ইসরায়েলী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা
ইসরায়েলী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা
ইসরাইল বিশ্বের অন্যতম সেরা সামরিক শক্তি সম্পন্ন একটি দেশ। দেশটির সামরিক শক্তির সবচেয়ে সেরা হাতিয়ার হল ইসরায়েলী অাকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ক্ষেপনাস্ত্র হামলা প্রতিহত করার ইসরায়েলী প্রযুক্তি সাধারণভাবে অায়রন ডোম নামে পরিচিত। তবে আয়রন ডোমের সাথে আয়রন বিম, প্যাট্রিয়ট সিস্টেম, ডেভিড স্লিং, অ্যারো টু এবং অ্যারো থ্রি এর মত অারো বেশ কিছু প্রযুক্তি মিলে ইসরাইলের পূর্ণাঙ্গ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। পৃথিবীর অন্য কোন দেশের এই ধরনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেই। আর সে কারণেই রকেট, সাধারণ মিসাইল, ক্রুজ মিসাইল বা ব্যালিস্টিক মিসাইলের মত সকল ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েও, ইসরায়েলের তেমন কোন ক্ষতি করা যায় না।
রকেট এবং মিসাইল
যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ইসরাইল আয়রন ডোম ব্যবস্থা তৈরি করেছিল ১৯৯০ এর দশকে। তবে সে সময়ে এই ব্যবস্থাটি এতটা উন্নত ছিল না। ২০০২ সালে আয়রন ডোম সর্বপ্রথম ভালোভাবে কাজ করতে শুরু করে। তবে আয়রন ডোম একটি কার্যকর ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে ওঠে ২০১১ সালে। তারপর থেকে ইসরায়েলের আকাশে সকল ধরনের ক্ষেপনাস্ত্র হামলা প্রতিহত করতে আয়রন ডোম ব্যাপক সফলতা দেখিয়েছে।
আয়রন ডোম সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানার আগে রকেট এবং মিসাইল সম্পর্কে জানতে হবে। অামরা সাধারণত রকেট বলতে মহাকাশযানকে বুঝি। তবে সামরিক ভাষায় রকেট বলতে সেইসব ক্ষেপণাস্ত্র কে বোঝানো হয়, যেগুলো একবার ছুড়ে মারার পর, তা অার নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। অন্যদিকে মিসাইল হল সেইসব ক্ষেপনাস্ত্র, যেগুলো ছুড়ে মারার পরও, এর গতিপথ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। মিসাইল নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়টি দূর থেকেও হতে পারে, অাবার মিসাইলের মধ্য থেকে স্বয়ংক্রিয়ও হতে পারে।
তারমানে রকেট আর মিসাইল এর মূল পার্থক্য হলো নিয়ন্ত্রণের উপর। রকেট অনিয়ন্ত্রিত ভাবে হামলা করে, অার মিসাইলকে নিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে হামলা পরিচালনা করা যায়। তবে মিসাইলের মধ্যেও অাবার প্রধানত দুটি ভাগ রয়েছে। একটি হল ক্রুজ মিসাইল এবং অন্যটি হল ব্যালিস্টিক মিসাইল। ক্রুজ মিসাইল বিমানের মত উড়ে গিয়ে লক্ষ্য বস্তুতে হামলা চালায়। এবং এগুলো সুবিধামত মত উপরে নিচে উঠা নামা করতে পারে। অন্যদিকে ব্যালিস্টিক মিসাইল রকেটের মত প্রথমে খাড়া উপরে উঠে যায়, এবং এরপর উপর থেকে লক্ষ্য বস্তুকে সরাসরি অাঘাত করে। ব্যালিস্টিক মিসাইল দিয়ে অনেক দূরবর্তী স্থানে হামলা করা হয়, সেকাণে এই মিসাইল পৃথিবীর বায়ুমন্ডল ভেদ করে মহাকাশ দিয়েও ঘুরে অাসতে পারে।
সাধারণত গাজা থেকে ইসরায়েলে যেসব ক্ষেপনাস্ত্র হামলা করা হয়ে, সেগুলো হল রকেট। ইরান থেকে যেসব ক্ষেপনাস্ত্র হামলা করা হয়ে সেগুলোর বেশিরভাগই ক্রুজ মিসাইল, তবে ব্যালিস্টিক মিসাইলও অাছে এবং ইসরায়েলের অনেক দূরবর্তী ইয়েমেন থেকে যেসব হামলা হয়, তার অধিকাংশই ব্যালিস্টিক মিসাইল।
