প্রতিবেশী দেশে ভারতের কোন বন্ধু নেই কেন

maxresdefault (52)
কি কেন কিভাবে

প্রতিবেশী দেশে ভারতের কোন বন্ধু নেই কেন

ভূমিকা

দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ হিসেবে ভারত তার জনসংখ্যা, ভৌগোলিক পরিসর, অর্থনৈতিক ক্ষমতা এবং সামরিক শক্তির কারণে অন্য দেশগুলোর তুলনায় অনেক এগিয়ে।

২০১৪ সালে হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি ভারতের ক্ষমতায় আসার পর, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ বা প্রতিবেশী প্রথম নীতি গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু মুখে প্রতিবেশীদের সাথে সুসম্পর্কের কথা বললেও, বাস্তবে প্রতিবেশী সবগুলো দেশের সাথেই ভারতের সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি হয়েছে।

বাংলাদেশে ভারতের পুতুল সরকার আওয়ামী লীগের পতনের পর, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিলে, বাংলাদেশের প্রতি ভারতের শত্রুভাবাপন্ন মনোভাব আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

ভারতের কোন বন্ধু নেই কেন ?

গুজরাল মতবাদ

ভারত এবং তার প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যকার সম্পর্ক গত কয়েক দশকে নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গেছে। ১৯৮০ এর দশক থেকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর ভারতের প্রতি পারস্পরিক অবিশ্বাসের কারণে, ভারত প্রতিবেশীদের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে ভাবতে শুরু করে।

১৯৯০ এর দশকে ভারত প্রতিবেশীদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য গুজরাল ডকট্রিন বা গুজরাল মতবাদ গ্রহণ করেছিল। ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী হওয়া ইন্দ্র কুমার গুজরাল এই মতবাদ প্রণয়ন করেছিলেন।

গুজরাল ডকট্রিন পাঁচটি মূল নীতির ওপর গড়ে ওঠে। প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি ভারতের সেই নীতিগুলো হল:

১. প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছ থেকে, প্রতিদানের প্রত্যাশা ছাড়া সাহায্য করা

২. প্রতিবেশী দেশের, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করা

৩. ছোট বড় সকল দেশের সাথে, সমান মর্যাদায় সম্পর্ক গড়ে তোলা

৪. প্রতিবেশীদের সাথে, দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানো এবং

৫. প্রতিবেশী েদশের, জরুরী প্রয়োজনে বিনা শর্তে সহায়তা প্রদান করা।

তারমানে ভারত তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে সর্বোচ্চ উদারতা দেখাবে, তবে এর বিপরীতে কোনো প্রতিদানের আশা করবে না। এটি বিশেষত ছোট দেশগুলো, যেমন নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ এবং শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ছিল।

এই বিষয়গুলো মেনে চললে ভারত দাদাগিরি না করেই প্রতিবেশী দেশগুলোর আস্থার জায়গায় পৌছাতে পারত। কিন্তু ভারত বরং গুজরাল ডকট্রিনের সম্পূর্ণ বিপরীত আচরণ করে, প্রতিবেশীদের মন বিষিয়ে তুলেছে।

গুজরাল ডকট্রিনের সফলতা বলতে, এই নীতির ফলে বাংলাদেশের সাথে গঙ্গা নদীর পানি বণ্টনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, যা উভয় দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। যদিও বাস্তবে সেই চুক্তিতেও বাংলাদেশকে চূড়ান্তভাবে ঠকানো হয়েছে। এই নীতির মাধ্যমে ভুটান এবং নেপালের সঙ্গে বাণিজ্য ও কৌশলগত সম্পর্ক মজবুত হয়। শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধের সময় ভারত শান্তি প্রতিষ্ঠায় একটি সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তবে মোটা দাগে গুজরাল নীতির মাধ্যমে ভারত প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে।

নেইবারহুড ফার্স্ট নীতি

২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ নীতি গ্রহণ করেন, যার উদ্দেশ্য ছিল প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন ও আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। এই নীতির আওতায় ভারত তার প্রতিবেশীদের সঙ্গে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদার করার চেষ্টা করে।

অনেকেই ভেবেছিলেন, ভারতের প্রতি তার প্রতিবেশী দেশগুলোর যে অনাস্থা, সেটা হয়ত নেইবারহুড ফার্স্ট নীতির মাধ্যমে দূর হবে। কিন্তু বাস্তবে মোদী সরকারের হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনীতি এবং অভ্যন্তরীণ নীতিমালা প্রতিবেশীদের সাথে সম্পর্কের আরো অবনতি ঘটিয়েছে। বিশেষ করে, ভারতীয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি বা এনআরসি র মত বিষয়গুলোতে, বিজেপি সরকার বাংলাদেশীদেরকে ভারতে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে ভয়ানক অপপ্রচার চালিয়েছে। এছাড়া, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপের মতো দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কেও ভিন্ন ভিন্ন কারণে চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে। নেপালের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ এবং শ্রীলঙ্কায় চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়েছে। মালদ্বীপে ‘ইন্ডিয়া আউট’ আন্দোলন এবং নতুন সরকারের চীনপন্থী অবস্থানের ফলেও ভারতের ‘নেইবারহুড ফার্স্ট’ নীতি ব্যর্থ হয়েছে।

