হাসিনার লুটপাটের অর্থনীতি

maxresdefault (22)
কি কেন কিভাবে

হাসিনার লুটপাটের অর্থনীতি

ভূমিকা

আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পগুলো, শেখ হাসিনার দীর্ঘ স্বৈরশাসনের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু লুটেরা আওয়ামী সরকারের উন্নয়নের সাথে তাল মিলিয়ে বেড়েছে ঋণের বোঝা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম ১৪ বছরে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ বেড়েছে ৩২২ শতাংশ। বিদেশি মিলিয়ে প্রায় ১৮ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকার ঋণ রেখে গেছে আওয়ামী লীগ সরকার। বাংলাদেশ যদি নতুন করে আর কোন ঋণ নাও নেয়, তারপরও হাসিনা সরকারের ঋণ পরিশোধ করতে বাংলাদেশের আরো ৪০ বছর সময় লাগবে।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে ১২ টি মেগা প্রকল্প গ্রহণ করেছিল; যার প্রাথমিক নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। এই টাকার প্রায় সম্পূর্ণটাই দেশি এবং বিদেশি নানান খাত থেকে ঋণ হিসেবে আনা হয়েছিল। উন্নয়নের জন্য ঋণ করা এসব তহবিল হরিলুট করে ভাগাভাগি করে নিয়েছে পিয়ন থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত সবাই। দেশের সবচেয়ে বড় ও ব্যয়বহুল প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে শেখ হাসিনা একাই প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এখনো পর্যন্ত প্রায় ১২ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। এর একটি বিশাল অংশ যে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই বিদেশে পাচার হয়েছে তা বলাই বাহুল্য। আনুষ্ঠানিক হিসেবেই শেখ হাসিনার আমলে প্রতিবছর প্রায় ৯২ হাজার কোটি টাকা করে দেশ থেকে পাচার হয়েছে। অনানুষ্ঠানিক হিসেবে এই সংখ্যাটা আরো অনেক বড়।

হাসিনা কিভাবে অর্থনীতি ধ্বংস করেছে ?

বৈদেশিক ঋণের বোঝা

বাংলাদেশ সাধারণত বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং বন্ধুসুলভ দেশগুলোর বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠান থেকে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণ করে। তবে শেখ হাসিনার সরকার বিদেশি ঋণের চেয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন খাত থেকে ঋণ নিতে প্রতি বেশি আগ্রহী ছিল। আপাত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে বিদেশি ঋণের বদলে দেশি ঋণ নেওয়াই হয়ত ভালো বিকল্প। কিন্তু বিষয়টি মোটেও সেরকম নয়। সাধারণত বিদেশী ঋণের সুদের হার তুলনামূলক কম হয়; এবং এইসব ঋণ পরিশোধ করার জন্যও বেশ দীর্ঘ সময় পাওয়া যায়। কিন্তু বিদেশি ঋণ পাওয়ার জন্য দর কষাকষি করার সক্ষমতা থাকতে হয়; সেই সাথে ঋণের টাকা খরচ করার ব্যাপারেও বেশ কিছু নিয়ম-নীতি মেনে চলতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণের টাকা দিয়ে যেসব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে সেগুলোর উপর সরাসরি নজরদারি করে। আওয়ামী লীগ সরকারের কর্মকাণ্ডের উপর বিদেশি নজরদারি তাদের একদমই পছন্দ ছিল না; সেই সাথে বেশকিছু বিদেশি ঋণ পেতে ব্যর্থ হয়ে শেখ হাসিনা দেদারসে দেশিয় উৎস থেকে ঋণ নিতে শুরু করে।

