মহান বিজ্ঞানী ইবনে সিনা
মহান বিজ্ঞানী ইবনে সিনা
ভূমিকা
আমাদের পৃথিবীর ভাগ্য বদলে দেওয়ার মতো জ্ঞান নিয়ে যে কজন মহান বিজ্ঞানী এই পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম এক সেরা নাম ইবনে সিনা। পশ্চিমাদের কাছে যিনি আভিসিনা হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে আমরা যে উন্নত চিকিৎসা সেবা লাভের সৌভাগ্য অর্জন করেছি; সেই চিকিৎসা ব্যবস্থার ভিত্তি রচনা করেছিলেন মহান বিজ্ঞান ইবনে সিনা। সে কারণে ইবনে সিনা কে বলা হয় আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক।
তবে ইবনে সিনার জ্ঞান শুধুমাত্র চিকিৎসা শাস্ত্রে সীমাবদ্ধ ছিল না; তিনি ছিলেন সত্যিকার অর্থেই একজন বহু শাস্ত্র বিশারদ। চিকিৎসা বিজ্ঞানী হিসেবে পরিচিত হলেও; ইবনে সিনা ছিলেন মূলত প্রাক-আধুনিক যুগের সবচেয়ে প্রভাবশালী দার্শনিক। সেই সাথে তিনি একাধারে জ্যোতির্বিজ্ঞান, আলকেমি, ভূগোল এবং ভূতত্ত্ব, মনোবিজ্ঞান, ইসলামি ধর্মতত্ত্ব, যুক্তিবিদ্যা, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, এমনকি সাহিত্যেও অসামান্য অবদান রেখেছেন।
শৈশব ও শিক্ষা
ইবনে সিনা ৯৮০ সালে বর্তমান উজবেকিস্তানের অন্তর্গত তৎকালীন বুখারার আফসানা শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ইবনে সিনার পিতা ছিলেন মধ্য এশিয়ার সামানি সাম্রাজ্যের একজন সরকারি কর্মকর্তা। অত্যন্ত অল্প বয়স থেকেই ইবনে সিনা তার মেধার প্রকাশ ঘটিয়ে ছিলেন। তিনি মাত্র ১০ বছর বয়সে সমগ্র কুরআন শরীফ মুখস্ত করে হাফিজ হয়েছিলেন। কুরআন মুখস্তের পাশাপাশি তিনি ছোটবেলা থেকেই এত সূক্ষ্ম ও জটিল বিষয় নিয়ে চিন্তা করতেন যা দেখে তার বাবা-মা ও শিক্ষক সকলেই বিস্মিত হয়। ছেলেবেলায়ই তাঁর বাবা ভারতীয় গণিত শাস্ত্রে বিশেষ পারদর্শী এক ব্যক্তিকে ইবনে সিনার শিক্ষক নিযুক্ত করেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ভারতীয় গণিত শাস্ত্রের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তিনি অধ্যায় করেন। এরপর তার বাবা তৎকালীন সময়ের অন্যতম একজন জ্ঞানী ব্যক্তি আল নাতেলী কে ইবনে সিনার গৃহশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন। ইবনে সিনা তার কাছে ফিকাহ শাস্ত্র, ন্যায়শাস্ত্র, জ্যামিতি এবং জ্যোতিষশাস্ত্র বিষয়ে শিক্ষা নেন। কিন্তু তার প্রতিভা ও জানার আগ্রহের কাছে আল নাতেলির মত জ্ঞানী ব্যক্তিও হার মানেন। একসময় আল নাতেলির কাছে এমন কোন জ্ঞান আর অবশিষ্ট ছিল না, যা তিনি ইবনে সিনা কে শিক্ষা দিতে পারেন। সেকারণে তিনি ইবনে সিনাকে নিজে নিজে স্বাধীনমত গবেষণা করার পরামর্শ দেন।
তখন ইবনে সিনা তার পূর্ববর্তী বিজ্ঞানীদের লেখা পড়তে শুরু করেন। ইউক্লিড ও টলেমির বিজ্ঞান বিষয়ক লেখা পড়ার পাশাপাশি, তিনি এরিস্টটলের দর্শন শাস্ত্রও সম্পূর্ণ আয়ত্ত করে ফেলেন। এরপর তিনি নতুন বই না পেয়ে আগের বইগুলোই বারবার পড়তে থাকেন। ইতোমধ্যেই তার জ্ঞানের খ্যাতি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে; বিভিন্ন দেশ বিদেশ থেকে শিক্ষার্থীরা তার কাছে জ্ঞান অর্জন করতে আসে। এর ফলে ইবনে সিনা তরুণ বয়সেই শিক্ষকতা শুরু করতে বাধ্য হন।