সহজ করে বলতে গেলে, নরেন্দ্র মোদির কট্টর হিন্দুত্ববাদী সরকার প্রতিবেশীদের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের বড় বড় বুলি আওড়ালেও, প্রকৃতপক্ষে প্রতিবেশীদের সাথে তাদের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। এবং বিজেপির অসহিষ্ণু উগ্র হিন্দু মৌলবাদী নেতাদের জন্য সেই সম্পর্ক দিন দিন আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে।

সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা

প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে কেউই ভারতের স্থায়ী বন্ধু হিসেবে পরিচিত নয়। বাংলাদেশ থেকে শুরু করে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান থেকে মালদ্বীপ কিংবা মিয়ানমার থেকে আফগানিস্থান; প্রতিবেশী প্রায় প্রতিটি দেশেরই ভারতের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির পেছনে কয়েকটি সাধারণ কারণ হল; ১. ভারতের ঔদ্ধত্যপূর্ণ মনোভাব ২. দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের প্রভাব বৃদ্ধি ৩. ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং ৪. ধর্মীয় সংবেদনশীলতা।

ভারতের পররাষ্ট্রনীতিতে প্রতিবেশী ছোট দেশগুলোর উপর বড় ভাই সুলভ আচরণ সকল দেশেই অসন্তোষের জন্ম দিয়েছে। এমনকি ভারতের এই দাদাগিরিতে নেপালের মতো হিন্দু-প্রধান দেশও ভারতের কাছ থেকে দূরে সরে গেছে। নেপালের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে সমস্যার অভাব নেই। তবে ভারত নেপাল সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি ঘটে ২০১৫ সালে। সেসময় দেশটিতে নতুন সংবিধান প্রণয়নকে কেন্দ্র করে তৈরী হওয়া অস্থিতিশীলতায়, ভারত নেপালে জ্বালানি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর অবরোধ আরোপ করে। সেই সাথে সেসময় নেপালে অশান্তি তৈরী করা মধেশি সম্প্রদায়ের প্রতি ভারতের প্রকাশ্য সমর্থনের কারণে; নেপালী জনগণের মধ্যে ভারত বিরোধী মনোভাব বেড়ে যায়। ২০২২ সালেও নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের অভিযোগ তোলেন।

ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের মূল সমস্যা কাশ্মীর ইস্যু। ৭৫ বছর ধরে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের সংকট দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাড়িয়েছে। ভারতের হিন্দুত্ববাদী নীতিমালা এবং সামরিক শক্তির আগ্রাসন ভারত পাকিস্তান চীর শত্রু অবস্থানকেই আরো দৃঢ় করেছে।

চীনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বরাবরই উত্তেজনাপূর্ণ। ১৯৬২ সালের সীমান্ত যুদ্ধ এবং সাম্প্রতিক সময়ে লাদাখে সীমান্ত সংঘাত এই সম্পর্কের উপর আরো বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তার উপরে চীনের সাথে পাকিস্থানের আজীবনের বন্ধুত্ব ভারতের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে।

শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকটের সময় ভারত সাহায্য করলেও, চীনের বড় বিনিয়োগে নির্মিত হাম্বানটোটা বন্দর এবং শ্রীলঙ্কার সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাড়িযেছে। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় বামপন্থী আনুরা দিসানায়েক প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন, তার সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক কেমন হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মুইজুর নির্বাচনী স্লোগানই ছিল ‘ইন্ডিয়া আউট’। তিনি ক্ষমতায় এসেই মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানান, যা ভারত মেনে নিতে বাধ্য হয়। তবে সম্প্রতি মালদ্বীপ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে মুইজু ভারতকে ‘ঘনিষ্ঠ সহযোগী’ হিসেবে উল্লেখ করে আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন।

১৯৪৯ সালের ভারত-ভুটান বন্ধুত্ব চুক্তি অনুযায়ী, ভুটানকে তার পররাষ্ট্রনীতি ভারতের পরামর্শ অনুযায়ী পরিচালনা করতে হতো। তবে ২০০৭ সালে চুক্তিটি সংশোধন করে ভুটানকে তার নিজস্ব পররাষ্ট্রনীতি পরিচালনার স্বাধীনতা দেওয়া হয়, তবে শর্ত ছিল যে তা যেন ভারতের স্বার্থের বিপরীতে না যায়। এর বাইরেও আরো বেশ কিছু বিষয়ে, ভুটান প্রায়ই ভারতের অতিরিক্ত হস্তক্ষেপ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।

মিয়ানমারে ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর, ভারতের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। কারণ ভারতের সেভেন সিস্টর্স রাজ্যগুলাতে শরণার্থী প্রবাহ এবং অস্ত্র সরবরাহের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। অন্যদিকে, আফগানিস্তানে তালিবান সরকারকে ভারত এখনও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি, তবে কাবুলে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য ভারত কাজ করছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আমেরিকা ও রাশিয়ার মতো বড় দেশগুলো র সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে গিয়ে ভারত তার প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি যথেষ্ট মনোযোগ দেয়নি।

