গাজার মানুষ কি খেয়ে বেঁচে আছে

maxresdefault (1)
জীবনযাপন

গাজার মানুষ কি খেয়ে বেঁচে আছে

গাজার মানুষ কি খেয়ে বেঁচে আছে?

ইসরায়েল হামাস সংঘাতে জড়ানোর পর থেকে গাজাবাসী বিশ্বের সবচেয়ে নির্যাতিত জনপদে পরিণত হয়েছে। অনবরত আকাশ থেকে বোমা বর্ষণ, নির্বিচার গণহত্যা আর অকল্পনীয় ধ্বংস যজ্ঞের বাইরে আরেকটি বিশাল দুর্ভোগ তৈরী হয়েছে, যা চোখে দেখা যায় না; আর তা হল গাজাবাসীর তীব্র ক্ষুধা।

ইসরায়েল কর্তৃক অমানবিক যুদ্ধ শুরু হবার পর থেকে, গাজায় খাদ্য সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বলতে গেলে বিগত ছয় মাস যাবৎ গাজাবাসী না খেয়ে আছে। এত দীর্ঘ সময় ধরে প্রাপ্ত বয়স্করা কোন রকমে টিকে থাকতে পারলেও, গাজার নিশ্পাপ শিশুরা শুধুমাত্র না খেতে পেয়ে একে একে মারা যাচ্ছে।

গণমাধ্যমে ত্রাণ বিতরণের যেসব খবর প্রচার করা হচ্ছে, তার সাথে বাস্তবতার কোন মিলই নেই। যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে ব্যয়বহুল এবং সবচেয়ে অকার্যকর উপায়ে বিমান থেকে ত্রাণ ফেলে, প্রকৃত সমস্যা সমাধানের বদলে ত্রাণ দেওয়ার নাটক করছে। অন্যদিকে ইসরায়েল ত্রাণ সংগ্রহের লাইনে দাড়ানো ফিলিস্তিনীদের উপর গুলি বর্ষণ করে নির্বিচারে হত্যা করছে। শুধু ইসরায়েলের সরকার বা সেনাবাহিনী নয়, ইসরায়েলের সাধারণ জনগনও গাজায় ত্রাণ প্রবেশের পথে বাঁধা প্রদান করছে।

গাজার বাসিন্দারা শুধুমাত্র বর্তমান সময়ের সবচেয়ে নির্যাতিত জনপদেই পরিণত হয়নি; বরং তারা মানব ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্য গণহত্যা এবং জাতিগত নিধনের শিকার হচ্ছে। তারা ক্ষুধার তাড়নায় যতটা ছটফট করছে, তার চেয়ে বুলেট বোমার আঘাতে মৃত্যু অনেক সহজ।

গাজাবাসী কি খেয়ে বেঁচে আছে ?

ভয়াবহ ত্রাণ সঙ্কট

বর্তমান সঙ্কট শুরু হবার বহু আগে থেকেই, ইসরায়েল কৌশলগতভাবে গাজায় চাহিদার তুলনায় কম খাদ্য প্রবেশ করার অনুমতি দেয়। ইসরায়েলের দখলদার সরকার সবসময় হিসেব করে, গাজায় কত জন মানুষ বসবাস করছে এবং তাদের পর্যাপ্ত পুষ্টি চাহিদা মেটানোর জন্য কি পরিমাণ খাদ্য দরকার। গাজার মানুষের যে পরিমাণ খাদ্য লাগবে, ইসরায়েল সবসময় হিসেব করে তার চেয়ে কম পরিমাণ খাদ্য গাজায় প্রবেশ করতে দেয়। যাতে করে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে গাজার ফিলিস্তিনীরা অপুষ্টিতে ভোগে।

বর্তমানেও গাজায় পৌছানোর মত ত্রাণ নেই, বিষয়টি মোটেও সেরকম নয়। আসল সমস্যা হল গাজায় ত্রাণ ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। গাজায় বর্তমানে ত্রাণ প্রবেশের মাত্র দুটি পথ রয়েছে, একটি মিশর সীমান্তবর্তী রাফাহ ক্রসিং এবং আরেকটি হল কারিম শ্যালোম ক্রসিং, যা ইসরায়েলের সাথে সংযুক্ত। গাজার রাফাহ ক্রসিং এ বহু ত্রাণবাহী ট্রাক অপেক্ষা করছে, কিন্তু ইসরায়েল এসব ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে না। অন্যদিকে কারিম শ্যালোম ক্রসিং দিয়ে ফিলিস্তিনীদের জন্য আনা ত্রাণ, ইসরায়েলের সাধারণ জনগণ আটকে দিচ্ছে। তাদের দাবি ইসরায়েলী বন্দীদের মুক্ত না করা পর্যন্ত তারা গাজায় ত্রাণ প্রবেশ করতে দিবে না। তাদের মাত্র একশতাধিক লোকের বিনিময়ে, গাজার ২২ লক্ষ লোক না খেয়ে মারা গেলেও, ইসরায়েলী জনতার কিছু আসে যায় না। বরং তারা যেভাবে ত্রাণ আটকে রেখেছে, তাতে হামাসের কাছে জিম্মী ইসরায়েলীরাও এতদিনে না খেয়ে মারা যাবার কথা।

জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মসংস্থান সংক্রান্ত অঙ্গসংগঠন UNRWA জানিয়েছে, গাজাবাসীর চাহিদা মেটানোর জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০০ ট্রাক শুধু ত্রাণের দরকার। এর বাইরেও আরো বিপুল পরিমাণ বানিজ্যিক পণ্যের দরকার আছে। যেখানে দিনে ৫০০ ট্রাক ত্রাণের দরকার, সেখানে জানুয়ারি মাসে সপ্তাহে ত্রাণ ঢুকেছে ২০০ ট্রাক। আর বর্তমানে প্রদি সপ্তাহে ত্রাণ যাচ্ছে মাত্র ৫৭ ট্রাক। সেই সাথে বোমা ফেলে গাজার অধিকাংশ রাস্তাঘাট ধ্বংস করে দেওয়ার কারণে, এই উপত্যকার বেশিরভাগ এলাকায়ই ত্রাণবাহী ট্রাক যাবার কোন পথ নেই। এমনকি অক্টোবরে সংঘাত শুরু হবার প্রায় সাড়ে চার মাস পর, উত্তর গাজায় প্রথম ত্রাণ প্রবেশ করেছে ফেব্রুয়ারির ২০ তারিখে।

সংঘাত শুরু প্রথম দিকে যে পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী গাজায় বিতরণ করা হয়েছে, জাতিসংঘের হিসেবে বতমানে ত্রাণ সরবরাহের সেই পরিমাণ প্রায় ৭৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এত দীর্ঘদিন না খেতে পেয়ে, গাজার প্রাপ্ত বয়স্করা কোন রকমে বেঁচে থাকলেও, শিশুরা মারাত্নক পুষ্টিহীনতায় ভুগছে। ইউনিসেফ বলেছে, যে কোন মুহুর্তে গাজায় শিশু মৃতু্র বিস্ফোরন ঘটবে। বর্তমানে বোমার আঘাতে আহত শিশুদের বদলে, চূড়ান্ত রকমের অপুষ্ঠিতে ভোগা ক্ষুধায় কাতর শিশুরা দুঃসহ যন্ত্রনায় মৃত্যুবরণ করছে। হাসপাতালের বিছানায় তাদের অনেকের মৃত্যু হলেও, তাদের বাঁচাতে ওষুধ নয়, দরকার ছিল এক মুঠো খাবারের। 

গাজার মানুষ কি খাচ্ছে?

বিশ্ব খাদ্য সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গাজায় ৫ লক্ষেরও বেশি লোক ভয়ংকর দুর্ভিক্ষের কবলে রয়েছে। তারমানে বর্তমানে গাজায় অবস্থান করা প্রতি চার জনের এক জন সম্পূর্ন না খেয়ে বেঁচে আছে। দুই বছরের নিচের শিশুদের মধ্যে প্রতি ছয় জনে একজন তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। ক্ষুধায় কাতর গাজাবাসী দীর্ঘ ছয় মাস না খেয়ে কিভাবে বেঁেচ আছে? এতদিন কি না খেয়ে বেঁচে থাকা সম্ভব?

বিভিন্ন এনজিও এবং সাহায্য সংস্থার বিতরণ করা খাবার গাজাবাসীর জন্য যথেষ্ট নয়। গাজাবাসী ক্ষুধার জ্বালায় সরাসরি ঘাস, লাতা পাতা খাওয়া শুরু করেছে। গাজায় এক ধরনের আগাছা জন্মে, যা স্থানীয়দের কাঝে “খুবিজেহ” নামে পরিচিত। অতীতে বিভিন্ন সময় ভেষজ উপকারিতা এবং সালাদ হিসেবে খুবিজেহ খাওয়া হলেও, বর্তমানে অনেকের কাছে এটিই বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন। অনেকে আবার এখানে জন্মানো ক্যাকটাস খাচ্ছে। এসব খাবার থেকে নূন্যতম পুষ্টি চাহিদাও মিটছে না। কিন্তু এখনও পর্যন্ত হয়ত মুখে দেওয়ার মত কিছু ক্যাকটাস আছে, কয়দিন পর তাও থাকবে না। এগুলোর বাইরে গাজার লোকজন অনেকে কুকুর বেড়ালের জন্য তৈরী করা পশু খাদ্য খাচ্ছে। অনেকে আবার পুরনো, নষ্ট ও পঁচা শস্য দানা খাচ্ছে। তাদের যে শুধু খাদ্যের সঙ্কট তা নয়, বরং গাজার মানুষের পান করার মত পানিও নেই। গাজার প্রায় ৯৭ শতাংশ পানিই পান করার অযোগ্য। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজার ৭০ শতাংশ মানুষ লবণাক্ত এবং দূষিত পানি পান করছে।

