তরমুজের উপকারিতা

maxresdefault (43)
কি কেন কিভাবে

তরমুজের উপকারিতা

গ্রীষ্মকালে এক সুস্বাদু ফল তরমুজ। নানা রকমের উপকারী গুণের কারণে তরমুজের কোন জুরি নেই। শুধু প্রশান্তির জন্যই নয়, স্বাস্থ্যগত দিক থেকেও তরমুজ অনেক উপকারী। তরমুজে থাকা উপকারী উপাদানগুলো হল একাধিক ভিটামিন, অ্যামাইনো অ্যাসিড, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, লাইকোপেন এবং পানি। গরমে পানির ঘাটতি কমাতে তরমুজ খুবই কাজের। তরমুজের প্রায় ৯২ ভাগই পানি। তাই শরীরকে ঠান্ডা করতে ও পানিশূন্যতা কমাতে তরমুজ অতুলনীয়। তরমুজ মস্তিষ্ক ও শরীরকে রাখে ঠান্ডা এবং নিমিশেই দেহে শক্তি সঞ্চার করে। তরমুজে ফ্যাটের পরিমাণ একেবারেই কম। সামান্য পরিমাণ তরমুজেই প্রায় ৪৫ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়। নিয়মিত তরমুজ খেলে, প্রতিদিনের ভিটামিন এ র চাহিদার ৭ শতাংশ এবং ভিটামিন সি র চাহিদার ২১ শতাংশ পূরণ হয়।

তরমুজের উপকারিতা | কি কেন কিভাবে


গরমের ফল তরমুজে রয়েছে ভিটামিন এ, বি ও সি। এ ছাড়া এই ফলে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। তরমুজের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল লাইকোপেন। মজার ব্যাপার হলো, এই লাইকোপেনের উপস্থিতির কারণেই তরমুজ এমন লাল টকটকে দেখায়। এসব উপাদানের উপকারিতাও কিন্তু কম নয়। গবেষণায় দেখা গেছে, তরমুজে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় আরও জানা যায়, তরমুজে থাকা লাইকোপেন মানবদেহের কয়েক ধরনের ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং হিটস্ট্রোক ও হার্ট এট্যাকের ঝুঁকি কমাতে খুব ভালো কাজ করে। যেসব খাবার খেলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, তরমুজ তার মধ্যে অন্যতম। তরমুজে থাকা ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি ৬ শরীরকে রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এই ফলে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড ব্লাড প্রেশার কমাতে দারুণ কাজ করে।
তরমুজের আরেকটি গুণ হলো এটি চুল ও ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন সি চুল ও ত্বকে শক্তি সঞ্চার করে। জার্মানির একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, লাইকোপেন ও বিটা ক্যারোটিন ত্বককে রোদে পোড়া থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই, রোদে পোড়া ত্বকের একটি ভালো সমাধান তরমুজ। তরমুজের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো ভিটামিন এ; এটিও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ভিটামিন এ ত্বকের ক্ষয় কমানো ও নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে। চোখের সুস্থতার জন্যও ভিটামিন এ র বিকল্প নেই। এক ফালি তরমুজেই প্রতিদিনের প্রয়োজনের ৯ থেকে ১১ ভাগ ভিটামিন এ পাওয়া যায়। যা চোখের স্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি, দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে। যারা নিয়মিত শরীর চর্চা করেন, তাদের জন্য তরমুজ আরো কাজের। ব্যায়াম করার পর তরমুজ খেলে, খুব দ্রুত সুফল পাওয়া যায়। তরমুজে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, অ্যামাইনো অ্যাসিড, পটাশিয়াম ও মিনারেল ব্যায়ামের পর খুব সহজেই পেশিতে শক্তি জোগাতে সহায়তা করে।
কথায় আছে অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না। অধিক পরিমাণে তরমুজ খেলে ডায়রিয়া সহ পেটের নানা রোগ দেখা দিতে পারে। তরমুজে থাকা সরবিটল বা সুগার কমপাউন্ড বুক জ্বালা পোড়া এবং বদহজমের মতো সমস্যা তৈরী করতে পারে। তরমুজে অধিক শর্করার রয়েছে; তাই প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে তরমুজ খেলে ডায়বিটিস হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, দিনে সর্বোচ্চ ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত তরমুজ খাওয়া যেতে পারে। ৫০০ গ্রাম তরমুজ খেলে ১৫০ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়। এর বেশি তরমুজ খেলে শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

Leave your thought here

Your email address will not be published. Required fields are marked *


দিন
ঘণ্টা
মিনিট
সেকেন্ড
আমাদের লাইভ ক্লাস শেষ হয়েছে, তবে আপনি এখন ফ্রি রেকর্ডেড কোর্সে ইনরোল করে দেখতে পারবেন।
আপনার রেজিস্ট্রেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

আপনার জন্য একটি একাউন্ট তৈরি হয়েছে। প্রদত্ত ইমেইল ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।

কোর্সের তারিখ: ০৩/১০/২০২৫
সময়: রাত ৯টা থেকে
(বাংলাদেশ সময়)

আপনার সঠিক - নাম, ইমেইল দিয়ে
Sign Up এ ক্লিক করুন।