ইসরায়েল জাতিসংঘের আদেশ মানে না কেন

maxresdefault (28)
জীবনযাপন

ইসরায়েল জাতিসংঘের আদেশ মানে না কেন

বিগত ৭৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েল ফিলিস্তিনী জনগণের উপর অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলের নানা জুলুম অত্যাচার আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে এখনও পর্যন্ত ৪৫ টিরও বেশি প্রস্তাবনা পাশ হয়েছে। কিন্তু ইসরায়েল জাতিসংঘের একটি আদেশও পালন করেনি। শুধু তাই নয় আন্তর্জাতিক আদালতে বহুবার ইসরায়েল কে যুদ্ধাপরাধের জন্য কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে। কিন্তু ইসরায়েল আন্তর্জাতিক আদলতের কর্তৃত্বই অস্বীকার করে। অতি সম্প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিব, গাজায় ইসরায়েলের অমানবিক যুদ্ধ সম্পর্কে মন্তব্য করার পর; ইসরায়েল নিজেদেরকে শুধরে নেওয়ার বদলে, উল্টো জাতিসংঘ মহাসচিবের পদত্যাগ দাবি করছে।

ইসরায়েল কেন জাতিসংঘের আদেশ মানে না ?

জমি দখল

জাতিসংঘের একটি অন্যায় প্রস্তাবনার মধ্যদিয়ে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েলের জন্মের বৈধতা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ইসরায়েল সেই অন্যায় প্রস্তাবকে আরো বহুদূর নিয়ে গেছে। ব্রিটিশরা ফিলিস্তিন দখল করার পর (১৯৩৭ সাল), সবুজ দাগ দেওয়া অংশটি ফিলিস্তিন এবং নীল দাগের ভেতরের অংশ ইসরায়েলের জন্য প্রস্তাব করেছিল। মাঝে সাদা দাগের ভেতরের অংশটি পবিত্রভূমি জেরুজালেম এবং বেথলেহেম কে আন্তর্জাতিক ছিটমহল হিসেবে রাখার কথা। কিন্তু জাতিসংঘ (১৯৪৭ সাল) সেই প্রস্তাবকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়। ব্রিটিশদের প্রস্তাবে ফিলিস্তিন ছিল এরকম, আর জাতিসংঘের প্রস্তাবে ফিলিস্তিন হয় এমন। জাতি সংঘে ইহুদিদেরকে বেশি ভূমি বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই দুই প্রস্তাবের মাঝখানে ইহুদিরা অবশ্য ফিলিস্তিনীদের কাছ থেকে কিছু জমি কিনেছিল। নীল অংশগুলো ইহুদিদের কেনা জমি। কিন্তু জাতিসংঘ তার চেয়েও বহু গুণ বেশি জমি ইহুদিদের দিয়ে দেয়। কিন্তু এমন অন্যায়ভাবে জবর দখল করে ইসরায়েল রাস্ট্র জন্মের সাথে সাথে প্রতিবেশী আরব দেশগুলোর সাথে ইসরায়েলের যুদ্ধ বাঁেধ, যা প্রথম আরব ইসরায়েল যুদ্ধ হিসেবে পরিচিত। আরব ইসরায়েল যুদ্ধের পর ফিলিস্তিনের মানচিত্র হয় এমন (১৯৪৯ সাল)। জাতিসংঘের প্রস্তাবিত মানচিত্র ছিল এমন, আর ইসরায়েল দখল করে বানায় এমন। এরপর ১৯৬৭ সালে ছয় দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল সমগ্র ফিলিস্তিন অঞ্চল দখল করে ফেলে। তখন থেকে ফিলিস্তিনের প্রকৃত কোন মানচিত্রও নেই, তাদের দখলে কোন জায়গা জমিও নেই। ইসরায়েল ফিলিস্তিনী জমিগুলোতে ধীরে ধীরে বসতি গড়তে থাকে। ১৯৬৭ সালের আগে যে ফিলিস্তিন ছিল এমন, বর্তমানে সেই ফিলিস্তিন এমন। সবুজ অংশটুকুতে বিচ্ছিন্নভাবে ফিলিস্তিনীরা বসবাস করে। বাকি সমগ্র অঞ্চল ইসরায়েলের দখলে। ১৯৯৫ সালের দ্বিতীয় অসলো চুক্তি অনুসারে, ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবৈধ ফিলিস্তিনী বসতি সরিয়ে ফেলতে থাকে, কিন্তু পশ্চিমতীরে অবৈধ স্যাটেলমেন্ট গড়ে তোলা বাড়িয়ে দেয়। ২০০৫ সালের পর থেকে ফিলিস্তিনীরা ইসরায়েলের ভেতর এসব ছিটমহলে বসবাস করছে। তবে বর্তমানে এই পরিমাণ জায়গাও ফিলিস্তিনের দখলে নেই। আবারো বোঝার স্বার্থে দেখা যাক, ব্রিটিশদের প্রস্তাবনা ছিল এমন, জাতিসংঘের প্রস্তাবনা এমন; ১৯৬৭ সালের আগে ফিলিস্তিন ছিল এমন আর বর্তমানের মানচিত্র এমন; যদিও বাস্তবে এই পরিমাণ জায়গাও নেই।