দেশি ঋণের প্রধান উৎস হল বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অন্যান্য উৎস হল সাধারণ বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার অর্থই হলো ইচ্ছেমতো টাকা ছাপানো। এর ফলে বাজারে টাকার সরবরাহ অনেক বেড়ে যায়, সেই সাথে মূল্যস্ফীতি ও বাড়তে থাকে লাগামহীন গতিতে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী জুলাই মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল প্রায় ১২ শতাংশ। কিন্তু খাদ্য পণ্যের ক্ষেত্রে এই মূল্যস্ফীতি ১৪ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। তারমানে আগে যে খাবার আপনি ১০০ টাকা দিয়ে কিনতে পারতেন সেই খাবারের বর্তমান দাম ১১৪ টাকা। যদিও বাস্তবে এই মূল্যস্ফীতি আরো অনেক বেশি।

তবে হাসিনা সরকার যে বিদেশি ঋণ কম নিয়েছে বিষয়টি মোটেও সেরকম নয়। অধিকাংশ বিদেশি ঋণই নেওয়া হয়েছে কোন ধরনের দর কষাকষি ছাড়া। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার সময়, বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩ সালে সেই বৈদেশিক ঋনের পরিমাণ দাড়িয়েছে ১১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকায়। তারমানে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম ১৪ বছরে বৈদেশিক ঋণ বেড়েছে প্রায় ৩২২ শতাংশ।

প্রতি তিন মাস পর পর দেশের মোট ঋণের হিসাব হালনাগাদ করা হয়। অর্থ বিভাগের হিসেবে বর্তমানে দেশি ঋণ ১০ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকা এবং বিদেশী ঋণ ৮ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা। সে হিসেবে দেশি এবং বিদেশি মিলিয়ে প্রায় ১৮ লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকার ঋণ রেখে গেছে আওয়ামী লীগ সরকার। বিপুল পরিমাণ ঋণের সুদ ও আসল পরিষদের চাপ পড়েছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘাড়ে।

লুটপাটের অর্থনীতি

অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, অতি উচ্চ মূল্যস্ফীতি, জ্বালানি সংকট, ডলার এবং বিনিয়োগ সংকট মিলিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি বিগত কয়েক বছর ধরেই অত্যন্ত নাজুক সময় পার করছে। ২০২৪ সালে একতরফা ডামি নির্বাচনে জেতার পর, শেখ হাসিনার সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জই ছিল অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করা। কিন্তু বরাবরের মতোই শেখ হাসিনা তার উন্নয়নের ভেলকি দেখিয়ে প্রকৃত অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে ছিলেন সম্পূর্ণ উদাসীন।

শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন দরবেশ হিসেবে খ্যাত সালমান এফ রহমান। তারমানে বাংলাদেশের সরকারি খাতের বাইরের যত ধরনের বিনিয়োগ এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ঘটেছে তার সব প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে দেশের অর্থনৈতিক খাতের সবচেয়ে বড় এই দুর্বৃত্ত। দরবেশের প্রতিষ্ঠানগুলোই দেশের চারটি সরকারি এবং তিনটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে প্রায় ৩৬ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারীতে সালমান এফ রহমানের নাম বারবার উঠে এসেছে। বিশেষ করে ২০১০ সালে জিএমসি এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে শেয়ার বাজার থেকে ৪০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তার ভূমিকা ছিল প্রধান। 

সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার প্রশ্রয়ে ব্যাংক দখল, লুটপাট আর অর্থ বাজারের আরেক খলনায়ক এস আলম গ্রুপ। কোন ধরনের আইনের তোয়াক্কা না করে, সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় ব্যাংকের মূল মালিকদের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ইসলামী ব্যাংক সহ দেশের সাতটি ব্যাংক দখলে নেয় এস আলম গ্রুপ। একের পর এক দেশের বড় বড় ব্যাংক দখল করে নেওয়ার এই প্রক্রিয়ায় এস আলম গ্রুপকে সরাসরি সহায়তা করেছে খোদ বাংলাদেশ ব্যাংক। ইসলামী ব্যাংক গুলোকে “জামাত মুক্ত” করার নামে শেখ হাসিনা দেশের চারটি ইসলামী ব্যাংককে এস আলমের হাতে তুলে দিয়েছে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ব্যাংকগুলোতে কয়েক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে, তার বিপরীতে প্রায় ২ লাখ ৫১ হাজার কোটি টাকা লুট করেছে এস আলম গ্রুপ। এরমধ্যে শুধুমাত্র সিঙ্গাপুরেরই এক লক্ষ কোটি টাকার বেশি পাচারের অভিযোগ রয়েছে এস আলমের বিরুদ্ধে।

