শিশুরা পড়তে চায় না কেন
শিশুরা পড়তে চায় না কেন
ভূমিকা
শিক্ষা একটি জাতির মেরুদণ্ড। এটি শুধু ব্যক্তিগত সাফল্যের চাবিকাঠি নয়, বরং সামাজিক উন্নয়নের ভিত্তিও বটে। তবে, বর্তমানে শিশুদের মধ্যে ব্যাপকহারে পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ হারানোর প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাচ্চাদেরকে পড়ার কথা বললে তারা অজুহাতের পাহাড় তৈরি করে! কিন্তু মোবাইল ফোন হাতে দিলেই যেন সে এক নতুন জগতে ঢুকে যায়। ঘুম থেকে ওঠা থেকে রাতে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত মোবাইল স্ক্রিনই এখন তাদের সঙ্গী।
পড়ালেখার প্রতি তীব্র অনীহা থাকলেও, শিশুদের স্মার্টফোন আসক্তির মূল কারণ হল, এতে থাকা নানা ইন্টারেক্টিভ বিনোদন তাদের মনোযোগ ধরে রাখতে পারে; যা সাধারণত বই বা প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা দিতে পারে না।
আমাদের আজকের পর্বটি স্পন্সর করেছে, দ্য রয়েল সাইন্টিফিক পাবলিকেশনস। বিভিন্ন একাডেমিক সহায়ক বই থেকে শুরু করে, শিশু কিশোরদের বিজ্ঞান মনস্ক করে গড়ে তুলতে রয়েল সাইন্টিফিক পাবলিকেশনস বিজ্ঞান ভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের বই এবং ম্যাগাজিন প্রকাশ করে আসছে।
শিশুদের অনীহার কারণ
বাংলাদেশে বেশিরভাগ শিশুই পড়ালেখা করতে চায় না, বরং জোর করে তাদের স্কুলে পাঠানো হয়। বাবা-মায়েরা বকাঝকা করে কিংবা শাস্তি দিয়ে তাদের পড়তে বাধ্য করেন। শিক্ষাব্যবস্থার কাঠামো এবং শিক্ষার উপকরণ শিশুদের মনোযোগ ধরে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। বিশেষত, আদর্শলিপির মতো শিশু শিক্ষার প্রাথমিক বইগুলোতে এমন কঠিন, দুর্বোধ্য ও অপ্রয়োজনীয় শব্দ শেখানো হয়, যা তাদের বয়স ও অভিজ্ঞতার সাথে একেবারেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। যেমন, শিশুদের প্রথম বাক্যটিই শেখানো হয় অ তে অজগর। অজগরটি আসছে তেড়ে। তারমানে লেখা পড়া শুরুই করানো হয় ভয় দিয়ে। তাছাড়া শিশুদের ঐ তে ঐরাবত এর মত এমন সব শব্দ শেখানো হয়, বাস্তবে যা কোথাও ব্যবহারই হয় না।
শিক্ষাকে ভীতিকর করে তোলার কারণে প্রথম দিন থেকেই শিশুরা শিক্ষা থেকে আনন্দ হারিয়ে ফেলে। উপরন্তু, পাঠ্যবইগুলোতে শিশুদের মানসিক ক্ষমতা ও বয়সের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বিষয়বস্তু থাকে। তিন-চার বছরের একটি শিশু সাধারণত ৪৫০ টি পর্যন্ত শব্দ ধারণ করতে পারে। কিন্তু এই বয়সেই তাদের ওপর অপ্রয়োজনীয় শব্দ ও পড়ালেখার চাপিয়ে দেওয়া হয়। সৃজনশীলতার অভাবপূর্ণ পাঠ্যবই শিশুদের জন্য শিক্ষাকে ক্লান্তিকর করে তোলে। শিক্ষার আনন্দ হারিয়ে যাওয়ায় শিশুদের মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। বাংলাদেশে ছোট্ট শিশুদেরকেও পরীক্ষায় ভালো করার জন্য এতটাই বেশি চাপ দেওয়া হয় যে, তারা পড়ালেখাকে আনন্দের বদলে ভয়ের বিষয় হিসেবে দেখতে শুরু করে।