চোরের মায়ের বড় গলা

ফিলিস্তিনের মানচিত্রের এই যে বিবর্তন, এটি ফিলিস্তিনীরা তৈরী করেনি। ইসরায়েল এবং তাদের পশ্চিমা মিত্ররাই এই মানচিত্র তৈরী করেছে। এমন অন্যায়ভাবে ইসরায়েলীরা যে ফিলিস্তিনের মানচিত্র চিবিয়ে খেয়েছে, জাতিসংঘের তার বিরুদ্ধে বহুবার নানা ধরনের প্রস্তাব পাশ হয়েছে। শুধু ফিলিস্তিনের জমি দখলই নয়, খুন, হত্যা, লুটতরাজ আর নানা ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে, ২০১৩ সালের মধ্যেই জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ৪৫ টি রেজুলিউশন পাশ করেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ United Nations Human Rights Council বা UNHRC গঠনের পর থেকে সারা বিশ্বের যতগুলো অন্যায়ের বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়েছে, শুধুমাত্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধেই তার চেয়ে অনেক বেশি নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়েছে। তারমানে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইসরায়েলের মত এককভাবে এত বেশি মানবতাবিরোধী অপরাধ আর কোন সন্ত্রাসী সংগঠনও করেনি।

চলতি বছর, ২০২৩ সালের জানুয়ারির ১ তারিখেও, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ আন্তর্জাতিক আদালত কে, ফিলিস্তিনী জমি দখলের জন্য ইসরায়েলের বিচার করতে বলেছে। এই প্রস্তাবের পক্ষে জাতিসংঘের ৮৭ টি দেশ ভোট দিয়েছে, ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্র সহ ২৪ টি দেশ এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে এবং ৫৩ টি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে। অতীতেও ১২৫ টি দেশ ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধের বিচার হওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছিল। ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের অধীনে আনার ব্যাপারে জাতিসংঘে পাশ হওয়া এই প্রস্তাবকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, “ঘৃণ্য” বলে উড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, ইসরায়েলীরা দখলদার নয়, এবং ইসরায়েল এই প্রস্তাব মানতেও বাধ্য নয়। ইসরায়েলীরা দখলদার নয়? অথচ হামাসের হামলার মাত্র দুই সপ্তাহ আগে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের ২২ তারিখে নেতানিয়াহু জাতিসংঘে দাড়িয়ে ইসরায়েলের নতুন মানচিত্র দেখিয়েছে। যে মানচিত্রে ফিলিস্তিনের কোন অস্তিত্বই নেই। ইসরায়েল যদি দখলদার না-ই হয়, তাহলে ইসরায়েলের মানচিত্র বড় হল কিভাবে? নিজে সারা বিশ্বের সামনে মিথ্যাচার করে, নেতানিয়াহু আবার সত্যের বুলি আওড়ায়। [শুধুমাত্র সত্যের উপর ভিত্তি করে শান্তি অর্জন সম্ভব,, মিথ্যার উপর ভিত্তি করে নয়]

