ্র জাতিগত বা সম্প্রদায়ভিত্তিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, লেবাননকে খ্রিস্টান-মারোনাইট রাষ্ট্র ও মুসলিম রাষ্ট্রে ভাগ করা, সিরিয়াকে সুফি-আলাওয়ি, সুন্নি, কুর্দি ইত্যাদি ছোট ছোট টুকরায় ভাগ করা, ইরাককে শিয়া, সুন্নি, কুর্দি রাজ্যে ভাগ করা – এভাবে প্রত্যেককে দুর্বল করা। যাতে তারা ইসরায়েলের সুবিধাজনক “স্যাটেলাইট” বা মিত্র ছায়া রাষ্ট্র হয়ে থাকে। এই ধারণা পরবর্তীতে “ইয়নন পরিকল্পনা” নামে পরিচিতি পায়।

১৯৭০-৮০ দশকে লেবাননের গৃহযুদ্ধ ও ১৯৮২ সালে ইসরায়েল লেবাননে আক্রমণের সময় মারোনাইট খ্রিস্টানদের একটি আলাদা রাষ্ট্র গঠন করতে পৃষ্ঠপোষকতা করে ইসরায়েল।

ইসরায়েল বহু বছর ধরে সিরিয়ায় শত শত বিমান হামলা চালিয়েছে এবং দক্ষিণ সিরিয়ায় “নিরাপত্তা অঞ্চল” তৈরির চেষ্টা করেছে। ২০২৪ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসন হঠাৎ করে ভেঙে পড়লে ইসরায়েলি ট্যাংক দ্রুত সীমান্ত পেরিয়ে সিরিয়ার অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে এবং গোলান মালভূমি লাগোয়া সিরীয় ভূখণ্ডে একের পর এক ঘাঁটি স্থাপন করতে থাকে।

ধারণা করা হচ্ছে,  দক্ষিণ সিরিয়া জুড়ে “দাউদ করিডোর” নামে একটি সম্ভাব্য করিডোর তৈরি করে ইসরায়েল হয়তো এই অঞ্চলে স্থায়ী প্রভাব রাখতে চাচ্ছে। যা ভবিষ্যতে সরাসরি সিরিয়ার ভূখণ্ড দখল করতে ইসরায়লকে সুবিধা দিবে।

নেতানিয়াহুর গ্রেটার ইসরায়েল স্বপ্ন: পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন

নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক জীবনের দিকে তাকালে দেখা যায়, বহুকাল আগে থেকেই সে গ্রেটার ইসরায়েল ধারণা পোষণ করে আসছে। যদিও অতীতে নেতানিয়াহু সরাসরি গ্রেটার ইসরায়েল শব্দটি উচ্চারণের বিষয়ে সতর্ক ছিল। কিন্তু ২০২৫ সালের আগস্টে নেতানিয়াহু প্রকাশ্যেই গ্রেটার ইসরায়েল ধারনার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে।

নেতানিয়াহুর বাবা বেঞ্জিয়ন নেতানিয়াহু ছিল জেবোটিনস্কি মতাদর্শে বিশ্বাসী এক বুদ্ধিজীবী, যাঁর প্রভাব বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর উপর গভীরভাবে পড়েছে। নেতানিয়াহু ১৯৯৩ সালে তার লেখা “এ প্লেস অ্যামং দ্য নেশনস: ইসরায়েল অ্যান্ড দ্য ওয়ার্ল্ড” বইতে দাবি করে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর সময়ে পশ্চিমা বিশ্ব ইহুদিদের যে “স্বদেশ” দেয়ার প্রতিশ্রুতি করেছিল, তা পুরোপুরি রক্ষা করা হয়নি। তার মতে আসল প্রতিশ্রুতি ছিল জর্ডান নদীর উভয় পারসহ সমগ্র প্যালেস্টাইন ইহুদিদের রাষ্ট্র হবে। যদিও নেতানিয়াহুর এই দাবি পুরোটাই ভিত্তিহীন।

ইসরােয়েলের সর্বশেষ নির্বাচনে নেতানিয়াহু কট্টর-ডানপন্থী জোট সরকার গঠন করার পরই বোঝা যায়, এবার তার সরকার ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ও আশপাশের অঞ্চল দখল করা ক্ষেত্রে আগের চেয়ে অনেক বেপরোয়া নীতি গ্রহণ করবে।

২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের আক্রমণের জবাবে ইসরায়েল গাজায় যে ব্যাপক যুদ্ধ শুরু করে, তার মূল উদ্দেশ্যই ছিল স্থায়ীভাবে গাজা দখল করা। ২০২৪ সালের মাঝামাঝি ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা “গাজা সিটি পূর্ণ দখল” করার পরিকল্পনা অনুমোদন করে।

২০২৫ সালের আগস্টে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান দাভিদ বারনেয়া কাতারের আমিরের সাথে বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়েছে, হামাসকে পরাজিত করার জন্য নয়, বরং সেখানে ইসরায়েলের স্থায়ী উপস্থিতি গড়ে তোলার জন্য গাজা দখলের পরিকল্পনা চলছে।

তারমানে, গ্রেটার ইসরায়েল এখন আর কোন প্রান্তিক ধারণা নয়, বরং ইসরায়েলের সরকার এই নীতি বাস্তবায়নের জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

Leave your thought here

Your email address will not be published. Required fields are marked *


দিন
ঘণ্টা
মিনিট
সেকেন্ড
আমাদের লাইভ ক্লাস শেষ হয়েছে, তবে আপনি এখন ফ্রি রেকর্ডেড কোর্সে ইনরোল করে দেখতে পারবেন।
আপনার রেজিস্ট্রেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

আপনার জন্য একটি একাউন্ট তৈরি হয়েছে। প্রদত্ত ইমেইল ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।

কোর্সের তারিখ: ০৩/১০/২০২৫
সময়: রাত ৯টা থেকে
(বাংলাদেশ সময়)

আপনার সঠিক - নাম, ইমেইল দিয়ে
Sign Up এ ক্লিক করুন।