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক

বাংলাদশের স্বাধীনতার পর সব সরকারই ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করেছে। তবে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনা ভারতকে এমন সব সুবিধা দিয়েছে যে, ভরত বাংলাদেশকে তাদের একটি অঙ্গরাজ্য ভাবতে শুরু করে। এই সময়ে সম্পর্ক একতরফা হয়ে পড়ে, যেখানে বাংলাদেশ কেবল দিয়েই গেছে, আর ভারত সেই সুবিধা ভোগ করেছে। বিগত দেড় দশকে দুই দেশের মধ্যে হওয়া বিভিন্ন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, কোন একটি চুক্তি বাংলাদেশের জন্য লাভজনক ছিল না। তারমানে শেখ হাসিনার মূল উদ্দেশ্যই ছিল ভারতকে অন্যায্য সুবিধা দিয়ে বাংলাদেশের ক্ষমতায় টিকে থাকা।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর, দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি ঘটেছে। তারপর থেকে ভারত ক্রমাগত এমনসব পদক্ষেপ নিচ্ছে, যা বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ভারতবিরোধী মনোভাব আরও বাড়িয়েছে দিয়েছে।

ভারতের হিন্দুত্ববাদী সরকার বাংলাদেশীদেরকে অপমান করে তাদের ভোট ব্যাংক বাড়ানোর চেষ্টা করে গেলেও; শেখ হাসিনা সরকার তখন ভারতের বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচারকে, ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে এড়িয়ে গেছে।

হাসিনার নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে, তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি থেকে শুরু করে,  সীমান্তে বিএসএফ-এর হাতে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা পর্যন্ত কোন একটি বিষয়ে বাংলাদেশ ভারতকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে পারেনি।

গণঅভ্যুত্থানে ভারতপন্থী আওয়ামী লীগ সরকার পতনের মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে, ভারত তাদের বাঁধের পানি ছেড়ে দিয়ে, বাংলাদেশকে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় ডুবিয়েছে। বাংলাদেশে অস্থিরতা তৈরীর জন্য ইসকনের বহিষ্কৃত নেতাদের দিয়ে ক্রমাগত সাম্প্রদায়িক এবং রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ তৈরী করে চলেছে।

ভারতের মত বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক অস্থিরতার একটি দেশ, যেখানে একের পর পর মসজিদ ভেঙে মন্দির বানানো হচ্ছে, যে দেশ শুধুমাত্র গরুর মাংস খাওয়ার সন্দেহে মুসলিমদেরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়, তারা বাংলাদেশের মত বিশ্বের বুকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নজির একটি দেশকে অসাম্প্রদায়িকতার ছবক শেখাতে আসে।

ভারত আসলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বহু আগে থেকেই অঘোষিত যুদ্ধ শুরু করেছিল। কিন্তু হাসিনার দিল্লী দাসী মনোভাবের কারণে, অতীতে ভারতীয় আগ্রাসনের এমন নগ্ন চেহারা দেখা যায়নি। হাসিনার আমলে ভারত বাংলাদেশকে ভুটান মডেলে শাসন করতে চেয়েছে, কিন্তু সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবার পর; এখন তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তান মডেলে সরাসরি শত্রু রাষ্ট্র হিসেবে গণ্য করছে।

বিজেপির ভারত নিজেদেরকে অনেক প্রভাবশালী মনে করতে শুরু করেছে। তাই নরেন্দ্র মোদি ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করার তোড়জোড় চালান, কিন্তু তিনি নিজ দেশের রাজ্য মনিপুরের অস্থিরতা থামাতে পারেন না। ভারত বিশ্ব রাজনীতিেত মোড়ল সাজতে যায়, কিন্তু নিজের প্রতিবেশীরাই কেউ ভারতের কথা শোনে না।

কূটনৈতিক সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, তুমি তোমার বন্ধু বদলাতে পার, তবে প্রতিবেশী নয়। ভারত সেই কথা ভুলে প্রতিবেশীদের সাথে দাদাগিরি দেখাতে গিয়ে প্রতিটি প্রতিবেশী দেশের সাথেই সম্পর্ক খারাপ করেছে। সেকারণে দক্ষিণ এশিয়ায় চীনের একাধিক ঘনিষ্ঠ বন্ধু থাকলেও, ভারতের কোন বন্ধু নেই।

Leave your thought here

Your email address will not be published. Required fields are marked *


দিন
ঘণ্টা
মিনিট
সেকেন্ড
আমাদের লাইভ ক্লাস শেষ হয়েছে, তবে আপনি এখন ফ্রি রেকর্ডেড কোর্সে ইনরোল করে দেখতে পারবেন।
আপনার রেজিস্ট্রেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

আপনার জন্য একটি একাউন্ট তৈরি হয়েছে। প্রদত্ত ইমেইল ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।

কোর্সের তারিখ: ০৩/১০/২০২৫
সময়: রাত ৯টা থেকে
(বাংলাদেশ সময়)

আপনার সঠিক - নাম, ইমেইল দিয়ে
Sign Up এ ক্লিক করুন।