অায়রন ডোম কিভাবে কাজ করে
আয়রন ডোম মূলত স্বল্প পাল্লার রকেট হামলা প্রতিহত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। অায়রন ডোম ব্যবস্থাটি তিনটি যন্ত্রের সাহায্যে গড়ে উঠেছে। এগুলোকে একসাথে বলা হয় অায়রন ডোম ব্যাটারী। এসব ব্যাটারির একটি হল রাডার, একটি কন্ট্রোল সেন্টার এবং একটি মিসাইল লঞ্চার। প্রথমত অায়রন ডোমের রাডার ইউনিট সবসময় পর্যবেক্ষণ করতে থাকে যে, কোন রকেট বা মিসাইল ইসরায়েলের দিকে অাসছে কিনা। এটি কোন মিসাইল সনাক্ত করার সাথে সাথে, মিসাইলের গতি কত এবং এটি কোথায় অাঘাত হানতে পারে সে বিষয়টি কন্ট্রোল সেন্টারকে জানায়। কন্ট্রোল সেন্টারের কম্পিউটার রাডারের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখে যে, মিসাইলটি কোন জনবহুল এলাকায় অাঘাত করবে কিনা। যদি দেখে যে এটি জনবহুল বা গুরুত্বপূর্ণ কোন এলাকায় অাঘাত করতে যাচ্ছে, তখন কন্ট্রোল সেন্টার মিসাইল লঞ্চার থেকে একটি মিসাইল ছুড়ে দেয়। কন্ট্রোল সেন্টার এই প্রতিরক্ষা মিসাইলকে নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে অাক্রমণকারী মিসাইলটিকে ধ্বংস করে।
অায়রন ডোমের মিসাইল সরাসরি অাক্রমণকারী রকেটে অাঘাত করতে পারে না। এটি অাক্রমণকারী রকেটের কাছাকাছি গিয়ে নিজে বিষ্ফোরিত হওয়ার মাধ্যমে টার্গেটকে ধ্বংস করে। একটি অায়রন ডোম ব্যাটারির মিসাইল লঞ্চারে এক সাথে ২০ টি মিসাইল লোড করা থাকে। এবং অায়রন ডোমের একটি ব্যাটারি সর্বোচ্চ ৪৫ মাইল বা ৭২ কিলোমিটার এলাকা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এসব ব্যাটারিগুলোকে পরিবহণ করে যেকোন জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায়।
ডেভিড স্লিং
অায়রন ডোম মূলত গাজা এবং লেবানন থেকে েছাড়া হামাস ও হিজবুল্লার রকেটগুলো প্রতিহত করতে ব্যবহৃত হয়। ইরান, ইরাক, সিরিয়া এবং ইয়েমেন থেকে যেসব দূর পাল্লার মিসাইল হামলা চালানো হয়, সেগুলো প্রতিহত করার মত সক্ষমতা অায়রন ডোমের নেই। সেকারণেই মূল অায়রন ডোমের সাথে ডেভিড স্লিং এবং অ্যারো থ্রি নামের অারো দুটি উন্নত প্রযুক্তি ব্যবস্থা যুক্ত করা হয়েছে।
২০২৩ সালে সর্বপ্রথম ডেভিড স্লিং ব্যবহার করা হয়। ডেভিড স্লিং অায়রন ডোমের চেয়েও অনেক দূরবর্তী মিসাইল হামলা প্রতিহত করতে পারে। এটি মূলত ক্রুজ মিসাইল প্রতিহত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। তবে ক্ষেত্রবিশেষ ডেভিড স্লিং ব্যালিস্টিক মিসাইলও ধ্বংস করতে পারে। সাধারণ অায়রন ডোম মিসাইল যেখানে টার্গেটের কাছে গিয়ে বিষ্ফোরিত হয়, সেখানে ডেভিড স্লিং সরাসরি টার্গেট মিসাইলে হামলা চালায়। ডেভিড স্লিং ৩০০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত গিয়ে শত্রু মিসাইল ধ্বংস করতে পারে।
অ্যারো থ্রি
ডেভিড স্লিং এর চেয়েও শক্তিশালী অারেকটি ব্যবস্থা হল অ্যারো সিরিজ। অ্যারো মূলত ব্যালিস্টিক িমসাইল ধ্বংস করার জন্য তৈরী করা হয়েছে। এরা সরাসরি মহাকাশে গিয়ে শত্রু মিসাইলকে ধ্বংস করতে সক্ষম। অ্যারো থ্রি প্রযুক্তির মাধ্যমে পৃথিবীর যুদ্ধক্ষেত্রের হামলা পাল্টা-হামলা মহাকাশেও পৌছে গেছে।