ময়দা গণহত্যা

গাজার সীমান্তে অপেক্ষমান ট্রাকগুলোকে কালেভদ্রে ত্রাণ নিয়ে গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলেও, এসব জায়গা থেকে ত্রাণ গ্রহণ করাও ফিলিস্তিনীদের জন্য নিরাপদ নয়। নিরাপদ তো দূরে কথা, শুধুমাত্র ত্রাণ সংগ্রহ করাও যে তাদের জন্য কতটা বিদজ্জনক হতে পারে, তা ময়দা গণহত্যা না ঘটলে বোঝা যেত না। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ দিন, প্রায় এক মাস পর উত্তর গাজার এই দিকটায় প্রথম কোন ত্রানের ট্রাক প্রবেশ করেছিল। ক্ষুধার্থ জনগণ গাজার হারুন আল রশিদ সড়কে সমবেত হয়েছিল, ত্রাণের কিছু ময়দা সংগ্রহ করার জন্য। সেখানে বিপুল পরিমাণ লোকের সমাগমে ইসরায়েলী সেনাবহিনী বিনা কারণে এলোপাথারি গুলি করতে শুরু করে। গোলাগুলি বন্ধ হবার পর চরম ক্ষুধায় কাতর গাজাবাসী, প্রাণের তোয়াক্কা না করে ত্রাণের ট্রাক থেকে যে যার মত ময়দা সংগ্রহ করতে শুরু করে। একদিকে পরিবারের লোকজন ছয় মাস ধরে না খেয়ে মারা যাচ্ছে, অন্যদিকে ত্রাণ সংগ্রহ করতে এসে ইসরায়েলী নরপশুদের হাতে হত্যার শিকার হতে হচ্ছে। বিশৃঙ্খল জনগণ প্রাণ বাঁচিয়ে ফিরে যাওয়ার আগে দ্বিতীয় দফা ময়দা সংগ্রহ করার চেষ্টা শুরু করলে, হায়েনার দল আবারো নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করে। Flour massacre বা ময়দা গণহত্যা নামে পরিচিত এই ঘটনায় কমপক্ষে ১১২ জন নিরপরাধ ফিলিস্তিনী মারা যায়। জানোয়ারগুলো এখানেই ক্ষান্ত হয় না, গোলাগুলি শেষে লাশের উপর দিয়ে তাদের ট্যাংক ও সাজোয়া যান চালিয়ে, মৃত দেহগুলোকেও পিষ্ট করে এবং বহু মানুষকে আহত করে যায়।

এমন ঘৃণ্য হত্যকান্ড চালানোর পর ইসরায়েল শুরু করে তার চিরাচরিত মিথ্যাচার। তারা বলে একদল ফিলিস্তিনী ত্রাণবাহী ট্রাক থেকে ইসরায়েলী বাহিনীর উপর আক্রমণ করেছিল। তারা ড্রোন থেকে ধারণ করা ভিডিও দেখিয়ে বলে, ফিলিস্তিনীরাই বিশৃঙ্খলা তৈরী করেছিল। অথচ সেই ফুটেজে নিরীহ জনগণকে শুধু দৌড়াদৌড়ি করতে দেখা যায়। এবং নিরীহ জনগণের উপর ইসরায়েলী বাহিনীর গুলিবর্ষণের অংশ ফুটেজ থেকে কেটে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। প্রথমদিকে ইসরায়েলী ডিফেন্স ফোর্সেস এই বিষয়টি স্বীকারই করতে চায় না। এক পর্যায়ে তারা বলে, যদি এটা ঘটেও থাকে, তবে তা ভুলক্রমে হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলী নরপিশাচদের দোসর পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো, ফ্লাওয়ার জেনোসাইডের মত এতবড় হত্যাযজ্ঞ কে শুধুমাত্র একটি “বিশৃঙ্খল ঘটনা” হিসেবে উল্লেখ করেছে।