কর্মজীবন
ইবনে সিনা মাত্র ১৬ বছর বয়সে চিকিৎসক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। ৯৯৬ সালে তৎকালীন বুখারার আমির নুহ ইবনে মনসুর অত্যন্ত দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তৎকালীন নামিদামি সকল চিকিৎসকের চেষ্টা ব্যর্থ হবার পর; অল্প বয়সে জ্ঞানের জন্য সুখ্যাতি পাওয়া ইবনে সিনাকে বাদশার চিকিৎসার জন্য ডাকা হয়। ইবনে সিনার অভিনব চিকিৎসা পদ্ধতিতে বাদশা অল্পদিনেই সুস্থ হয়ে ওঠেন। তখন তিনি খুশি হয়ে ইবনে সিনার জন্য রাজ গ্রন্থাগার উন্মুক্ত করে দেন। জ্ঞানপিপাসু ইবনে সিনা মাত্র দুই বছরের মধ্যে রাজ গ্রন্থাগারে থাকা সকল বই পড়ে শেষ করে ফেলেন। মাত্র ১৮ বছর বয়সের মধ্যে সেই গ্রন্থাগারে থাকা সাহিত্য, ধর্ম, যুক্তিবিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, দর্শন শাস্ত্র, গণিতশাস্ত্র, জ্যামিতি শাস্ত্র এবং চিকিৎসাশাস্ত্রের বইগুলো অধ্যয়ন করা; ইবনে সিনা কে একজন মহান বিজ্ঞানী হওয়ার পথে অত্যন্ত সহায়তা করেছে।
ইবনে সিনার পিতার মৃত্যুর পর তিনিও রাজ দরবারে সরকারী চাকরি লাভ করেন। বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় তার অগাধ জ্ঞান থাকলেও, রাজনৈতিক বিষয়ে তিনি ছিলেন খুবই অনভিজ্ঞ। সীমান্তবর্তী একটি এলাকায় বিদ্রোহ দমনে তিনি ব্যার্থ হওয়ায়, তৎকালীন সুলতান তাঁর উপর বেশ বিরক্ত হন। তখন তিনি আত্নসম্মানবোধ থেকে রাজ দরবারের চাকরী ছেড়ে দিয়ে নিরুদ্দেশ যাত্রায় বের হয়ে যান। তৎকালীন গজনীর সম্রাট সুলতান মাহমুদ ইবনে সিনাকে তার জামাতার রাজদরবারের সভাসদ বানাতে চেয়েছিল। কিন্তু ইবনে সিনা তাতে রাজি না হওয়ায়, সুলতান মাহমুদের ভয়ে তিনি একাধিক রাজ্যে পালিয়ে বেরিয়েছেন। পরবর্তী জীবনে ইবনে সিনা আরো একজন সম্রাটকে চিকিৎসা করে সুস্থ করে তুলেছিলেন। ইরানের সুপ্রাচীন নগরী হামাদানের সুলতান তাঁর চিকিৎসায় আরোগ্য লাভের পর, ইবনে সিনাকে হামাদানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। ইবনে সিনার মত একজন বিদেশী ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী বানানো রাজ সভার অন্যরা মোটেও পছন্দ করেনি। সেকারণে তিনি শত্রুদের নানা চক্রান্তে একপর্যায়ে কারাবরণ করেন; এবং পরবর্তীতে তিনি কারাগার থেকে পালিয়ে ইরানের আরেক বিখ্যাত নগর ইস্পাহানে যান। সেখানেও তিনি ইস্পাহানের রাজসভার সদস্য হিসেবে আশ্রয় পান। এক সময় ইস্পাহান এবং হামাদানের মধ্যে এক যুদ্ধ শুরু হয়। ইস্পাহানের সম্রাট চিকিৎসা সেবার জন্য ইবনে সিনাকে যুদ্ধে নিয়ে যেতে চান। তখন নিজে অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও সম্রাটের অনুরোধ তিনি প্রত্যাখ্যান করেতে পারেন নি। পরবর্তীতে যুদ্ধ শিবিরে অবস্থানকালেই ১০৩৭ সালে মাত্র ৫৮ বছর বয়সে ইবনে সিনা মৃত্যুবরণ করেন। ইরানের হামাদানে এখনো তাঁর কবর রয়েছে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানে অবদান