স্কুল শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জায়গা। কিন্তু ঢাকা শহরের অধিকাংশ স্কুল গুলোও একেকটি ফ্লাট বাসায় গড়ে উঠেছে। শিশুদের বাসস্থান এবং তাদের স্কুলের পরিবেশের মধ্যে কোন পার্থক্যই নেই। সেই সাথে স্কুলের পড়ালেখার বাড়তি চাপ এবং কোচিং সেন্টারের পর কোচিং সেন্টারে দৌড়াদৌড়ি তাদের খেলাধুলার সময় কেড়ে নিচ্ছে। এর ফলে শিশুরা একঘেয়ে হয়ে পড়ছে এবং পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে।
অনেক শিক্ষক ও অভিভাবক শিশুরা কেন পড়ালেখা করতে চায় না, তা অনুধাবন না করে, তাদের বকাঝকা করেন বা শাস্তি দেন। এই ধরনের নেতিবাচক মনোভাব শিশুদের পড়ালেখার প্রতি আরো ভীতি এবং বিতৃষ্ণা তৈরি করে।
উন্নত বিশ্বের শিশু শিক্ষা
বিভিন্ন উন্নত দেশ তাদের শিশুশিক্ষাকে আনন্দদায়ক এবং কার্যকর করতে বিশেষ পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে মন্টেসরি শিক্ষা পদ্ধতি, Forest Schools, Waldorf Education এবং সিঙ্গাপুরের শিক্ষা ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্য। এই পদ্ধতিগুলো শুধু শেখার মান উন্নয়নেই নয়, বরং শিশুদের মানসিক, শারীরিক এবং সামাজিক বিকাশেও ভূমিকা রাখে।
মন্টেসরি শিক্ষা পদ্ধতি একটি বিশেষ শিক্ষাব্যবস্থা যা শিশুর স্বতন্ত্র বিকাশের ওপর জোর দেয়। ১৯০৭ সালে ইতালির প্রথম নারী চিকিৎসক ড. মারিয়া মন্টেসরি (Maria Montessori) এই পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছিলেন। মন্টেসরি পদ্ধতির মূল লক্ষ্য হলো শিশুর শেখার প্রতি স্বাভাবিক আগ্রহ বজায় রাখা এবং তাদের স্বশিক্ষিত হওয়ার সুযোগ দেওয়া।
এই পদ্ধতিতে শিশুদের ইন্দ্রিয় বিকাশের জন্য রঙিন ব্লক, জিওমেট্রিক শেপ, রঙিন বর্ণমালা ব্যবহার করে গাণিতিক ধারণাগুলোকে বাস্তব এবং স্পর্শযোগ্য করে তোলার মাধ্যমে শিশুকে তার নিজস্ব গতিতে শেখার সুযোগ দেওয়া হয়। মন্টেসরি শিক্ষা পদ্ধতিতে ৩-৬ বছরের শিশুরা একসাথে শিখে। ফলে এটি ছোটদের শেখার পাশাপাশি বড়দের সহযোগিতা ও নেতৃত্বের গুণাবলি শেখায়। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, এবং জাপানের মতো দেশগুলোতে হাজার হাজার মন্টেসরি স্কুল রয়েছে। এই পদ্ধতি শুধু প্রাথমিক পর্যায়ে নয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষায়ও ব্যবহৃত হচ্ছে।