জাতিসংঘ মহাসচিবের বক্তব্য

সর্বশেষ, ২৪ অক্টোবর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে, জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গাজায় ইসরায়েলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে নিন্দা জানান। তিনি বলেন, “ এটাও স্বীকার করতে হবে হামাসের হামলা এমনিতেই হয়নি। ফিলিস্তিনের মানুষ ৫৬ বছর ধরে শ্বাসরুদ্ধকর দখলদারিত্বের মধ্যে রয়েছে। তারা দেখেছে তাদের ভূখণ্ড ক্রমাগত দখল করা হচ্ছে। তাদেরকে সহিংসতার মধ্যে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, তাদের অর্থনীতির গলা টিপে ধরা হয়েছে, তাদেরকে ঘর ছাড়া করা হয়েছে এবং বাড়ি-ঘর ভেঙে ফেলা হয়েছে। এই সমস্যার রাজনৈতিকভাবে সমাধানের আশাও হারিয়ে যাচ্ছে।” তিনি হামাসের হামলারও নিন্দা জানান, এবং এই হামলার বিপরীতে গাজায় বোমা হামলা করে সকল ফিলিস্তিনীদের সম্মিলিতভাবে শাস্তি দেওয়ারও বিরোধিতা করেন।

মহাসচিব গুতেরেস নিরাপত্তা পরিষদে এমন বক্তব্য দেওয়ার পর এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ইসরায়েল। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের দূত গিলাদ ইরদান বলেছেন, গুতেরেসের এ বক্তব্য ‘জঘন্য’ এবং ‘ভয়ানক’ এবং এটির সঙ্গে আমাদের অঞ্চলের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। তিনি জাতিসংঘ মহাসচিবের পদত্যাগ দাবি করেন। এখানেই শেষ নয়, তিনি বলেছেন জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের উচিত শিক্ষা দেওয়ার সময় এসে গেছে। জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের আর কখনও ভিসা দেবে না ইসরায়েল। এবং ইতোমধ্যেই জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথসের ভিসা বাতিল করা হয়েছে। তাছাড়া ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সাথে পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছে। নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে শুধু মহাসচিবই নয়, জাতিসংঘের বেশ কয়েকজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাও গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের রিপোর্ট পেশ করেছেন। কিন্তু যাদের জন্মই অবৈধ, তারা তো সত্য মেনে নিতে পারে না।

ইসরায়েলের ক্ষমতার উৎস কী

ইসরায়েল কেন বারবার জাতিসংঘের আদেশ অমান্য করে, সে বিষয়েও জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের একাধিক অধিবেশনে আলোচনা হয়েছে, এবং বিভিন্ন রেজুলিউশনে বিষয়টি রিপোর্টও করা হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য এবং বৈশ্বিক পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইসরায়েলের অত্যন্ত ঘনিষ্ট কৌশলগত সম্পর্কের কারণে, ইসরায়েল ফিলিস্তিনে আগ্রাসী এবং দখলদারী মনোভাব চালিয়ে যাচ্ছে। এটা ফিলিস্তিনীদের কথা নয়, আরব লীগের কথা নয় এমনকি এটা কোন মুসলিমদেশেরও কথা নয়। ইসরায়েলের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে মদদ দেওয়ার জন্য জাতিসংঘ সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র কে দোষারোপ করছে। এর বাইরে অবশ্য জাতিসংঘের আর কোন ক্ষমতাও নেই। কারণ যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভেটো ক্ষমতা সম্পন্ন একটি দেশ। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে, চীন, রাশিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের মত পারমানবিক শক্তিধর ৫টি দেশ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের যেকোন বিষয়ে ভেটো দিতে পারে। ভেটো দেওয়ার এই ক্ষমতাটা খুবই বিতর্কিত। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা জাতিসংঘের সবচেয়ে বড় অগণতান্ত্রিক উপাদান। যুক্তরাষ্ট্রের মত সন্ত্রাসী একটি দেশ ভেটো ক্ষমতাকে তাদের রক্ষা কবচ হিসেবে ব্যবহার করছে। ইরাক এবং আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র যে মানবতাবিরোধী কর্মকান্ড এবং যুদ্ধাপরাধ করেছে, এবং তার মিত্র ইসরায়েল ফিলিস্তিনে যুগের পর যুগ ধরে যে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ আর দখলদারী চালিয়ে যাচ্ছে, তার সবই সম্ভব হয়েছে, এই ভেটো ক্ষমতার বলে।

