বিশ্ব গণমাধ্যম কেন ইসরায়েলের পক্ষে
বিশ্ব গণমাধ্যম কেন ইসরায়েলের পক্ষে
গণমাধ্যম সমাজের চিন্তা এবং জনমত গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেকারণে বিশ্বের নাগরিকরা গণমাধ্যমগুলোর কাছ থেকে নিরপেক্ষ এবং বস্তুনিষ্ট সংবাদ আশা করে। কিন্তু হতাশার বিষয় হল, “নিরপেক্ষ সংবাদ বলে কিছু নেই”।
সংবাদমাধ্যমের কৌশলী ভাষার ব্যবহারে, একটি দল কোথাও “মুক্তিযোদ্ধা”, আবার একই দল অন্য কোথাও বিদ্রোহী বা “সন্ত্রাসী” হিসেবে উঠে আসে। সবই নির্ভর করে গণমাধ্যমের দৃষ্টিভঙ্গির উপর। ইসরায়েল ফিলিস্তিন ইস্যুতেও ঠিক একই ঘটনা ঘটছে।
গণমাধ্যম মালিকানা
একটি গণমাধ্যম কেন কখনই নিরপেক্ষ হতে পারে না, তার প্রধাণ কারণ হল গণমাধ্যমের মালিকানা। গণমাধ্যমের মালিক সবসময়ই চাইবে তার মালিকানাধীন মিডিয়া তার মতাদর্শ অনুযায়ী চলুক। বলা হয়ে থাকে, বিশ্বের ৯০ শতাংশ মিডিয়ার মালিকানা ইহুদিদের হাতে। বিষয়টি শতভাগ সত্য না হলেও, অনেকাংশেই সত্য। বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী বিনোদন শিল্প হলিউড প্রতিষ্ঠিতই হয়েছিল ইহুদি অভিবাসীদের হাত ধরে। তারপর বিনোদন জগৎ থেকে ধীরে ধীরে সংবাদ মাধ্যমের ব্যবসায়ও তারা ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করেছে। বর্তমানে আমেরিকার সবচেয়ে প্রভাবশালী মিডিয়া কম্পানিরগুলোর সিংহভাগ মালিকানাও রয়েছে ইহুদিদের হাতে। যেসব কম্পানিতে ইহুদি মালিকানা নেই, সেসব প্রতিষ্ঠানেরও বেশ কয়েকটি ইহুদি বংশোদ্ভূত সিইও বা ডিরেক্টরদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ফিল্ম প্রোডাকশন কম্পানি ওয়ার্নার ব্রাদার্স, প্যারামাউন্ট পিকচার্স এবং আমেরিকার বৃহৎ মিডিয়া কর্পোরেশন NBC, CBS ইহুদি মালিকানাধীন। এছাড়া Disney, CNN, NBC, Times, Washington Post এর মত মিডিয়ার প্রধাণ নির্বাহী সহ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের অনেকেই ইহুদি। ইহুদিরা মিডিয়ার কর্ণধার হওয়াটা কোন অপরাধ নয়, অপরাধ হল বিশ্বব্যাপী ইসলাম এবং আরব বিদ্বেষী মনোভাব ছড়ানো এবং ইসরায়েলের অপকর্মকে বৈধকরণ করা।
বিশ্ব গণমাধ্যমের মালিকানা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে, যার নাম না বললেই নয়, তিনি হলেন রুপার্ট মারডক। সংবাদ জগতের মুকুট বিহীন সম্রাট রুপার্ট মারডক বিশ্বেজুড়ে শতাধিক আঞ্চলিক পত্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়, ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের বেশ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের মালিক। রুপার্ট মারডক Fox News, Sky News, The Wall Street Journal, The Sun, The Times, The Daily Telegraph, The Times of London সহ আরো অসংখ্য প্রভাবশালী মিডিয়ার মালিক। এই মিডিয়া মুঘল ইসরায়েলের একনিষ্ঠ সমর্থক। ২০১২ সালে তিনি এক টুইটে বলেছিলেন, “ইহুদি মালিকানাধীন মিডিয়া কেন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কথা বলে?” এই ধরনের পক্ষপাতমূলক মন্তব্যের কারণে, জন অসন্তোষের মুখে তিনি ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন। যদিও অনেকেরই দাবি, তিনি ভালোভাবে ক্ষমাও চাননি।
সম্মতি উৎপাদন