ইবনে সিনা চিন্তা চেতনায় তাঁর সময়ের চেয়ে অনেক বেশি আধুনিক ছিলেন। তিনি আজ থেকে প্রায় এক হাজার বছর আগেই, রোগ এবং চিকিৎসা সম্পর্কে এমন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতেন যা তৎকালীন সময়ে কল্পনাই করা যেত না। করোনা মহামারীর কারণে কোয়ারেন্টিন শব্দটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত হয়েছি। জেনে নিশ্চয়ই অবাক হবেন, সর্বপ্রথম কোয়ারেন্টিন ধারণার প্রবর্তন করেছিলেন ইবনে সিনা। তিনি সেই সময়ই বলেছিলেন; কিছু রোগ নিশ্চিতভাবে অণুজীবের মাধ্যমে ছড়ায়। পরবর্তীতে আমরা জেনেছি ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক ইত্যাদি হল এসব অণুজীব। মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে রোগের সংক্রমণ বন্ধ করার জন্য, ইবনে সিনা রোগীকে ৪০ দিন নির্জনে রাখার ব্যবস্থা করেন। তিনি ওই পদ্ধতির নাম রেখেছিলেন আল আরবানিয়া; যার অর্থ ৪০ দিন নির্জনে থাকা। ভেনিস ও ইতালির ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে এই পদ্ধতি ইউরোপে পৌঁছেছিল; ইতালিয়ান ভাষায় যার নাম দেওয়া হয়েছিল “কোয়ারান্ট”। ইংরেজিতে একে উচ্চারণ করা হতো “কোয়ারেন্টিন”। সেই সাথে বিভিন্ন ধরনের দূষণের কারণে এবং ঋতু পরিবর্তনের কারণেও যে মানুষ নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে সে সম্পর্কেও ইবনে সিনাই প্রথম ধারণা দিয়েছিলেন।
ইবনে সিনা শুধু সাধারণ রোগের চিকিৎসাই নয়, শল্য -চিকিৎসা বা সার্জারিতেও অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। কোন রোগের জন্য কি ধরনের অস্ত্রোপচার করতে হবে, অপারেশনের সময় বিভিন্ন উপায়ে রক্তপাত বন্ধ করার পদ্ধতি; সেই সাথে অপারেশনের পর রোগীর খাবার থেকে শুরু করে মানসিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ পর্যন্ত সম্পূর্ণ পরিচর্যা কেমন হবে সে সম্পর্কেও ইবনে সিনা ধারণা দিয়েছেন। ইবনে সিনা যে সব জটিল সার্জারি করেছেন, সেসব অপারেশনের জন্য প্রয়োজনীয় তার বেশ কিছু যন্ত্রপাতি তিনি নিজেই তৈরি করে নিয়েছিলেন। তিনি চোখের ছানি পড়া রোগের চিকিৎসায়ও অসামান্য অবদান রেখে গেছেন।
অন্যান্য শাখায় অবদান
চিকিৎসাশাস্ত্রের বাইরে ইবনে সিনার অন্যতম আগ্রহের একটি বিষয় ছিল জ্যোতির্বিজ্ঞান। তিনি আবিষ্কার করেছিলেন যে, আলো শব্দের চেয়ে দ্রুত বেগে চলে। তিনি উপলব্ধি করেন, বিশুদ্ধভাবে আকাশ পর্যবেক্ষণ করার জন্য দরকার সূক্ষ্ম গণনা উপযোগী যন্ত্রপাতি। কিন্তু তৎকালীন সময়ে নির্ভরযোগ্য তেমন কোনো যন্ত্র ছিল না। সেকারণে ইবনে সিনা নিজেই নক্ষত্রের অবস্থান নির্ণয় করার জন্য একটি যন্ত্র আবিষ্কার করেছিলেন। নিজের তৈরি করা বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে তিনি টানা ৭ বছর আকাশ পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। সে কারণে ইরানের ইস্পাহানে ইবনে সিনা তৈরি করেছিলেন একটি নিজস্ব আকাশ পর্যবেক্ষণাগার। এছাড়া ইরানের হামাদানে তিনি একাধিক মানমন্দিরও স্থাপন করেছিলেন।
ইবনে সিনা তার রচিত কিতাব আল নাজাত এ বস্তুর জড়তা সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলেন। সেই বইয়ে উল্লেখিত মূলনীতিগুলো ব্যাখ্যা করলে যা দাঁড়ায়; সেগুলিই হল নিউটনের গতি সূত্র। ইবনে সিনা বক্তব্য গুলো যদি সঠিকভাবে পর্যালোচনা করা যায়; তাহলে বোঝা যায় যে তিনিই ছিলেন গতিসূত্রের ধারণা দাতা। যা পরবর্তীতে নিউটনের গতিসূত্রের স্বীকার্য নামে পরিচিতি লাভ করে।