নেগ্রোপন্টে ডকট্রিন

জাতিসংঘে যতবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রসঙ্গ উঠেছে, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবারই তা ঠেকিয়ে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এই ধরনের আচরণের একটি নামও আছে। একে বলা নেগ্রোপন্টে ডকট্রিন। জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি জন নেগ্রোপন্টের নাম থেকে এমন নামকরণ করা হয়েছে। ২০০২ সালে নিরাপত্তা পরিষদের একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে নেগ্রোপন্টে বলেছিল যে, ফিলিস্তিনী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যদি কোন নিন্দা জানানো না হয়, তাহলে জাতিসংঘে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পাশ হওয়া সকল প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিবে। নেগ্রোপন্টে মূলত ফিলিস্তিনী ইসলামি জিহাদ, আল আকসা শহীদ ব্রিগেড এবং হামাসের বিরুদ্ধে নিন্দা জানানোর কথা বলেছিল। কিন্তু তারপর থেকে এটিই নিয়ম হয়ে গেছে যে, জাতিসংঘে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোন প্রস্তাব আসলেই যুক্তরাষ্ট্র তাতে ভেটো দিবে। এমনকি ফিলিস্তিনী স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে নিন্দা করার পরও, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের কোন দোষ মেনে নিতে নারাজ। 

পৃথিবীতে কোন পরাশক্তির ক্ষমতা চিরস্থায়ী হয় না। প্রাচীন মিশরীয় সাম্রাজ্য, গ্রীক সাম্রাজ্য, বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্য, রোমান সাম্রাজ্য, পারস্য সাম্রাজ্য, মঙ্গোল সাম্রাজ্য, অটোমান সাম্রাজ্য কিংবা ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মত, প্রাচীনকাল থেকে শুরু করে আধুনিক কালের সকল পরাশক্তিরই পতন হয়েছে। ইতিহাসের সকল পরাশক্তিধর সাম্রাজ্যই সর্বোচ্চ কয়েকশ বছর পৃথিবী দাপিয়েছে। তারা প্রত্যেকেই ভেবেছিল, তাদের শক্তি হয়ত কখনই বিনাশ হবে না। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় সবাইকেই তাদের ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র অবিসংবাদিতভাবে বিশ্বপরাশক্তির আসনে বসেছে একশ বছরও হয়নি। তাই আগামী কয়েকশ বছর হয়ত, তাদের এই দাপট চলবে। তবে মানব জাতির ইতিহাসের তুলনায় এই সময় তেমন কিছুই নয়। ঐতিহাসিকভাবেই প্রমাণিত যে, সকল বিশ্ব মোড়লের পতন অবশম্ভাবী, তাই যুক্তরাষ্ট্র কিংবা তাদের মিত্র ইসরায়েলের আগ্রাসনও চীরস্থায়ী নয়।

ইসরায়েলের অন্যায় বোঝার জন্য আপনাকে ফিলিস্তিনের সমর্থক হতে হবে না। ন্যায় অন্যায়ের পার্থক্য বোঝার মত বিবেক সম্পন্ন মানুষ হলেই চলবে। এত কিছুর পরও যারা ইসরায়েলের সমর্থনে কথা বলে, তারা চোখ থাকতেও অন্ধ। তারা তাদের হৃদয়টাকে শয়তানের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে।

Leave your thought here

Your email address will not be published. Required fields are marked *


দিন
ঘণ্টা
মিনিট
সেকেন্ড
আমাদের লাইভ ক্লাস শেষ হয়েছে, তবে আপনি এখন ফ্রি রেকর্ডেড কোর্সে ইনরোল করে দেখতে পারবেন।
আপনার রেজিস্ট্রেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

আপনার জন্য একটি একাউন্ট তৈরি হয়েছে। প্রদত্ত ইমেইল ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।

কোর্সের তারিখ: ০৩/১০/২০২৫
সময়: রাত ৯টা থেকে
(বাংলাদেশ সময়)

আপনার সঠিক - নাম, ইমেইল দিয়ে
Sign Up এ ক্লিক করুন।