বিশ্ব গণমাধ্যম প্রকাশ্যে ইসরায়েলের পক্ষে এমনভাবে তথ্য প্রচার করছে, যেন ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে রকেট হামলার পর থেকে এই অঞ্চলে অশান্তি শুরু হয়েছে। ৭ অক্টোবরের আগে যেন কিছুই হয়নি। তার আগে যেন এই অঞ্চলে কোন সমস্যাই ছিল না। এখন সকল সমস্যার মূল হল হামাস। হামাস একটি সন্ত্রাসী সংগঠন যারা নিরীহ জনগণের উপর হামলা করে, শিশুদেরকে হত্যা করে, নারীদেরকে ধর্ষণ করে, বয়স্ক ব্যক্তিদের জিম্মী করে, এই জাতীয় খবর প্রকাশ করে, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলী গণহত্যাকে বৈধ করা হচ্ছে। গণমাধ্যমের এই প্রক্রিয়াকে বলা হয় Manufacturing Consent বা সম্মতি উৎপাদন। ক্রমাগত মিথ্যা একপেশে তথ্য মিডিয়াতে উপস্থাপনের মাধ্যমে জনমনে সেই বিষয়ে এক ধরনের মৌন সম্মতি তৈরী হয়। হামাস সম্পর্কে যখন পশ্চিমারা ক্রমাগত খারাপ সংবাদ দেখতে থাকে, তখন তাদের মনে হয়, ফিলিস্তিনীদের উপর বোমা নিক্ষেপ অবশ্যই একটি ভালো কাজ। এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য এই কাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত। ঠিক একইভাবে টুইন টাওয়ার হামলার পর, আমেরিকার প্রশাসন ইরাকে Weapon of Mass Destruction বা গণবিধ্বংসী অস্ত্র থাকার মিথ্যা তথ্য মিডিয়াতে ক্রমাগত প্রচার করে, ইরাক যুদ্ধের পক্ষে আমেরিকার জনগণের সম্মতি উৎপাদন করেছিল।
জনমনে যেন ইসরায়েল সম্পর্কে কোন খারাপ ধারনা তৈরী না হয়, সেজন্য পশ্চিমা মিডিয়া ইসরায়েলকে সবসময় আগলে রাখে। সেজন্য ইয়াসির আরাফাত ইসরায়েলকে পশ্চিমা গণমাধ্যমের বাচ্চা বলে সম্বোধন করেছেন।
[বক্তব্য] বলার জন্য আমি দুঃখিত, আপনাদের গণমাধ্যম পশ্চিমা গণমাধ্যম সবাই ইসরায়েলের পক্ষে আপনাদেরদের বাচ্চা এই অঞ্চলে আপনাদের বাচ্চা
“If you’re not careful, the newspapers will have you hating the people who are being oppressed, and loving the people who are doing the oppressing.” – Malcolm X
বিখ্যাত মানবাধিকারকর্মী ম্যালকম এক্স বলেছিলেন, “আপনি যদি সতর্ক না হন, তাহলে সংবাদপত্র আপানাকে নির্যাতিতদের ঘৃণা করতে শেখাবে, আর নির্যাতকারীদেরকে ভালোবাসাবে।”
ফিলিস্তিনীদের বেলায়ও ঠিক এই বিষয়টিই ঘটেছে। প্রভাবশালী মিডিয়াগুলোর যদি তাদের পক্ষাতহীন সংবাদের বদলে, অন্যপক্ষের বাস্তবতা তুলে ধরত, তাহলে জনমত অন্যভাবে গড়ে উঠতে পারত। ইসরায়েল দশকের পর দশক ধরে ফিলিস্তিনীদের বাড়িঘর দখল করে চলেছে, ফিলিস্তিনের নিরীহ জনগেণের উপর সকল ধরনের মানবতা বিরোধী অপরাধ করছে, ফিলিস্তিনী নেতাদেরকে বিষ প্রয়োগ করে, গাড়ি বোমার মাধ্যমে হত্যা করে তাদের রাজনৈতিক আন্দোলন স্তিমিত করেছে, ইসরায়েল একের পর এক জাতিসংঘের আদেশ অমান্য করে যুদ্ধারাধ চালিয়েই যাচ্ছে, এসব বিষয় যদি গণমাধ্যমে সঠিকভাবে প্রকাশ পেত, তাহলে বিশ্ব জনমত অন্যভাবে গড়ে উঠত।
বিশ্ব গণমাধ্যমের ভন্ডামি
ফিলিস্তিনী সংবাদ পরিবেশনের দিক থেকে বৈশ্বিক গণমাধ্যমগুলো Total Media Blackout অনুসরণ করে। তারা ফিলিস্তিনে ইসরায়েলী আগ্রাসনের কোন সংবাদ প্রকাশ করে না। দৈনন্দিন জীবনে ফিলিস্তিনীরা যে ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন হয়ে, তা কোন সংবাদ উপাদান নয়। শুধুমাত্র বড় কেন ঘটনা ঘটলে, এবং ইসরায়েলীরা কোনভাবে হামলার শিকার হলে, তবেই সেই সংবাদ বিশ্বমিডিয়ায় প্রকাশ পায়। সেক্ষেত্রেও ইসরায়েলের হত্যাজ্ঞ আর জাতিগত নিধনের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা তো দূরের কথা, উল্টো ইসরায়েলকে ভিকটিম হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।