Forest Schools এমন একটি শিক্ষাপদ্ধতি যা ১৯৫০-এর দশকে স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চলে উদ্ভূত হয়। এটি শিশুদের প্রাকৃতিক পরিবেশে শেখার অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ দেয়। শিশুরা বন বা প্রাকৃতিক পরিবেশে হাতেকলমে কাজ করে শেখার মাধ্যমে, তাদের ইন্দ্রিয়গঠনমূলক শিক্ষা পূর্ণতা পায়। প্রকৃতিতে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মাধ্যমে শিশুরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। সেই সাথে শিশুরা নিজের মতো কাজ করতে শেখে, যা তাদের স্বাধীনতা ও দায়িত্ববোধ বাড়ায় এবং শিশুর শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থের উন্নতি ঘটে।
Waldorf Education ব্যবস্থা সিঙ্গাপুরের শিক্ষা ব্যবস্থা ১৯১৯ সালে জার্মানিতে প্রবর্তন করেন। এর মাধ্যমে শিশুদের সৃজনশীলতা, নৈতিকতা, এবং মানসিক বিকাশের উপর জোর দেয়া হয়। শিশুদের কল্পনাশক্তি বিকাশের জন্য গল্প বলার মাধ্যমে শেখানো হয়। আঁকাআঁকি, নাচ, গান এবং নাটক শিক্ষার মত শিল্প ও সৃজনশীল কার্যক্রমও এখানে অন্তভূর্ক্ত থাকে। ভিন্ন বয়সের শিশুদের একত্রে শিক্ষা দেওয়ার ফলে, তারা শিক্ষাকে জীবনের বাস্তবতার সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, এবং জাপানের মত উন্নত দেশ ছাড়াও বিশ্বব্যাপী ১,০০০টির বেশি Waldorf স্কুল রয়েছে। এই স্কুলগুলোতে পরীক্ষার চাপ একেবারেই কম থাকে এবং শিশুদের শেখার প্রক্রিয়াকে আনন্দদায়ক করে তোলাই মূখ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
সিঙ্গাপুরের শিক্ষা ব্যবস্থা বিশ্বের অন্যতম সফল মডেল হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি শিশুর দক্ষতা এবং শেখার প্রক্রিয়াকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। এই শিক্ষা ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য হল, শিশুদেরকে বাস্তব জীবনের সমস্যা সমাধান করতে পারার মতো দক্ষ করে গড়ে তোলা।
শিশুরা ক্লাসরুমে ট্যাবলেট, ইন্টারেকটিভ বোর্ড, এবং অনলাইন শিক্ষামাধ্যম এর মত সকল সেরা প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে। এখানে পরীক্ষাভিত্তিক মূল্যায়ন থাকলেও মানসিক চাপ কমানোর উপায় হিসেবে সৃজনশীল কার্যক্রমকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সমস্যা সমাধানের দক্ষতা এবং গাণিতিক চর্চায় তাদের দক্ষতা সারা বিশ্বে প্রশংসিত। সবমিলিয়ে সিঙ্গাপুরের শিশুরা আন্তর্জাতিক শিক্ষার মানদণ্ডে সর্বোচ্চ অবস্থানে থাকে।
তবে সিঙ্গাপুরের সফলতার মূল চাবিকাঠি হল, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণে বড় মাপের বিনিয়োগ করা। কারণ শিক্ষকরা দক্ষ না হলে, যত উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থাই হোক না কেন, তা শিশুদের মধ্যে সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হবে না। সিঙ্গাপুরের Ministry of Education (MOE) “Learn for Life” নামে একটি উদ্যোগ চালু করেছে, যেখানে শিশুর শেখাকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দেখা হয়।