অর্থনীতিবিদেরা বলেন একটি দেশের ব্যাংকিং খাত সে দেশের অর্থনীতির হৃদপিন্ডের মতো। শেখ হাসিনার মাফিয়া সরকার দেশের সকল আর্থিক খাতে সীমাহীন দুর্নীতি আর লুটপাটের মাধ্যমে বাংলাদেশের হৃদপিন্ডে ছুরি চালিয়েছে।

শেখ হাসিনার প্রশ্রয়ে বেনজির, আসাদুজ্জামান এবং হারুনের মতো পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যেকেই হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছে। মাফিয়া হাসিনা সরকারের দুর্নীতি বান্ধব প্রশাসনে মতিউরের মত সরকারী কর্মকর্তারা সীমাহীন লুটপাট করে, বিদেশে অসংখ্য বেগম পাড়া গড়ে তুলেছে। এমনকি শেখ হাসিনার পিয়ন পয়ন থেকে শুরু করে পিএসসির ড্রাইভার পর্যন্ত, সরকারী নিম্নপদস্থ কর্মচারীরাও হয়েছে শত শত কোটি টাকার মালিক। এর বাইরে রাজনীতিবিদদের অপকর্মের ফিরিস্তি তো বাকিই আছে। এগুলো সবই হিমশৈলের চূড়া মাত্র। যে কয়জনের দূর্নীতি আমাদের সামনে এসেছে তাতেই এত ভয়াবহ চিত্র দেখা যাচ্ছে। সকল ক্ষেত্রে নজির বিহীন দূর্নীতির প্রকৃত চিত্র উঠে আসলে, তখনই আসলে বোঝা যাবে যে, শেখ হাসিনা বাংলাদেশের কত বড় ক্ষতি করে গেছে।

হাসিনার দূর্নীতি

একদিকে দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে ফোকলা করে ফেলা; অন্যদিকে ব্যাপক দেশি-বিদেশি ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি গভীর সংকটে ফেলে দিয়ে গেছে হাসিনা সরকার। মাত্র এক দশক আগেও ২০১২-১৩ অর্থবছরে, বৈদেশিক ঋণ হিসেবে বাংলাদেশকে পরিশোধ করতে হয়েছে  ১৩ হাজার কোটি টাকা। অথচ গতবছর আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন ঋণের কেবল সুদ হিসেবেই পরিশোধ করেছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। সবমিলিয়ে গত অর্থবছরে ৪০ হাজার কোটি টাকার রেকর্ড পরিমাণ বিদেশি ঋণ পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৩০ সাল থেকে বাংলাদেশকে প্রতিবছর ৬১ হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণ শোধ করতে হবে। বাংলাদেশ যদি নতুন করে আর কোনো ঋণ না নেয়, তাহলেও বর্তমান ঋণের বোঝা শোধ করতে ২০৬২ সাল পর্যন্ত ঋণের সুদ এবং আসল পরিশোধ করতে হবে।

এত কিছুর পরেও শেখ হাসিনা নতুন ঋণ নেওয়ার প্রক্রিয়া একেবারে বন্ধ করেনি। আওয়ামী লীগ সরকার আরও প্রায় ৫ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা ও পরিকল্পনা করছিল। এমন কি যে চীন সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা রাজাকার বিষয়ক উক্তি করেছিল; সেই চীন সফরেও হাসিনা সরকার চীনের কাছ থেকে ৮৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ চেয়েছিল। এবং চীন ৬০ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছিল।