অ্যারো থ্রি অাকাশে ওঠার পর, শত্রু মিসাইলের উপর নজরদারি করতে পারে, এবং মিসাইলের গতিপথ বদলে যেকোন দিকের হামলা প্রতিহত করতে পারে। ২০২৩ এর অক্টোবরে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ছোড়া ব্যালিস্টিক িমসাইল, ইসরায়েল অ্যারো টু দিয়ে মহাকাশেই ধ্বংস করে দিয়েছিল। তার কিছুদিন পরেই ইসরায়েল অ্যারো থ্রি ব্যবহার করে হুতিদের ছোড়া অারেকটি ব্যালিস্টিক িমসাইল ধ্বংস করে। অ্যারো সিরিজের মিসাইলগুলো হাইপারসনিক। তারমানে এগুলো শব্দের গতির চেয়ে দ্রুত বেগে ছুটতে পারে। অ্যারো থ্রির গতি শব্দের গতির চেয়ে কমপক্ষে ৫ গুণ বেশি। ইরান যেসমস্ত হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক িমসাইল হামলা চালিয়েছে, অ্যারো থ্রি সেসব শতাধিক মিসাইল ধ্বংস করেছে।
প্রাট্রিয়ট সিস্টেম
ডেভিড স্লিং এর অ্যারো থ্রির বাইরেও অারেক ধরনের মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম অাছে। এর নাম প্রাট্রিয়ট সিস্টেম। যুক্তরাষ্ট্র তার ১৯ টি মিত্র দেশকে মিসাইল হামলা প্রতিহত করার জন্য প্রাট্রিয়ট সিস্টেম ব্যবহার করতে দিয়েছে। ইউরোপের বেশ কিছু দেশের বাইরে সৌদি অারব, কাতার কুয়েত এবং জর্ডানের কাছে প্রাট্রিয়ট সিস্টেম অাছে। প্রাট্রিয়ট সিস্টেমের একটি ব্যাটারির দাম ১ বিলিয়ন ডলার বা ১২ হাজার কোটি টাকা। এবং এর এক সেট মিসাইলের দাম প্রায় ৫ থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা।
তবে এগুলো অায়রন ডোমের মত এত ব্যাপক অাকারে কাজ করতে পারে না। শুধু তাই নয়, অায়রন ডোম প্রাট্রিয়ট সিস্টেমের চেয়ে অনেক সস্তা। একেকটি অায়রন ডোম ব্যাটারির মূল্য প্রায় ৫০ মিলিয়ন ডলার বা ৬০০ কোটি টাকা। এবং একটি রকেট ধ্বংস করতে প্রায় দেড় থেকে দুই কোটি টাকা খরচ হয়। এছাড়া একেকটি ডেভিড স্লিং মিসাইলের দাম প্রায় ১২ কোটি টাকা এবং একেকটি অ্যারো থ্রির মিসাইলের দাম ৪২ কোটি টাকা। যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবছর ইসরায়েলকে অায়রন ডোম রক্ষণাবেক্ষনের জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলার বা ৬ হাজার কোটি টাকা সহায়তা দেয়। তবে গত বছর যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার বা ৩ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি সহায়তা দিয়েছে।
অায়রন বিম
প্রাট্রিয়ট সিস্টেমের চেয়ে সস্তা হলেও অায়রন ডোম পরিচালনা করাও অনেক ব্যয়বহুল। সেকারণে, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ইসরায়েল অারেকটি নতুন প্রযুক্তি তৈরী করেছে। যার নাম অায়রন বিম। এই যন্ত্রের সাহায্যে লেজার বিম ব্যবহার করে ১০০ কিলোওয়াট মাত্রার বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মিসাইল ধ্বংস করা হয়। যেখানে সাধারণ অায়ন ডোম মিসাইলের খরচ দুই কোটি টাকা সেখানে অায়রন বিমের খরচ মাত্র ২ ডলার বা অাড়াইশ টাকার সমান। তবে মেঘলা দিনে অায়রন বিম কাজ করে না। তাছাড়া লেজারের অালো যত দূরে যেতে থাকে, ততই এর কার্যকারিতা হারাতে থাকে। ফলে লেজার বিম দিয়ে একট মিসাইল ধ্বংস করতে দুই তিন মিনিট সময় লাগে। মিসাইল হামলা ঠেকানোর জন্য এটি অনেক বেশি সময়। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীদের সহায়তায় অায়রন বিম প্রযুক্তি অারো উন্নয়নের কাজ করা হচ্ছে।
সক্ষমতা ও দুর্বলতা