“Emotion Coaching” হল শিশুদের আবেগ এবং সামাজিক দক্ষতা বিকাশের একটি পদ্ধতি। কানাডার স্কুলগুলোতে “Emotion Coaching” এর মাধ্যমে শিশুদের আবেগ চিহ্নিত করতে এবং তা নিয়ন্ত্রণ করতে শেখানো হয়।
শিশুদের কার্যকরী শিক্ষা
উন্নত বিশ্বের মত শিক্ষা ব্যবস্থা অর্জনের জন্য, শিক্ষাখাতে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের দরকার। যা সরকারী পৃষ্ঠপোশকতা ছাড়া সম্ভব নয়। তবে বাংলাদেশের পিতামাতারা নিজেরা খানিকটা সচেতন হলেও, তাদের সন্তানদেরকে নিজ চেষ্টায় একটি উন্নত শিক্ষার ব্যবস্থা করতে পারেন।
শিশুদের পাঠদান পদ্ধতিকে তাদের ধারণক্ষমতা অনুসারে মানানসই ও আনন্দদায়ক করতে যুক্তরাজ্যের ক্যমাব্রিজ এবং এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে Childrens’ Literacy Initiative এর মত বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান শিশুদের খেলার ছলে শিক্ষা দেওয়ার বিষয়ে উন্নত গবেষণা করে যাচ্ছে। এসব গবেষণায় প্রাপ্ত পদ্ধতিগুলো বাংলাদেশের শিশুদের জন্য প্রয়োগ করে, শিশু শিক্ষাকে আরো প্রাণবন্ত, আনন্দদাযক ও কার্যকর করতে বাংলাদেশে কাজ করে যাচ্ছে, The Royal Scientific Publications। ইতোমধ্যেই তারা শিশুদের জন্য অসাধারণ কিছু বই প্রকাশ করেছে, যা বাজারের গতানুগতিক শিশুতোষ বই থেকে বেশ ভিন্ন।
যেমন: ‘সংখ্যা নিয়ে খেলা’ ও ‘Play With Numbers’ বই দুটিতে রঙিন ছবির মাধ্যমে যোগ-বিয়োগ শেখানো, ছবিতে আঁকাআঁকির মাধ্যমে যোগ-বিয়োগ নিয়ে খেলার মত পদ্ধতির সন্নিবেশ ঘটানো হয়েছে।
‘Opposite Word’ বইটিকে বিপরীত শব্দ চিত্রায়িত করার মাধ্যমে শিশুদের প্রয়োজনীয় ভোকাবুলারি শেখানো হয়েছে। এর ফলে শিশু খুব সহজেই তুলনামূলক চিত্রের মাধ্যমে নতুন শব্দ তার মস্তিষ্কে ধারণ করতে পারবে।
‘শিশুতোষ ছড়া ও কবিতা’ বইটিতে বাছাইকৃত ছড়া ও কবিতার মাধ্যমে শিশুর আদর্শ ও নৈতিকতা গঠনের পাঠ দেওয়া হয়েছে। এখানে “হাট্টিমাটিমটিম” এর মত অর্থহীন ছড়া রাখা হয়নি। বরং তার বদলে, “আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে, কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে” র মত ছড়া ও কবিতা দিয়ে শিশুর মননশীলতা বিকাশের পাঠ দেওয়া হয়েছে।
‘বর্ণমালা ও সংখ্যা’ সিরিজের বইগুলোতে পরিকল্পিত উপায়ে শিশুর ধারণ ক্ষমতা অনুসারে শিশুর শব্দভান্ডার সম্বৃদ্ধকরণ সহ; (পৃষ্ঠা ৪,৮) ‘আমার বই’ বা ‘My Book’ এর মত বইগুলোতে আকর্ষণীয় চিত্রের মাধ্যমে শিশুদের কাছে শিক্ষাকে উপভোগ্য করার চেষ্টা করা হয়েছে। (বই এর যেকোন পাতা)
এরকম আরো বেশ কিছু মজার বই শিশুদের হাতে তুলে দিতে কাজ করছে দ্য রয়েল সাইন্টফিক পাবলিকেন্স।