পশ্চিমা গণমাধ্যমের সবচেয়ে বড় ভন্ডামি প্রকাশ পায় তাদের শব্দ চয়নে। যখন ফিলিস্তিনীদের মৃত্যুর প্রচার করা হয়, তখন বলা হয় না, ইসরায়েলের বোমা হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনীদের হত্যা করেছে। তখন শুধু বলা হয় এতজন ফিলিস্তিনীর মৃত্যু হয়েছে; যেন মানুষগুলো এমনি এমনি মরে গেছে। অথচ ইসরায়েলীদের মৃত্যুর খবরে বলা হয়, ফিলিস্তিনী সন্ত্রাসী সংগঠন হামাস এতজন ইসরায়েলীকে হত্যা করেছে। একইভাবে, ইসরায়েল ফিলিস্তিনের ঘরবাড়ি ধ্বংস করে না, বলা হয় ইসরায়েলী বিমান টহলের পর গাজার ভবন ধ্বসে পড়েছে। যেন বোমা হামলা নয়, বিমানের বাতাসে বিল্ডিংগুলো ধ্বসে পড়েছে। বর্তমানে চলমান সহিংসতাকে বলা হচ্ছে, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ। “যুদ্ধ” শব্দটি ব্যবহার করে, এই আগ্রাসনকে সমতার রূপ দেওয়া হচ্ছে। অথচ ইসরায়েল হল পৃথিবীর অন্যতম শক্তিশালী, প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত সেরা এক সামরিক বাহিনী। যারা সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে একমাত্র পারমানবিক শক্তিধর দেশ। অন্যদিকে হামাস হল নিতান্তই একটি ছোট্ট সশস্ত্র দল, যাদের পর্যাপ্ত বন্দুক পর্যন্ত নেই। এরকম দুটি অসম দলের মধ্যে যুদ্ধ কিভাবে হয়? এখােন একদল আগ্রাসী, অন্যরা আগ্রাসনের শিকার।
অথচ পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো ইউক্রেনে হামলা চালানোর জন্য, ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কঠোর শব্দগুলো ঠিকই ব্যবহার করেছিল। কিন্তু ফিলিস্তিনে একই ধরনের কিংবা তারচেয়েও জঘন্য দখলদারী, আগ্রাসন এবং হামলা ইসরায়েল চালালেও, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একই ধরনের কঠোর শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছে না। যুগের পর যুগ ধরে ফিলিস্তিনীদের বিরুদ্ধে মানব সভ্যতার ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বর্ণবাদী আচরণ করা হলেও, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে “বর্ণবাদী” শব্দটাও উচ্চারণ করা হয় না।
ইউক্রেনে আক্রমণ করার মাত্র ৫ দিনের, পশ্চিমারা পুতিন এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে হাজার হাজার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ ৭৫ বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েল সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাওয়ার পরও, বলা হচ্ছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা খুব বেশি কার্যকর হবে না। জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সহ বহু আস্থাভাজন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। কিন্তু কোন পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমে সেসব রিপোর্ট প্রচার পর্যন্ত করা হয় না। অথচ হামাসের এক হামলা নিয়ে তারা দিনরাত হাজার হাজার প্রতিবেদন প্রচার করে চলেছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ, কিংবা ইসরায়েলে হামাসের হামলা সহ বিশ্বের যে কোন প্রান্তে নিরীহ জনগণের উপর আক্রমণ চালানা নিঃসন্দেহে জঘন্য অপরাধ। কিন্তু একই কাজ ইসরায়েল করলে পশ্চিমা গণমাধ্যমে কেন সমানভাবে প্রচার হয় না?