গাজায় কাজ করা ইউরোপীয় এনজিও EuroMed জানিয়েছে, ময়দা গণহত্যাই এধরনের একমাত্র ঘটনা নয়। ত্রাণ সংগ্রহের সময় ক্ষুধার্থ গাজা বাসীর উপর গুলি চালানো ইসরায়েলের একটি নিয়মিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য সহায়তা

গাজায় ভয়াবহ গণহত্যা শুরু হবার ৬ মাস পর যুক্তরাষ্ট্র আকাশ থেকে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেছে। তাদের এই সহায়তা পুরোটাই সাজানো নাটক। এই ত্রাণ সরবরাহের উদ্দেশ্য গাজার জনগণকে সহায়তা করা নয়, বরং পশ্চিমা গণমাধ্যমের জন্য ভালো সংবাদ তৈরী করা। যাতে যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়।

বিমান থেকে ত্রাণ ফেলা, সবচেয়ে ব্যববহুল এবং একই সাথে সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি। এই ভাবে কোন অঞ্চলের খাদ্য সহায়তা প্রদান করলে প্রকৃত অভাবী লোকের কাছে সহায়তা পৌছানো নিশ্চিত করা যায় না; অন্যদিকে এভাবে ত্রাণ পৌছানোর খরচও সবচেয়ে বেশি। তাছাড়া সব জায়গায় এই পদ্ধতিতে ত্রাণ দেওয়া হয়ও না। সাধারণত কোন পাহাড়ের চূড়ায় বা গহীন জঙ্গলের মত দুর্গম এলাকায়, যেখানে সড়ক পথে বা পায়ে হেটে পৌছানো সম্ভব নয়, সেসব এলাকায় বিমান থেকে ত্রাণ ফেলা হয়। কিন্তু গাজা একটি স্থল বেষ্টিত অঞ্চল, এর নিজস্ব সমুদ্র উকূলও রয়েছে। তাই গাজায় আকাশ থেকে ত্রাণ ফেলা, সম্পূর্ণ অযৌক্তিক একটি কাজ। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র গাজায় ফাটানোর জন্য ইসরায়েলের কাছে হাজার হাজার টন বিষ্ফোরক ও বোম পাঠিয়েছে। কিন্তু ত্রাণ পাঠানোর বেলায় তারা যে পরিমাণ খাবার দিয়েছে, তা একটি ত্রাণবাহী ট্রাকের সমানও না। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের দাবি এই ত্রাণ দিয়ে নাকি ৩৮ হাজার মানুষ একবেলা খেতে পারবে।

প্রশ্ন হল, গাজায় স্থল পথে পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌছানো যাচ্ছে না কেন? কারণ যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ইসরায়েল এই অঞ্চলটিকে চারদিকে অবরুদ্ধ করে, বহু আগে থেকেই গাজা কে বিশ্বের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত কারাগার বানিয়ে রেখেছে। এরপর ৭ অক্টোবরের ঘটনার পর থেকে গাজায় সকল ধরনের মানবিক সহায়তা প্রবেশের পথ সম্পূর্ণ বন্ধ করে রেখেছে। ইসরায়েল যে গাজার সকল সীমান্ত বন্ধ রেখেছে, সেই নীতিতেও সর্বোচ্চ সমর্থন দেওয়া দেশ যুক্তরাষ্ট্র। গাজার ওপর আরোপ করা এই অমানবিক অবরোধ ভাঙার যদি কারো সামর্থ থাকে, তবে সেই একমাত্র দেশ হল যুক্তরাষ্ট্র। অথচ তারা অবরোধ প্রত্যাহারের কোন ব্যবস্থা না নিয়ে, বিমান থেকে ত্রাণ ফেলার নাটক করে বিশ্ববাসীকে বোকা বানাচ্ছে।

Leave your thought here

Your email address will not be published. Required fields are marked *


দিন
ঘণ্টা
মিনিট
সেকেন্ড
আমাদের লাইভ ক্লাস শেষ হয়েছে, তবে আপনি এখন ফ্রি রেকর্ডেড কোর্সে ইনরোল করে দেখতে পারবেন।
আপনার রেজিস্ট্রেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

আপনার জন্য একটি একাউন্ট তৈরি হয়েছে। প্রদত্ত ইমেইল ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।

কোর্সের তারিখ: ০৩/১০/২০২৫
সময়: রাত ৯টা থেকে
(বাংলাদেশ সময়)

আপনার সঠিক - নাম, ইমেইল দিয়ে
Sign Up এ ক্লিক করুন।