রয়েল সাইন্টফিক পাবলিকেন্স এর প্রতিটি বইতে শব্দ, বর্ণ, চিত্র ও উদাহরণ উপস্থাপনের ক্ষেত্রে শিশুদের নৈতিকতা ও আদর্শ গঠনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যেমন; অধিকাংশ বইতে Rich বুঝাতে দামি কাপড় আর Poor বোঝাতে ছেঁড়া জামা কাপড় পরা কোন ব্যক্তিকে চিত্রায়িত করা হয়। সেখানে তারা তুলে ধরেছে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি চিত্র। (Opposite Word Book; 72-73)
এছাড়াও ঐক্য, উদারতা, মহত্ত্ব, সহযোগীতার মত বেশ কিছু শব্দের সাথে শিশুর পরিচয় ঘটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। (আমার বই; যেকোন পাতা)
বিশেষভাবে নির্বাচিত ছড়া ও কবিতার সমন্বয়ে তৈরী ‘শিশুতোষ ছড়া ও কবিতা’ বইটি শিশুদের মননশীলতা ও কল্পনাশক্তিকে সম্বৃদ্ধ করতে সাহায্য করবে। প্রতিটি কবিতার সাথে চিত্র বা ছবি যুক্ত থাকায় শিশুরা কবিতার বিষয়বস্তুকে আরও ভালোভাবে অনুভব করতে পারবে।
শিশুরা যাতে বর্ণমালাগুলো ভালোভাবে লিখতে পারে, সেজন্য বইতেই অভিনব উপায় তুলে ধরা হয়েছে।
ইংরেজি বাংলা বর্ণমালার সাথে শব্দ শেখার বহু বই বাজারে প্রচলিত থাকলেও, বর্ণমালার সাথে আরবি শব্দ শেখার বই তেমন নেই বললেই চলে। রয়েল সাইন্টফিক পাবলিকেন্স এর কিতাবি বইতে শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু আরবি শব্দ ছবির মাধ্যমে শেখানো হয়েছে; সেই সাথে তারা বইতেই আরবি শব্দ লিখতেও পারবে। শিশুদের আমরা A তে Apple শেখাই; কিন্তু আরবির ক্ষেত্রে Ba তে Babun শেখাই না। এরকম ছোট ছোট শব্দ যদি শেখানো হয়, তাহলে বাচ্চারা ছোটবেলা থেকেই আরবি ভাষার সাথে একটু একটু করে পরিচিত হতে পারবে।
‘এসা রং করি’ বইটিতে শিশুরা খুব সহজে মজার আঁকার কৌশল শেখার পাশাপাশি, তাদের সৃজনশীল চিন্তাভাবনা ও কল্পনাশক্তিকে বিস্তৃত করতে পারবে।
বর্তমান সময়ের বাবা-মায়েদেরও একটি সমস্যা হল, বাচ্চাদের সুন্দর জামা কাপড়, দামি খেলনার মত বিলাসী দ্রব্যের পেছনে টাকা খরচ করতে কার্পণ্য করে না। কিন্তু বাচ্চার পড়ালেখার মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তারা সস্তা বই খেঁাজেন। কিন্তু বাচ্চার আরামদায়ক জামা কাপড়ের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, তার জন্য এমন বই কেনা, যে বই পড়তে সে আনন্দ বোধ করবে।
আপনার শিশুর মেধা বিকাশে এবং তার উন্নত শিক্ষা নিশ্চিত করতে রয়েল সাইন্টিফিক পাবলিকেশনস এর প্রকাশিত শিশু শিক্ষা বিষয়ক বইগুলো কিনতে পারেন। বইগুলো কিনতে চাইলে ভিজিট করুন www.rspbd.com। এছাড়া ভিডিও ডেসক্রিপশন এবং পিন কমেন্টে বই অর্ডার করার লিংক দেওয়া আছে। KiKenoKivabe10 কূপন কোডটি ব্যবহার করলে, শিশু শিক্ষার বই ছাড়াও ওয়েবসাইটের সকল বই এর উপর পাবেন ১০% ডিসকাউন্ট।