রসায়ন শাস্ত্রেও ইবনে সিনা তার মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি পাতন পদ্ধতি ব্যবহার করে ফুলের আতর এবং তেল উৎপাদন করেছেন; যা তিনি হৃদরোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করতেন। এছাড়া তিনি প্রমাণ করেছিলেন যে পারদ এর বাষ্প বিষাক্ত। ইবনে সিনা সমসাময়িক সময়ে আলকেমির ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল। আলকেমি হলো এমন এক শাস্ত্র যেখানে বিভিন্ন ধাতুকে বিশুদ্ধ করে সোনায় রূপান্তরের চেষ্টা করা হতো। কিন্তু ইবনে সিনা ছিলেন আলকেমির বিরোধী। কারণ তিনি মনে করতেন ধাতুসমূহের পরস্পর রূপান্তর সম্ভব নয়।
রচানাবলী ও কিংবদন্তি
চিকিৎসা বিজ্ঞানে ইবনে সিনার সবচেয়ে বড় অবদান কানুন ফিততিব গ্রন্থটি। দ্বাদশ থেকে বিংশ শতক পর্যন্ত দীর্ঘ ৮০০ বছর ইবনে সিনার এই বই ইউরোপের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর চিকিৎসা বিষয়ক প্রধান পাঠ্যপুস্তক হিসেবে পড়ানো হত। এই বইটি পাঁচটি বিশাল খন্ডে বিভক্ত ছিল যার মোট পৃষ্ঠা সংখ্যা ছিল ৪ লক্ষেরও বেশি। কানুন ফিততিব বইতে শুধু রোগের বর্ণনা এবং চিকিৎসা ব্যবস্থাই উল্লেখ করা হয়নি, সেই সাথে বিভিন্ন রোগের ঔষধ কিভাবে প্রস্তুত করতে হবে সে সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এই বইতে ৬৭০ টি ওষুধের প্রস্তুত প্রণালী রয়েছে।
ইবনে সিনা চিকিৎসা বিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞান, দর্শন, ধর্মতত্ত্ব, জ্যামিতি, গণিত, সাহিত্য প্রভৃতি বিষয়ে আনুমানিক প্রায় ৪৫০টি গ্রন্থ রচনা করেছেন। এসব বইয়ের ২৪০ টি বই এখনো টিকে আছে। যার মধ্যে ৪০ টি বই চিকিৎসা বিজ্ঞান সম্পর্কিত এবং ১৫০ টি বই হলো দর্শন সম্পর্কিত। তারমানে ইবনে সিনা আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক হিসেবে অধিক পরিচিত হলেও; তিনি ছিলেন মূলত একজন দার্শনিক। চিকিৎসা বিজ্ঞানের কিংবদন্তি বই কানুন ফিততিব বাদে, আরো কয়েকটি বিখ্যাত গ্রন্থ হল কিতাব আল শিফা, আদাবিয়াতুল কালবিয়া, রেসালায়ে ফিল হিকমাহ ওয়াত তাবয়ীয়াহ, উয়ুন আল হিকমাত ইত্যাদি।
ইবনে সিনা তার জীবনের নানা উত্থান পতনের মধ্যেও কখনো জ্ঞানচর্চা ছাড়েননি। আরবরা তাঁকে “শাইখুল রাইস” বা “জ্ঞানীকুলের শিরোমণি” উপাধি দিয়েছিল। মাত্র ৫৮ বছরের জীবনে ইবনে সিনা জ্ঞানের এত বিস্তৃত শাখায় অবদান রেখেছেন; যা সাধারণ মানুষের পক্ষে হাজার বছরেও সম্ভব নয়। ২০০২ সাল থেকে ইবনে সিনার সম্মানে ইউনেস্কো বিজ্ঞানের নীতিশাস্ত্রের অবদান রাখা ব্যক্তিদের জন্য আভিসিনা পুরস্কার ঘোষণা করে; যা দুই বছর পর পর প্রদান করা হয়। ইবনে সিনার নামকেই ল্যাটিনীকরণ করে আভিসিনা ডাকা হয়। ইবনে সিনার মত আরো বহু মহান মুসলিম বিজ্ঞানীদের নাম পশ্চিমারা বিকৃত করে ল্যাটিন ভাষায় নামকরণ করেছে। এর পেছনে ইসলামী স্বর্ণযুগের বিজ্ঞানীদের মুসলিম ঐতিহ্যকে গোপন করার সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র জড়িত রয়েছে।