বর্তমানে আয়রন ডোমে থাকা অত্যন্ত দ্রুতগতির কম্পিউটিং সিস্টেম, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সাথে যুক্ত হয়ে, এতটাই শক্তিশালী হয়ে উঠেছে যে, এটি এখন আয়রন ডোম, অায়রন বিম, প্রাট্রিয়ট সিস্টেম, ডেভিড স্লিং এবং অ্যারো থ্রি একই সাথে প্রসেস করতে পারে। এর ফলে ইসরাইল আকাশপথে ঠিক কি ধরনের হামলার শিকার হতে যাচ্ছে, তার একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র খুব অল্প সময়েই বোঝা যায়।
২০২৪ সালের এপ্রিলে ইরান ৩৬০টি ক্ষেপনাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলে হামলা করেছিল। সেটি ছিল ড্রোন, ক্রুজ মিসাইল এবং ব্যালিস্টিক মিসাইলের সম্মিলিত হামলা। সেবার মাত্র ৭টি মিসাইল ইসরায়েলে অাঘাত করতে পেরেছিল; বাকি সবগুলো অায়রন ডোম ধ্বংস করেছে। সর্বশেষ অক্টোবরের হামলায় ইরান প্রায় দুইশ মিসাইল পাঠিয়েছে, কিন্তু এবার অনেক বেশি মিসাইল ইসরায়েলে অাঘাত করতে পেরেছে। ইসরায়েল ইচ্ছে করেই এগুলোকে অাঘাত করতে দিয়েছে। কারণ এসব হামলার এলাকাগুলোতে তেমন কোন জনবসতি ছিল না। অারেকটি বিষয় হল, অায়রন ডোমের মিসাইল গুলো অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তাই ইসরায়েল হিসেব করে যে, হামলা ঠেকাতে যত টাকা খরচ হবে, হামলার শিকার হলে যদি তারচেয়ে কম ক্ষতি হয়, তাহলে মিসাইলগুলোকে হামলা করতে দেওয়াই লাভজনক।
ইসরায়েলের অায়রন ডোম মূলত একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম। তাই যেকোন কম্পিউটারের মত এই কম্পিউটারও হ্যাক করা সম্ভব। সুদক্ষ হ্যাকার অার্মির মাধ্যমে ক্রমাগত সাইবার হামলা চালিয়ে এই ব্যবস্থা সম্পূর্ণ অকেজো করে দেওয়া সম্ভব। এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেদ করার অারেকটি উপায় হল, অায়রন ডোমের সক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত পরিমাণে মিসাইল হামলা পরিচালনা করা। কারণ প্রত্যেকটি অায়রন ডোম ব্যাটারিতেই নির্দিষ্ট সংখ্যক মিসাইল লোড করা থাকে। এর চেয়ে বেশি মিসাইল ইসরায়েলে হামলা করলে, সেগুলো ঠেকানোর মত অার কোন মিসাইল থাকবে না। ঐতিহাসিক ৭ অক্টোবর হামাস এক সাথে ৫ হাজার রকেট হামলা করেছিল। তখন অায়রন ডোম কিছুটা বিপর্যস্ত হলেও সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েনি। তাই অায়রন ডোম ভাঙতে হলে, এর চেয়েও অারো অনেক বেশি মিসাইল এক সাথে হামলা চালাতে হবে।
ইসরায়েল অার্মি দাবি করে অায়রন ডোম ৯০ শতাংশ অাক্রমণ প্রতিহত করতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞরা এই দাবির সাথে সম্পূর্ণ একমত নয়। কারণ অায়রন ডোম কতগুলো হামলা ঠেকাতে সফল অার কতগুলোতে ব্যার্থ হয়েছে, এর কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তারমানে ইসরায়েল যা বলছে তাই বিশ্বাস করতে হবে। ইসরায়েল সাধারণত তার শত্রুদের চাপে রাখার জন্যই, নিজেদের সামরিক সক্ষমতা অতিরঞ্জিত করে প্রচার করে থাকে। তবে সাম্প্রতিক যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অার্থিক ও সামরিক সহায়তায় ইসরায়েল অাগের চেয়ে অারো অনেক বেশি সক্ষমতা অর্জন করছে।
পশ্চিমাদের মদদেই বিগত প্রায় ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই অঞ্চলে অস্থিরতা চলছে। এই ভূমির ন্যায়সঙ্গত মালিক ফিলিস্তিনীদের উচ্ছেদ করে, অবৈধভাবে দখলের মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদী ইসরায়েল রাষ্ট্র গড়ে উঠেছিল।