যে দেশের মানুষ বাজারে গিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারে না; সেই দেশে নানা অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন প্রকল্পের নামে এত বড় বড় ঋণ নেওয়া হয়েছে যে, এক একটি ঋণের অঙ্কে কতগুলো শূণ্য আছে, তা গুনতে গিয়ে যে কোন সাধারণ মানুষকে হিমশিত খেতে হবে। (৪,৭৪৭,৮১৯,৪২৮,০০০)

মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে দেশ বহু আগেই দেউলিয়া হয়েছিল। কিন্তু হাসিনা তার দুর্নীতির মেগা প্রকল্প থামায়নি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশের একক বৃহত্তম প্রকল্প। এখনও পর্যন্ত বাস্তবায়িত হওয়া দেশের সবচেয়ে বড় প্রকল্প ধরা হয় পদ্মা সেতুকে। কিন্তু এই পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলে এটিই হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প। কারণ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানের বাজেট ধরা হয়েছিল ১ লক্ষ ১৩ হাজার কোটি টাকা। ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে সেই বাজেট হয়েছে ১ লক্ষ ৪২ হাজার কোটি টাকা। অথচ পদ্মা সেতুর বাজেট ছিল ৩০ হাজার কোটি টাকা। তারমানে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মানে যত টাকা খরচ হবে, তা দিয়ে প্রায় ৫টি পদ্মা সেতু বানানো যাবে।

রাশিয়ার কাছ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়ে করা রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা দুই হাজার ৪০০ মেগওয়াট। অথচ ভারতের তামিলনাড়ুতে দুই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি প্রকল্প করা হয়েছে মাত্র ছয় বিলিয়ন ডলার দিয়ে। বাংলাদেশে একই প্রযুক্তির পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বানাতে ভারতের চেয়ে দ্বিগুণ খরচ হলো কেন? এর কারণটা কিছুদিন আগেই পরিষ্কার হয়েছে, যখন গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প এর একটি প্রতিবেদনে দেখা যায়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে শেখ হাসিনা একাই ৬০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। মালয়েশিয়ার কয়েকটি ব্যাংকের মাধ্যমে এই টাকা পাচার করতে সহযোগিতা করেছে শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এবং তার ভাগ্নি যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য টিউলিপ সিদ্দিক।

শেখ হাসিনা কথায় কথায় মেগা প্রকল্পগুলো নিয়ে এমন আচরণ দেখিছেন, যেন এগুলো তিনি তার নিজের পকেটের টাকা দিয়ে করছেন। ক্রমাগত মিথ্যাচারের মাধ্যমে ১৬ বছরের দুঃশাসনে গুম-খুন, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সিন্ডিকেট বাণিজ্য, কমিশন বাণিজ্য, শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি, ব্যাংক দখল, মাদক ব্যবসা, চোরাচালান সহ সকল ধরনের দুর্নীতিতে প্রচ্ছন্ন মদদ দিয়ে বাংলাদেশকে একটি প্রকৃত মাফিয়া স্টেটের পরিণত করে শেখ হাসিনা হয়ে উঠেছিলেন এর একমাত্র গডমাদার।

Leave your thought here

Your email address will not be published. Required fields are marked *


দিন
ঘণ্টা
মিনিট
সেকেন্ড
আমাদের লাইভ ক্লাস শেষ হয়েছে, তবে আপনি এখন ফ্রি রেকর্ডেড কোর্সে ইনরোল করে দেখতে পারবেন।
আপনার রেজিস্ট্রেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

আপনার জন্য একটি একাউন্ট তৈরি হয়েছে। প্রদত্ত ইমেইল ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।

কোর্সের তারিখ: ০৩/১০/২০২৫
সময়: রাত ৯টা থেকে
(বাংলাদেশ সময়)

আপনার সঠিক - নাম, ইমেইল দিয়ে
Sign Up এ ক্লিক করুন।