Narcotizing Disfunction
বিশ্বব্যাপী সাধারণ জনগণের মধ্যেও ফিলিস্তিনীদের দুর্দশার চিত্র অনেকটা গা সওয়া হয়ে গেছে। গণমাধ্যমের ভাষায় একে বলা হয় Narcotizing Disfunction। এর অর্থ হল একজন মাদক সেবী যখন প্রথম প্রথম মাদক গ্রহণ শুরু করে, তখন তার সামান্য মাদকেই কাজ হয়। কিন্তু যখন সে দীর্ঘদিন যাবৎ একই মাদক গ্রহণ করতে থাকে, তখন তার আগের মত সামান্য মাদকে কাজ হয় না। মাদকসেবী প্রথম দিককার মত মজা পেতে আরো বেশি বেশি মাদক গ্রহণ করতে থাকে। ঠিক একইভাবে প্রায় ৭৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ববাসী ফিলিস্তিনীদের দুর্দশার কথা শুনে আসছে, নিয়মিত খবরে শুনছে এতজন ফিলিস্তিনী মারা গেছে। এই বিষয়েগুলো সেই মাদক সেবীর মত আমাদের বিবেককে আর আগের মত নাড়া দিচ্ছে না। ফিলিস্তিন ইস্যু আমাদের নজর কাড়ার জন্য, আগের চেয়ে আরো ভয়াবহ হামলা হলে, লাশের সারি আরো দীর্ঘ হলে, তবেই আমরা এর প্রতি মনোযোগ দেই। তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু হবার প্রথম দিকে এই বিষয় নিয়ে মানুষের যতটা আগ্রহ ছিল, ধীরে ধীরে সেই আগ্রহ অনেকটাই কমে গেছে। কিন্তু গাজা বাসীর দুঃখ-দুর্দশা কিন্তু একটুও কমেনি। বরং বেড়েছে বহু গুণে।
সামাজিক মাধ্যমের দ্বিচারিতা
ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবের মত সামাজিক মাধ্যমগুলোও যে পশ্চিমাদের স্বার্থ রক্ষা করে চলে, তা বলাই বাহুল্য। মূল ধারার গণমাধ্যমগুলো যখন প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে ব্যার্থ্য হচ্ছিল, তখন সামাজিক মাধ্যমে গাজা বাসীর প্রকাশিত কন্টেন্টগুলো ইসরায়েলী আগ্রাসনের প্রকৃত ভয়াবহতা সম্পর্কে ধারণা দিচ্ছিল। কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়ন সহ পশ্চিমা দেশগুলোর চাপের মুখে ফেসবুক, টুইটার, টিকটক, ইউটিউব ফিলিস্তিনের পক্ষে প্রচার করা কন্টেন্টগুলো সরিয়ে নিতে শুরু করে। ইসরায়েল ফিলিস্তিন ইস্যুতে নির্মিত ভিডিওগুলোর বেশি মানুষের কাছে পৌছাতে দেয় না, এসব ভিডিওতে বিজ্ঞাপন সীমাবদ্ধ করে কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের উপার্জন বন্ধ করে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। তারপরও সম্পূর্ণ পরিস্থিতি ধামাচাপা দেওয়া যায়নি। সামাজিক মাধ্যম সহ ইন্টারনেটের বহু চ্যানেলে ফিলিস্তিনে চলমান আগ্রাসন বিশ্ববাসীর সামনে প্রকাশিত হয়েই গেছে।
বর্তমান বিশ্বের সচেতন নাগরিকরা গণমাধ্যমের পক্ষপাত আর ভন্ডামি অনেক আগেই ধরে ফেলেছে। আর সেকারণেই গণমাধ্যমের প্রভাব আগের চেয়ে অনেক কমতে শুরু করেছে। এর ফলে ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া সহ সমগ্র বিশ্বে নির্যাতিত ফিলিস্তিনীদের পক্ষে এমনসব পদযাত্রা দেখা যাচ্ছে।